ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশ এক অন্ধকারময় শাসনযুগে প্রবেশ করেছিল-যেখানে ‘ন্যায়বিচার’, ‘গণতন্ত্র’, ‘মানবাধিকার’, এমনকি ‘সংবিধান’ ছিল শুধু কথার কথা। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, কারাগারে অমানবিক নির্যাতন, সাজানো মামলার মাধ্যমে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয় ‘রাষ্ট্রীয় নীতির’ আসনে। এ পথচলায় মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায় কিছু ব্যক্তি- কেউ রাষ্ট্রীয় পদের আসনে, কেউ বিচারক, কেউ আইনজীবী, আবার কেউ তথাকথিত বুদ্ধিজীবী। তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক দুঃশাসনের মুখপাত্র হয়ে ওঠেন। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে এসে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা পাল্টে গেছে। যাদের মুখে ‘ন্যায়বিচার’ ছিল, তারাই আজ বিচারের মুখোমুখি। একেই বোধহয় বলে ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’Ñ যেখানে প্রকৃতি নিজেই অন্যায়ের বিচার করে। এ কলামে মূলত ফ্যাসিবাদী আমলে বিচার বিভাগের কথিত সব নায়কের পরিণতিই বেশি আলোচিত হবে।

এ তালিকায় থাকা ব্যক্তিবর্গের মাঝে সর্বশেষ যিনি আটক হলেন তিনি হলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ধ্বংস, এবং রাজনৈতিক অচলায়তন প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে মূল নায়ক তিনি। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও হাসিনার আশীর্বাদপুষ্ট অনেক আমলাও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। বিশেষ করে শেখ পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ সকলেই দেশ ছেড়ে চলে যান। খুবই রহস্যজনক বিষয় হলো, শেখ পরিবারের অনেকেই ৫ আগস্টের বেশ আগেই পালিয়ে গিয়েছিলেন। কেন তারা গেলেন, কিংবা তারা কীভাবে আগাম সরকারের পতন টের পেলেন কিংবা কীভাবে তারা ইমিগ্রেশন পার হলেন তা বড়ো প্রশ্ন হয়ে রয়ে গেছে। তবে দলের সিংহভাগ নেতাকর্মীকে অরক্ষিত অবস্থায় রেখে শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদেরকেই যেভাবে রক্ষা করলেন তা নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগের রাজনীতির দেউলিয়াত্ব ও অনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরই বহিঃপ্রকাশ।

শেখ হাসিনা যে নেতাদের ফেলে পালিয়ে গেলেন তাদের মধ্যে অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। তবে বহুল আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। গ্রেফতারের আগে কেউ বলছিলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অবৈধভাবে ভারতে গেছেন। কেউ বলেছেন, ভারত থেকে তিনি ব্রিটিশ পাসপোর্ট ব্যবহার করে ইংল্যান্ডে গেছেন। সেখানে মেয়ের কাছে অবস্থান করছেন। কিন্তু সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়ার পর নিশ্চিত হলো-এতদিন দেশেই লুকিয়ে ছিলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে খায়রুল হক ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বিচারাঙ্গনে তুমুলভাবে আলোচিত-সমালোচিত এ বিচারপতির বেশ কয়েকটি রায় চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তিনি নিজে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানাভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল কয়েকজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে ডিঙিয়ে। প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ত্রাণ তহবিলের টাকা গ্রহণ করে নিজের চিকিৎসা করে সমালোচিত হয়েছিলেন। অবসর গ্রহণ করার কয়েকদিন আগে তিনি ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন। ফলশ্রুতিতে দেশে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকটের সূত্রপাত হয় যা এখনো চলমান। পাশাপাশি শেখ হাসিনার ভোট ডাকাতির চূড়ান্ত সুযোগ তৈরি হয়। রাজনৈতিক বিষয়াবলীকে আদালতের আওতাধীন করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন বলে রায় দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া বিতর্কিত একাধিক বিচারপতিকে শপথ পড়ানো, আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এটি দেশের জন্য অত্যন্ত গ্লানিকর বিষয় যে, দেশের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে একটি সময়ে যিনি কাজ করেছেন, সাবেক সে প্রধান বিচারপতিকেই রাজনৈতিক সরকারের সাথে যোগসাজশে অন্যায় করার অভিযোগে গ্রেফতার হতে হলো।

এর আগে আমরা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ যে আইনজীবীর করুণ পরিণতি দেখেছি তিনি হলেন তুরিন আফরোজ। এ নারী শুধুই ইসলামপন্থী মানুষের ওপরই অত্যাচার করেননি বরং কোণঠাসা করে রাখতে নিজের মাকেও জামায়াতের রুকন বলে অপপ্রচার চালিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তুরিনের মা সামসুন নাহার তাসলিম নিজেই এ অভিযোগ করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, “জামায়াতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তুরিন আফরোজ প্রতিনিয়ত সব জায়গায় আমাকে জামায়াতের রুকন বলে অপপ্রচার চালায়। এমন অপপ্রচার করে ও আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে উত্তরার বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এখন নতুন সরকার এসেছে। ড. ইউনূসের সরকারের কাছে আবেদন আমার বাসা ফেরত দেওয়া হোক।”

তুরিন আফরোজকে অনৈতিক ও উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সামসুন নাহার তাসলিম। রাজধানীর উত্তরার ৩নং সেক্টরের ১১নং সড়কের ১৫নম্বর প্লটের পাঁচতলা বাড়িতে ২০০২ সাল থেকে বসবাস করে আসছিলেন তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম এবং তুরিনের ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ। তবে নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মা ও ভাইকে ওই বাড়ি থেকে ২০১৭ সালে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। পরে ওই বাড়ির ভোগ দখল ও মালিকানা দাবি করে শাহনেওয়াজ ও তুরিন আফরোজ ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দুটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর দু’পক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ওই বাড়ি ভোগদখলের ক্ষেত্রে স্থিতাবস্থা জারি করে ঢাকার পঞ্চম যুগ্ম জেলা জজ আদালত। পরবর্তীতে আদালত শামসুন্নাহার বেগম এবং শিশির আহমেদের পক্ষেই রায় দেন। তুরিুন শুধু তার মায়ের সাথে, ভাইয়ের সাথেই অন্যায় করেননি বরং তিনি মানুষটিও ব্যক্তিগত পর্যায়ে জালিয়াতি করেছেন।

নিজেকে ব্যারিস্টার ও ডক্টর বিশেষণে অবহিত করে আসলেও তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (ইউএনএসডব্লিউ)। গত ৪ মে সকালে এ সংক্রান্ত নথিও আপিল বিভাগে দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। জানা যায়, তুরিন আফরোজ ডক্টরেট ডিগ্রি সম্পন্ন করেননি বলে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছে সিডনির ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসে চিঠি দিয়ে তুরিনের নথি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি সরাসরি জানিয়েছে, এদতসংক্রান্ত কোনো নথি তাদের কাছে নেই। এ নামে কোনো শিক্ষার্থী তাদের ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডিও করেননি।

বিচারবিভাগ নিয়ে একই ধরনের অন্যায় করেছেন ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ ২ মেয়াদের আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক। তার বাবা সিরাজুল হক বাংলাদেশের প্রখ্যাত একজন আইনজীবী। সিরাজুল হকের লেখা বেশ কয়েকটি বই এখনো আইনজীবীরা নিয়মিত পাঠ করেন। অথচ তার সন্তান হয়েও আনিসুল হক অর্থলোভে অসদাচরণ ও অসৎ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমি ২০১২ সালে একটি ভিডিও দেখেছিলাম। সেখানে আনিসুল হক সাহেব একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। তিনি তখনও মন্ত্রী হননি। তিনি বলেছিলেন, তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চীফ প্রসিকিউটর হওয়ার অফার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তার মা তাকে নিষেধ করেছিলেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিশেষ করে আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে ছেলে মামলা পরিচালনা করুক- এমনটা তার মা চাননি। এ কারণে তিনি চীফ প্রসিকিউটর হতে রাজি হননি।

