গাজায় যুদ্ধবিরতির পর সেখানকার ফিলিস্তিনীরা ভাল থাকবে, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে এমনটাই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু ইসরাইলের মারমুখি আচরণ ও যুদ্ধবিরতি লংঘনের ফলে তা হয়নি। ভাল নেই সেখানকার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা। রমযান মাসেও তারা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। এ পরিস্থিতিতেও ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর। এতে নিহত হয়েছেন ৮ জন। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর গাজায় আট ফিলিস্তিনীকে হত্যা করে ইসরাইল।

গত ১৯ জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি বহাল থাকলেও ইসরাইলী বাহিনী প্রায় প্রতিদিনই সেখানে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। ইসরাইলী বাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের কাছে গিয়েছিল বা অননুমোদিত এলাকায় প্রবেশ করেছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় এর একটা সমাধান আসুক। ইসরাইল চায় হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আলোচনার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বাকি পণবন্দীদের মধ্যে অর্ধেক মুক্তি দিক। কিন্তু হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ে আলোচনা সম্পন্ন করতে চায়। চুক্তি অনুযায়ী, দ্বিতীয় পর্যায়ে অবশিষ্ট পণবন্দীদের মুক্তি দেয়া হবে এবং ইসরাইল তার সামরিক বাহিনীকে গাজা থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করবে। ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের কাছে এখনো ২৪ জন পণবন্দী ও ৩৫ জনের লাশ রয়েছে।

অপরদিকে, গাজার ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনীদের বিদ্যুৎ, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে হামাসকে তাদের পরিকল্পনা মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে ইসরাইল। জাতিসঙ্ঘ ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মতে, এর মাধ্যমে ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, গত ১০ দিন ধরে গাজায় খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও অন্যান্য মানবিক সাহায্যের ওপর ইসরাইলী নিষেধাজ্ঞা ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে লাখ লাখ ফিলিস্তিনীদের কাছে সরবরাহ পৌঁছানোর অগ্রগতিকে পিছিয়ে দিয়েছে। মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ গাজায় তীব্র পানির ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র একজন নিরাপদ পানীয় জল পেতে সক্ষম।

গাজায় বন্দী বাকি ইসরাইলী জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে বাধ্য করতে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর আগে এই নির্দেশ দেয় ইসরাইল সরকার।

গত রোববার ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন এ ঘোষণা দেন। এক সপ্তাহ আগে ইসরাইল গাজায় সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করেন।

এক ভিডিও বার্তায় কোহেন বলেন, ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে এবং যুদ্ধ শেষে গাজায় আর এক দিনও যেন হামাসের অস্তিত্ব না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমাদের হাতে যা কিছু আছে, তার সবই আমরা ব্যবহার করব।’

বুঝাই যাচ্ছে ইসরাইলীদের মন মগজে কতটা হিংসা ও নৃশংসতার বিষবাষ্প রয়েছে। সময়ে সময়ে তা তারা উগড়ে দেয়। যুদ্ধের শুরুতে ইসরাইল গাজায় প্রধান প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। গত সোমবার কাতারে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। গাজায় ভঙ্গুর এক যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ১ মার্চ শেষ হয়েছে।

ইসরাইল চাইছে, হামাস তাদের যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময় বাড়ানোর প্রস্তাবে রাজি হোক। তবে হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনাকে এগিয়ে নিতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে বাকি জিম্মিদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরাইলী সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ অবসানের কথা বলা আছে।

কী বলা আছে যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে? প্রথম পর্যায়ে, হামাস তেত্রিশজন ইসরাইলীকে (অধিকাংশই শিশু এবং মহিলা) মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরাইল প্রতি ইসরাইলী মুক্তির জন্য ৩০-৫০ জন ফিলিস্তিনীকে (শিশু ও মহিলাদের দিয়ে শুরু) মুক্তি দেবে। প্রথম পর্যায়ে, ইসরাইলকে “পর্যাপ্ত” পরিমাণে মানবিক সাহায্যের অনুমতি দিতে হবে, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীদের তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দিতে হবে এবং গাজা থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার শুরু করতে হবে। প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতির সময়, যুদ্ধবিগ্রহ স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, ইসরাইল একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে এবং হামাস তখন ফিলিস্তিনী বন্দীদের বিনিময়ের জন্য অবশিষ্ট জীবিত পুরুষ জিম্মি, বেসামরিক এবং সৈন্য উভয়কেই মুক্তি দেবে। তৃতীয় পর্যায়ে, নিহত ইসরাইলী জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের বাড়ি ঘরে ফিরতে দিচ্ছে না। কার্যত সেখানে সব ধ্বংস করা হয়েছে বিধায় বাড়ি ঘর বলতে কিছু নেই। ভিটায়ও ফিরতে পারছে না তারা।

জিম্মি মুক্তি প্রসঙ্গ : ২৩ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে রেডক্রসের কাছে দুই জিম্মিকে হস্তান্তর করে হামাস। এরপর গাজার নুসাইরাত থেকে আরও তিনজনকে মুক্তি দেয়। সর্বশেষ বন্দী মুক্তি পায় গাজা থেকে। ছয়জনের মধ্যে চারজনকেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল থেকে অপহরণ করেছিল হামাস। বাকি দুজন প্রায় এক দশক ধরে হামাসের হাতে বন্দী ছিল। আল জাজিরা জানায়, এর বিনিময়ে মোট ৬২০ জন ফিলিস্তিনী বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়।

ইসরাইলের দক্ষিণ অঞ্চলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ওই সময় আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এসব জিম্মিদের অনেকেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন। কেউ কেউ গাজায় মারা গেছেন। কয়েকটি মৃতদেহ ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ইসরাইলী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, নেপালসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকেরা ছিলেন।

যুদ্ধবিরতির মধ্যে বন্দী বিনিময় এবং অন্যান্য চুক্তির মাধ্যমে ১৩৮ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর মধ্যে ২০২৩ সালের নবেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে সাত দিনের একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলে। সে সময় হামাস ১০৫ থেকে ১০৭ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়। গাজায় ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি গত ১ মার্চ শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে জিম্মিদের ২৫ জনকে জীবিত এবং ৮ জনের মরদেহ ফেরত দেয় হামাস। এর বিনিময়ে ইসরাইলী কারাগার থেকে ১৮০০ ফিলিস্তিনীকে মুক্তি দেয়া হয়।

দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কেন? এ আলোচনা বাকি জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য জরুরি। কিন্তু ইসরাইলী টালবাহানায় বন্দী মুক্তি পিছিয়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। সর্বশেষ খবর, আরব নিউজ জানাচ্ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার বিষয়ে ৯ মার্চ হামাস আবারও তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। এ অবস্থায় ইসরাইল কাতারের রাজধানী দোহায় প্রতিনিধি দল পাঠনোর ঘোষণা দিয়েছে। হামাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে মিসরের রাজধানী কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছে। এতে কোনো নিষেধাজ্ঞা এবং শর্তারোপ ছাড়া গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় প্রবেশে জোর দেয়া হয়েছে। হামাসের এ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার ওপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেছে। এ বিষয়ে তারা ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় যেতে প্রস্তুত। কারণ দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার শুরু হলে তা পরবর্তীতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে নিয়ে যাবে। একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তিতে হামাসের দাবি, গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরাইলী সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং অবরোধ কার্যক্রম শেষ করা। এছাড়া এই অঞ্চলের পুনর্গঠনে আর্থিক সহযোগিতা করা। রয়টার্স জানাচ্ছে, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল।

হামাসের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে মিসরের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতারের কর্মকর্তারাও এ আলোচনায় যুক্ত রয়েছেন। হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানুয়া এক বিবৃতিতে বলেন, গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নিয়ে ত্রাণ সরবরাহ জোরদার করা হোক। একটি সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজা পরিচালনায় ‘স্বাধীন কমিটি’ গঠনে তারা সম্মত।

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের কাছে থাকা বাকি ইসরাইলী জিম্মিদের ছেড়ে দেওয়ার শর্ত রয়েছে। এরপর তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠনের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি টানার কথা। যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে হামাস। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে আরও সরাসরি আলোচনা চায়।

এদিকে গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছে ইউরোপের চার দেশ। গত ৮ মার্চ ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পরিকল্পনাটিকে ‘বাস্তবসম্মত’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। এই পরিকল্পনায় পাঁচ বছরের মধ্যে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলা আছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন ডলার।

এতসব কথার মাঝে গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টি যেন চাপা না পড়ে বিশ্লেষকরা সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তারা বলেন, ১৭ মাস পরে হলেও গাজাবাসীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করা সবার উচিত।

রমযানে কেমন আছে গাজাবাসী? বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মুয়াজ্জিনের সুমধুর কণ্ঠে আজানের ধ্বনি আর ভেসে আসে না। মসজিদগুলোই নেই। বোমার আঘাতে সবকিছু মিশে গেছে মাটির সঙ্গে। গত বছরের মতো এবারও রমযান তাদের জন্য উৎসবের আমেজ নিয়ে আসেনি। আসবেই-বা কীভাবে? ১৫ মাস ধরে চলা ইসরাইলের নির্মম হামলা গাজাবাসীর জীবন থেকে সব খুশি কেড়ে নিয়েছে।

তবে গত রমযানের তুলনায় এবার গাজার বাসিন্দারা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন। দেড় মাস হলো যুদ্ধবিরতি চলছে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দ এখন আর ভেসে আসে না। ইসরাইলের হামলা এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনীর প্রাণ কেড়েছে। হারিয়ে যাওয়া কাছের মানুষগুলোর কথা দীর্ঘশ্বাস হয়ে ফেরে নগরীর বাসিন্দাদের কাছে। যুদ্ধবিরতির শুরুর দিকে সীমান্ত খুলে দিয়েছিল ইসরাইল। তাই বাজার কিছুটা স্বাভাবিক ছিল। কয়েক দিন হলো আবার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে কমছে মজুত, হু হু করে বাড়ছে দাম।

পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক উসকানিতে। তিনি বলেছেন, গাজায় বন্দী বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হলে ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। যুদ্ধবিরতি দ্বিতীয় ধাপে যেতেও গড়িমসি করছে ইসরাইল সরকার। ফলে গাজায় আবার ব্যাপক হামলা শুরুর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যার অর্থ আবারও শুরু হতে পারে মৃত্যু- রক্তপাত। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদের আগেই দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি ফয়সালা হওয়া উচিত। তা হয়তো গাজাবাসীকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে পারে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।