মনসুর আহমদ

ইসলামী জিন্দেগী সূচনায় কা’বার ভূমিকা : ইসলামী জিন্দেগীর সূচনা শুরু হয় কা’বার মাধ্যমে। কা’বার আর এক নাম ‘আল-কা’বা -আল - মুর্শারাফা’ বা সম্মানিত কা’বা। মুসলিমগণ একে ‘বাইতুল্লাহ’ (আল্লাহর ঘর) বলে বিবেচনা করেন সম্মান করেন। কা’বা একখানা ঘর মাত্র নয়। রেসালতের ধারার এক স্তরের স্থান-কালের দাবির ফসল এ বাইতুল্ল্াহ। বায়তুল্লাহর মধ্য দিয়ে শুরু হয় পৃথিবীতে ইসলামী জিন্দেগী। হযরত আদম থেকে হযরত ইবরাহীম (আ:) পর্যন্ত কিছু নবী অতীত হয়েছেন যখন মানবসভ্যতায় কোন জাতির উদ্ভব হয়নি।

হযরত ইব্রাহীম (আ:) ছিলেন ইয়াহুদী খ্রিস্টান ও মুসলমান জাতির আদি পুরুষ। কুরআনের ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক নিষ্ঠ মুসলমান” (৩ : ৬৭)। মুসলমান জাতির উৎপত্তি ইব্রাহীম থেকে। কুরআন বলে-“এবং আল্লাহর রাস্তায় মনেপ্রাণে যথাসাধ্য সংগ্রাম কর, তিনিই তোমাদের এ ধর্ম পছন্দ করেছেন এবং তোমাদের উপর ধর্মে কোন কঠোরতা স্থাপন করেন নি। ইহা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্ম” (২২ : ৭৮)।

আল্লাহ ইব্রাহীমকে শধু তখনই তার জাতির নেতৃত্ব দিয়েছেন, যখন তিনি তাঁর জন্য নির্ধারিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আল্লাহ বললেন, “আমি তোমাকে লোকদের ইমাম বানাবো।” (২ : ১২৫)

হযরত ইবরাহীম (আ:) এসে প্রতিষ্ঠা করলেন একটি জাতি মুসলিম জাতি, ‘মিল্লাতা আবিকুম ইবরাহীম’, যার নাম রাখা হলো মুসলিমীন। বিশ্বজনীন নবগঠিত একটি জাতি বিনির্মানের জন্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা তথা ইসলামী আন্দোলন পরিচালনার জন্য যেসব গুণাবলীর প্রয়োজন ইবরাহীম (আ:) পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে অর্জন করতে সক্ষম হলেন।

বিশ্বমানবতার ইমামতের জন্য যে ধরনের যোগ্যতা প্রয়োজন তা সবই পয়দা হল নবীর মধ্যে এসব পরীক্ষার মাধ্যমে। দীনি দাওয়াত ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বের দিকে দিকে। জাহেলিয়াতের কুহেলিকা ছিন্ন করে ধরণী জাগ্রত হল ঈমান ও তওহীদের আলো ঝলমল নূরে স্নান করে। আর তাই প্রয়োজন দেখা দিল এমন এক মজবুত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার যেখান থেকে যুগে যুগে মানুষ লাভ করবে নতুন শক্তি ও উদ্যম, নতুন আলো ও হিদায়েত। আর তাইতো ইবরাহীমের উপর নির্দেশ এল পবিত্র বয়তুল্লাহ নির্মাণের। পিতা -পুত্র আত্মনিয়োগ করলেন বায়তুল্লাহ নির্মাণের পবিত্র কাজে।

খলিলুল্লাহ ও জবিহুল্লাহর যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরী হয়ে গেল বিশ্বের প্রথম ঘর আল্লাহর ঘর বয়তুল্লাহ। নবী মুনাজাত করলেন, “হে আমাদের পরোয়ার দিগার! আমাদের এ ক্ষুদ্র আমল গ্রহণ কর। তুমিতো সবই শোনো ও জানো।”

বয়তুল্লাহর নির্মাণ সমাপ্তির পর ইবরাহীম (আ:) এর প্রতি আল্লাহর নির্দেশ এল, “এবং মানুষের সভায় আপনি হজ্জের ঘোষণা দিন। তখন তারা পায়ে হেটে এবং দুর্বল উটে চড়ে এসে হাজির হবে। যে উটগুলি দূরান্তের পথ অতিক্রম করে আসবে। যেন তারা তাদের কল্যাণসমূহ প্রত্যক্ষ করতে পারে এবং দিনগুলিতে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে- ঐ সব প্রাণীর উপর যা আল্লাহ তাদের রিজিক রূপে দান করেছেন।”(হজ্জ)

এভাবে আল্লাহর এক বান্দা আল্লাহর উপর খালেস তাওয়াক্কুল, প্রচণ্ড সাহস সীমাহীন ত্যাগ ও কোরবানি এবং বিভিন্ন অগ্নিপরীক্ষার মাধ্যমে মানবসভ্যতা ও ইতিহাসকে নতুন ভাবে তৌহিদের আলোকে সাজালেন। তিনি লাভ করলেন আল্লাহর পক্ষ থেকে এক শাশ্বত পয়গাম এবং মানবতার চিরন্তন ইমামত ও নেতৃত্ব। তাঁর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হল ইসলামী উম্মাহর প্রাণ প্রিয় কেবলাহ কা’বা। চালু হল হজ্জের অনুষ্ঠান। বিশ্বমুসলিম একই কন্ঠে ঘোষণা দেয় ‘লাব্বাইকা আলাহুম্মা লাব্বাইকা ...’ প্রভু হে তোমার বান্দা হাজির, তোমার কোন শরিক নেই। বান্দা হাজির। সমস্ত প্রশংসা ও নেয়ামত তোমারই। রাজত্ব ও ক্ষমতা তোমারই, তোমার কোন শরিক নেই।’

এভাবে এ ঘর শুধু মাত্র ইবাদত গাহ-ই নয় বরং তা পরিণত হলো আল্লাহ থেকে প্রাপ্ত ইসলামী নেজাম এর উৎস এবং তার প্রসার ও প্রচারের মূল শক্তি কেন্দ্র হিসাবে। আল-কুরআনে কা’বার গোড়াপত্তন নিয়ে কিছু আয়াত রয়েছে। বলা হয়েছে, এ ঘরখানা মানবজাতির ইবাদতের জন্য প্রথম ঘর, যা নির্মিত হয়েছিল আল্লাহর হুকুম মোতাবেক হযরত ইবরাহীম ও ইসমাইল কর্তৃক।

এরশাদ হয়েছে, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর,যা বাক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত বা বরকতময়।’(আলে ইমরান-৯৭)

এ ঘর এক মহাপবিত্র স্থান। একে পাবিত্র ও নিরাপদ রাখা মুসলমানদের উপর এক বিশেষ আমানত। এরশাদ হয়েছে,‘যখন আািম ইবরাহীমকে বায়তুল্লাহর জন্য স্থান ঠিক করে দিয়ে বলেছিলাম যে,আমার সাথে কাউকে শরীক করো না আমার গৃহকে পবিত্র রাখো তওয়াফকারীদের জন্য,নামাযে দণ্ডায়মানকারীদের জন্য এবং রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ (আল হজ্জ-২৬) ‘স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাইল কা’বা গৃহের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তারা দোয়া করছিল: ‘পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে (এ কাজকে) কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।’ (আল বাকারাা- ১২৭)

কুরআনের এসব আয়াত থেকে সুস্পষ্ট যে, কা’বা এক মহাসম্মানিত গৃহ এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য বিশেষ রহমত। ইবনে কাসীর (রহ:) তাঁর বিখ্যাত তাফসীরে কা’বার আদি সৃষ্টি নিয়ে দুটি ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তার একটি হলো যে,মানুষ সৃষ্টির পূর্বে ফেরেশতাকুলের জন্য আল্লাহ একটি ইবাদতগাহ সৃষ্টি করেন। পরবর্তীতে কোন স্থানে ইবাদতগাহ স্থাপন করা হয় যা নূহ (আ:)-এর প্লাবনের সময় ধ্বংস হয়। পরবর্তীতে ইবরাহীম ও ইসমাইল তা পুনরায় নির্মাণ করেন। ইবনে কাসীর মনে করেন যে, এ মতবাদ দুর্বল। তিনি আলী ইবনে আবী তালেব কর্তৃক বর্ণনা, কাবার পূর্বে সম্ভবত কতিপয় দেবালয় তৈরী হয়ে থাকবে তাকে গুরুত্ব দেন।

সহীহ আল বোখারীর একটি হাদিসে এসেছে,কা’বাই পৃথিবীতে প্রথম মসজিদ এবং দ্বিতীয় মসজিদ আল আকসা। আর এ ভাবেই আল্লাহ সর্বপ্রথম কাবার মাধ্যমে ইসলামী জিন্দেগীর সূত্রপাত করেন।

ইসলামী জিন্দেগীর রেনেসাঁর পরিপূর্ণতা অর্জন হয় কা’বাকে কেবলা হিসাবে গ্রহণের মাধ্যমে : এ ঘর মুসলিম জাহানের ক্বিবলা। প্রথম সময়ের মুসলমানগণ জেরুজালেমের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন, পরবর্তীতে আয়াত নাজিল হল, ‘হে রসুল! তোমার বার বার আকাশের দিকে ফিরে তাকানোকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখন তোমার মুখ সে কেবলার দিকেই ফিরায়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ কর। এখন মসজিদে হারামের দিকে মুখ ফিরাও অতঃপর তুমি যেখানেই থাকনা কেন, তার দিকেই মুখ করে তুমি নামাজ পড়তে থাকবে।’(আল-বাকারা -আয়াত- ৪৪) এ আয়তখানা নাজিল হয়েছিল দ্বিতীয় হিজরী সনের রজব কিংবা শাবান মাসে। ইবনে সায়াদ বর্ণনা করেন, নবী করীম (স:) বিশর- বিন বারা বিন মারুর-এর ঘরে নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে যোহরের নামাজের সময় হলে তিনি নামাজ পড়াবার জন্য দাঁড়ালেন। দু’রাকায়াত আদায় হওয়ার পর ৩য় রাকায়াতের সময় সহসা ওহীর মাধ্যমে এই আয়াত নাজিল হয় এবং সাথে সাথে রসুল (স:) এবং তাঁর সংগীরা ও অন্যান্য নামাজীগণ বায়তুল মুকাদ্দাসের দিক থেকে কা’বার দিকে মুখ ফিরায়ে নেন।

‘তোমার বার বার আকাশের দিকে ফিরে তাকানোকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখন তোমার মুখ সে কেবলার দিকেই ফিরায়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ কর।’ এ আয়াতাংশ থেকে স্পষ্টত-ই মনে হয় যে, কেবলা পরিবর্তনের নির্দেশ নাজিল হওয়ার পূর্বে নবী করীম (স:) এই পরিবর্তনের প্রতীক্ষায় উদগ্রীব ছিলেন, কারণ তখন বনী ইসরাইলের নেতৃত্বের যুগ নিঃশেষ হয়ে গেছে এবং সেই সঙ্গে বায়তুল মুকাদ্দসের কেন্দ্রীয় মর্যাদাও বিলুপ্ত প্রায়। এখন ইবরাহীমের মূল প্রাণ কেন্দ্রের দিকে মূখ করে দাঁড়াবার সময় সমুপস্থিত। তাই আল্লাহ হুকুম করলেন, ‘ওয়া মিন হাইছু খারাজ্তা ফাওয়াল্লি ওযাজহাকা শাত্রাল মসজিদেল হারাম’-পরন্তু যেখান হতেই তোমাদেও যাত্রা হবে সেখানেই নিজেদেও মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরাবে, যেখানেই তোমরা থাকবে সেদিকেই ফিরে নামাজ পড়বে।’ (আল বাকারা-১৪৯)

এ হুকুমের মাধ্যমে মুসলিম জাতির মধ্যে ইসলামী জীবনব্যবস্থার চেতনা, ইসলামী তাহজীব-তমদ্দুন ও মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। এ ব্যবস্থা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলমানদে প্রতি নেয়ামত। এ হুকুমের মাধ্যমে বনী ইসরাইলকে বিশ্বনেতৃত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা থেকে বিচ্যুত করে মুসলমানদেরকে দান করা হয়। কেবলা পরিবর্তন এ নির্দেশ ছিল মুলত: এ পদে মুসলমানদেরকে অভিষিক্ত করার নিদর্শন মাত্র।

মুসলমানদের শক্তির মূলকেন্দ্রবিন্দু কাবার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে অনেক : বায়তুল্লাহকে ঘিরে চক্রান্তও কম হয়নি। কোরায়েশদের পক্ষ থেকে কাবার দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে বাদশাহ আস’আদ আর হোমাইরী বয়তুল্লাকে ধ্বংস করার জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে কিছু নিদর্শন দেখার পরে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন এবং মক্কা পৌঁছে কাবার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কিছু কাজ করেন। তিনি মক্কায় দশ দিন অবস্থান করেন এবং এ সময় জনসাধারণ সহ হাজীদেরকে খাওয়ান, যার ফলে অনেক গোত্র উৎসাহিত হয়ে মক্কায় আসে এবং বসবাস শুরু করে। ৫৭১ খ্রিষ্টাব্দে আবিসিনিয়ার বাদশাহ আবরাহা মক্কা ধ্বংস করার জন্য প্রচেষ্টা চালালে আল্লাহ তার সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।

উমাইয়া শাসনকালে মক্কার উপর আক্রমণ চালান হয়। এজিদের সেনাপতি হোসাইন বিন নোমায়ের ৬৪ হিজরী সালে ২৬ মহররম মক্কা আক্রমণ করে। হোসাইন ইবনে নোমাইর ছ’ মাস চারদিন মক্কা অবরোধ করে রাখে। সে রবিউল মাসের তিন তারিখ শনিবার দিন প্রস্তর নিক্ষেপ যন্ত্রের সাহায্যে কাবা ঘরের উপর পাথর বর্ষণ করতে থাকে। ফলে কাবা ঘরে ফাটল ধরে। সে জনৈক সেনানীকে পাঠিয়ে কাবার গিলাফে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে কাবা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উমাইয়া শাসনকালে উমাইয়া সেনা কর্তৃক অবরোধ কালে মূল কা’বা পুড়ে গেলে পরে বর্তমান আকারে কা’বা নির্মিত হয়।

এজিদ বাহিনীর আক্রমনে কা’বা ঘর একেবারে নড়বড়ে হয়ে পড়ে। এজিদের মৃত্যুর পরে আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়ের (রা:) ঘরটিকে হযরত ইবরাহিম (আ:)-এর নির্মিত ঘরের ভিত্তির উপর পূনঃনির্মাণ করেন। পরবর্তীতে আবদ্ল্লুাহ ইবনে যোবায়েরের বিরুদ্ধে আবদুল মালেক বিন মারওয়ান হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে প্রেরণ করে। হিজরী ৭২ সালের সাবান মাসের শুরুতে হাজ্জাজ মক্কা নগরী অবরোধ করে এবং আবু কোবাইস পর্বতে পাথর নিক্ষেপক যন্ত্র স্থাপন করে সে পাথর মেরে কাবা ঘরটিকে পুনরায় ভঙ্গুর করে তোলে।

হাজ্জাজের আক্রমণে কাবা প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তীতে হাজ্জাজ খলিফা মালেকের পরামর্শ অনুযায়ী কোরায়েশদের নির্মিত সৌধের প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধনের পরামর্শ প্রদান করেন। ৭৪ হিজরী তথা ৬৯৩ খ্রিষ্টাব্দে পুনরায় কাবা নির্মাণ করেন। এ সময় সে কাবা ঘরের পশ্চিম দরজা বন্ধ করে দেয় এবং পূর্ব দরজাটি মাটির তল থেকে কিছুটা উপরে তুলে দেয়।

ওসমানী খলিফা মুরাদের শাসনকালে ভারীবর্ষণ ও বন্যার কারণে কাবা ঘরের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়। বন্যার পানি কাবা ঘরের দেওয়ালের মাঝ বরাবর ওঠে। এ সময় (১০৪০ হিজরী) সুলতান মূরাদ কাবা ঘরকে পূর্বের মতই নির্মাণের হুকুম দেন এবং সে অনুযায়ী কা’বা ঘর পুন:নির্মিত হয়। সে বিনির্মিত কাবাই বর্তমান দৃশ্যমান কা’বা।

কাবার বিরুদ্ধে ইসলামের শত্রুদের চক্রান্ত আজও থেমে যায়নি। তারা মেতে আছে কীভাবে মুসলমানদেরকে দমন করা যায়,কা’বাকে দখলে নেওয়া যায় এ চিন্তায়।তাই আল্লামা ইকবাল তাঁর ‘খিযর-ই-রাহ’শীর্ষক কবিতায় বলেন,

‘এক হোঁ মুসলিম হরম কি পাসবানি কেলিয়ে,

নীলকে সাহেল সে লেকর তাবাখাকে কাশগর।’

কাবা শরীফের ইজ্জত ও মর্যাদা রক্ষার্থে নীলনদের তীর হতে কাশগর পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমানকে সংঘবদ্ধ হতে হবে।

লেখক : প্রাবন্ধিক।