দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৭টি দেশ নিয়ে গঠিত বিমসটেক। দেশগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ, ভূটান, মিয়ানমার, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও থাইল্যান্ড। বিমসটেক হচ্ছে-”বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড কোঅপারেশন”। অর্থাৎ, বঙ্গোপসাগরীয় বহুখাতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ। এ সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর আমাদের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন ব্যাপী বিমসটেক-এর গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের ফাঁকে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ-ভারতের বৈরি সম্পর্কের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ৪ এপ্রিল ব্যাংককে ‘সাং রিলা’ হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। দু নেতা ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’ এবং ‘অভিন্ন উন্মুক্ত আলোচনার জন্য একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান এবং শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শত ব্যস্ততার মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই বৈঠকে তাদের পরস্পরের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা হয়। বৈঠকটি আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের প্রেস উইং জানিয়েছে তাদের বিনিময় ছিল ‘অকপট, ফলপ্রসূ এবং গঠনমূলক’। বৈঠকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ১০ বছর পূর্বে তার সাথে মোদির একটি বাঁধনো ছবি উপহার দেন। এটি ছিল বৈঠকের নতুন সংযোজন।

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায় বৈঠকে প্রফেসর ড. ইউনূস নরেন্দ্র মোদিকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। ড. ইউনূস অত্যন্ত সুকৌশল ও আন্তরিকতার সাথে বলেন, ‘আমাদের দু দেশের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্ব পরস্পরিক সম্পর্কের ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত’। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারতের সরকার ও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। প্রফেসর ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, গত আট মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে অসংখ্য দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রফেসর ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সম্পর্ককে সঠিক পথে নিয়ে যেতে আমরা আপনার সঙ্গে কাজ করতে চাই।’ উল্লেখ্য, ড. ইউনূস এ বছর বিমসটেকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণকারী প্রফেসর ইউনূস সংস্থাটির সাত সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির জন্য ভারতের ভালোবাসাপূর্ণ ইতিবাচক সমর্থন কামনা করেন। বৈঠকে তিনি গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদনে মোদিকে আলোচনার আহ্বান জানান এবং সুষ্ঠু ও ন্যায্যতা অনুযায়ী সমাধানের জন্য দাবি জানান। বিমসটেকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার গ্রহণ করায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রফেসর ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় তিনি তাকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছাও জানান।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, দু’ প্রতিবেশী দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সভ্যতা, সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং এটি বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই চলে আসছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রফেসর ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক মর্যাদার কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তার প্রতিটি বক্তব্যকে আন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত সব সময় প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। এসব কথার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতনের পরে ভারতের সাথে বাংলাদেশের জনগণের যে বৈরি সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও প্রশমিত হবে বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। মোদি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিশেষ কোনো দলকে সমর্থন করে না। বরং, ‘আমাদের সম্পর্ক মানুষে-মানুষে’। তবে মোদির এ বক্তব্য যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে গণহত্যাকারী পতিত শেখ হাসিনার প্রতি মোদির এতো অকুণ্ঠ সমর্থন, যতেœর সাথে আশ্রয় দান, করুণা প্রদর্শন ও মাতামাতির কারণ কী তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের জনগণ।

আলোচনার সময় নরেন্দ্র মোদির নিকট বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, শেখ হাসিনা বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে বরবার উসকানিমূলক মন্তব্য-বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অশান্ত, বিশৃঙ্খলাপূর্ণ ও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। যা ভারতের আতিথেয়তার অপব্যবহার বলে মনে হচ্ছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও উসকানিমূলক অভিযোগ করে আসছেন। এগুলো শিষ্টাচার পরিপন্থী। অথচ আপনার দেশে আশ্রয় নিয়ে তিনি এসব করে যাচ্ছেন, যা শোভনীয় নয়। আমরা ভারত সরকারকে অনুরোধ করছি, তিনি যতদিন আপনার দেশে থাকবেন ততদিন তাকে এ ধরনের ব্যাডমাইন্ড উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।’