অথচ এ মানুষটিই মন্ত্রী হওয়ার পর তার পুরনো অবস্থান থেকে সরে গেলেন। বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলা এবং অস্ত্র আইনের একটি মামলা। দুর্নীতি দমন কমিশন আনিসুল হকের বিরুদ্ধে ১৪৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে।

খায়রুল হক ছাড়াও আরেকজন বিচারপতিও বাংলাদেশের মানুষের কাছে ধিকৃত হয়েছেন। তিনি হলেন এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি থাকাকালে তার নানা কর্মকাণ্ড আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমনকি ২০১৫ সালে অবসরে যাওয়ার পরও আলোচিত ছিলেন বিচারপতি মানিক। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিলের রায়ের বেঞ্চেও তিনি ছিলেন আগ্রাসী ভূমিকায়। রায়ে কেবলমাত্র তিনিই আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের কারণে প্রায় সব সময়ই আলোচনায় ছিলেন বিচারপতি মানিক। অবসরে যাওয়ার পরও ১৬১টি মামলায় রায় লেখা বাকি ছিল তার। এ নিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মানিক। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে বিভিন্ন সময়ে বেশকিছু মামলায় বিতর্কিত রায় দেন তিনি। জুলাই বিপ্লব চলাকালেও বিভিন্ন গণমাধ্যমের টকশোতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নানা অশালীন মন্তব্য করেন বিচারপতি মানিক।

অভিযোগ রয়েছে, ২১ জন বিচারককে ডিঙ্গিয়ে মানিককে বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এক ট্রাফিক সার্জেন্টকে হাইকোর্টের বিচারকের গাড়িকে সালাম না দেওয়ার কারণে আদালতে কান ধরে উঠবস করিয়েছিলেন মানিক। সে প্রেক্ষাপটে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক শহীদুল হক বলেছিলেন, ট্র‍্যাফিক পুলিশ কাউকে অভিবাদন জানাতে বাধ্য নয়। পরে শহীদুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। এতে আইন অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মহাপরিদর্শকের পদ হারান তিনি। পরে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার কারণে শহীদুল হক চাকরি ফিরে পান।

এছাড়া বিমানে ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কিনে জোরপূর্বক বিজনেস ক্লাসের আসনে বসে লন্ডনে যাওয়ার মতো কীর্তি রয়েছে বিচারপতি মানিকের। তিনি ৩২ হাজার পাউন্ড দিয়ে লন্ডনে তিনটি বাড়ি কিনেছেন। বাড়ি ছাড়াও লন্ডনে আরও সম্পত্তি আছে তার। কিন্তু সে আয়ের উৎস প্রকাশ করেনি বিচারপতি মানিক। এমনকি ট্যাক্স রেকর্ডেও তা প্রকাশ করেননি তিনি। অবসর নেওয়ার কয়েক মাস পর মানিক অনেক মামলার রায় লিখেছিলেন। তার বিতর্কিত রায়ের কারণে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মানিকের রায় দেয়া ১৬১টি মামলা পরিহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েও হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারকাজ চালিয়ে গেছেন বিচারপতি মানিক। নিজে বিচারপতি হয়েও দ্বৈত পাসপোর্ট নিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার সময় অবশেষে তিনি গ্রেফতার হন। দেশের আইনকানুনের কখনোই তোয়াক্কা করেননি তিনি। বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন ভঙ্গ ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সম্পদের হিসাব গোপন এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের শপথ ও আচরণবিধি ভঙ্গের মতো অভিযোগও উঠেছিল। এক সময়ের বিচার বিভাগের সবচেয়ে প্রভাবশালী মানুষগুলোর এ পরিণতি নিশ্চয়ই আমাদের সচেতন করবে। বিচার বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত মানুষগুলোও আরো বেশি দায়িত্বশীল হয়ে উঠবেন। আর কখনো যেন কোনো বিচারপতি রাজনৈতিক সরকারের হুকুম তামিলে ব্যস্ত না হন; আশা করি উপরোক্ত ব্যক্তিদের বর্তমান হাল দেখে পরবর্তী প্রজন্মও এ বিষয়ে সতর্ক হবেন।