মোদির সাথে আলাপকালে প্রফেসর ড. ইউনূস জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং রিপোর্টের উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন। যেখানে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওএইচসিএইচআর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিক্ষোভ-সম্পর্কিত ১ হাজার ৪০০ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু ছিল। এ ধরনের জঘন্যতম হত্যাকা- পৃথিবীতে বিরল। পৃথিবীর কোনো সরকার প্রধান এমন নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটাতে পারেন না। এমন জঘন্যতম গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ এ হত্যাযজ্ঞের বিচার নিশ্চিত করতে চায়। বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে বিশ্বখ্যাত স্মরণকালের অত্যন্ত তুখোড় ও চৌকস নেতা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস মোদিকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন; বিক্ষোভ চলাকালে শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে গণহত্যা, নির্যাতন ও অন্যান্য অমানবিক কর্মকা-ের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট যৌক্তিক ভিত্তিও প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্বব্যাপী এসব ঘটনার প্রত্যক্ষ ও উপযুক্ত সাক্ষী বর্তমান রয়েছে। এটিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সামান্যতম সুযোগও নেই।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের গুলী করে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং নির্দিষ্টভাবে তাদের চক্রের নেতাদের গ্রেফতার করা, তাদের হত্যা করা এবং তাদের লাশ লুকিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যাতে লাশের কোনো চিহ্ন পাওয়া না যায়। এর জবাবে শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে টানাপোড়েনের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদির এমন ভাষ্যকে মানতে সম্পূর্ণভাবে নারাজ। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ মনে করে নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্য হাসিনা প্রীতির বহি:প্রকাশ মাত্র। মোদি বলেন, ‘ভারত শুধু দেশের সঙ্গে আছে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে নয়।’ ভারত নেতার এমন বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন, যদি পক্ষপাতমূলক না হয়ে থাকে তাহলে ভারত সরকার তার প্রমাণ দেখাক যে তারা হাসিনার মতো কোনো ব্যক্তির সাথে নেই। থাইল্যান্ড বৈঠকে প্রফেসর ড. ইউনূস সীমান্ত হত্যার প্রসঙ্গও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সামনে উত্থাপন করেন এবং জোর দিয়ে বলেন, প্রাণহানির সংখ্যা হ্রাসে একসঙ্গে কাজ করা কেবল অনেক পরিবারেরই বড় যন্ত্রণা রক্ষা করবে না, বরং আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতেও সহায়তা করবে। এসব হত্যাকা- প্রতিরোধের উপায় খুঁজে বের করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন এসব হত্যাকা- ঘটে তখন আমি সবসময় কষ্ট পাই।’ সুতরাং কষ্ট লাঘবে আপনাদের কারণীয় ঠিক করতে হবে। মোদি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী শুধু আত্মরক্ষার্থে গুলী চালিয়েছে এবং ভারতীয় ভূখ-ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দুই নেতা এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বলে জানা গেছে।

ড. ইউনূস বিমসটেকে বাংলাদেশের সভাপতিত্ব নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেকের দৃশ্যমানতা বৃদ্ধি করতে চায় এবং আশা করে যে সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে পণ্য আমদানি ও রফতানির জন্য একটি দক্ষ পথ প্রদানের মাধ্যমে এ অঞ্চলের জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে সক্ষম একটি কার্যকর ও গতিশীল সংগঠন হিসাবে আবির্ভূত হবে। বৈঠকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্বেগের উপযুক্ত জবাব দিয়ে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদনগুলো ব্যাপকভাবে ফুলে ফেঁপে বড় করা হয়েছে এবং এর বেশিরভাগই ভুয়া খবর। তিনি ভারতের এ নেতাকে কথিত হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য বাংলাদেশে সাংবাদিক পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ড. ইউনূস বলেন, তিনি দেশে ধর্মীয় ও লিঙ্গ সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার সরকার এ ধরনের ঘটনা রোধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। বৈঠকের শেষ পর্যায়ে উভয় নেতা একে অপরের সুস্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত মঙ্গল কামনা করে তাদের ফলপ্রসূ ও সৎ সংলাপ শেষ করেন এবং উভয় দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এ সময় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।

এদিকে এ বৈঠকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রশ্নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের যে টানাপোড়েন ছিল তার অবসান ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন। পার্শ্ববর্তী নিকটতম প্রতিবেশি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ মনে করে ভারত আমাদের সাথে ইতিবাচক আচরণ করুক। কোনো ধরনের বৈরি আচরণ বাংলাদেশ ভারতের নিকট থেকে প্রত্যাশা করে না। পাশাপাশি পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের বিষয়টি মোদি সরকারের নিকট গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যাতে করে ২০২৪ সালের গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সম্প্রতি চীন সফর যেমন সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল, একইভাবে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সাথে বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের সাথে সম্পর্কের দূরত্বের অবসান ঘটবে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করেন।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট।