সিরিয়ায় গত ডিসেম্বরে স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদ উৎখাত হওয়ার পর প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। বাশারের পতনে অবসান ঘটে দীর্ঘ কয়েক যুগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের। এরপর ৬ মাসে নতুন নতুন সংকট দেশটির সামনে। এরই মধ্যে কিছু ইতিবাচক ঘটনাও ঘটেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পেসিডেন্ট শারার সাক্ষাৎ ও দেশটির উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। অতিসম্প্রতি দেশটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারা কয়েকটি দেশ সফর করেছেন আর দেশটির বিপ্লব উত্তর পরিস্থিতি নানা ঘটনাবলির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। শারার সাথে এ সাক্ষাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তার প্রশাসন এখন সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারার সাথে সাক্ষাতের পরপরই তিনি এ মন্তব্য করেন, যার বাহিনী আসাদ পরিবারের দশকব্যাপী স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল।
বিবিসির বিশ্লেষক লাইস ডুসেট বলছেন, কয়েক মাস আগেও যা (এই বৈঠক) কল্পনা করা যেত না। অকল্পনীয় এ অসাধারণ সাক্ষাৎটি ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ। ট্রাম্প রিয়াদে প্রাক্তন সিরিয়ান যোদ্ধার সাথে ৩৭ মিনিট দীর্ঘ বৈঠকের পর মন্তব্য করেন-আমি মনে করি তার সম্ভাবনা আছে। তার মাথার বিনিময়ে ১০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সৈাদি আরব সফরের সময় এটা ঘটে। সৌদি যুবরাজ, মোহাম্মদ বিন সালমান তাদের পাশে বসেছিলেন। তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান টেলিফোনে তাদের সাথে যোগ দেন। শুধু তাই নয়, সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণাও এসেছে তার পর। ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে এ দু’নেতাই তাকে সিরিয়ার উপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে রাজি করিয়েছিলেন।
এ সাক্ষাতের পর আরো কিছু অগ্রগতির খবর জানা যাচ্ছে। গত ২৫ মে ইস্তাম্বুলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বৈঠক করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া পুনর্গঠনে দেশটির নতুন নেতৃত্বের কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরদোগানের সঙ্গে শারার এ বৈঠক সম্পর্কে আগে কিছু জানানো হয়নি।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ইস্তাম্বুলের কার্যালয়ে দু’নেতার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের বেসরকারি চ্যানেল এনটিভি। গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে আল-শারা ক্ষমতায় আসেন। তাঁরা দেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিরিয়ার নতুন শাসকদের প্রতি শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছে আঙ্কারা। বৈঠকের আগে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের দপ্তরের বাইরে দু’নেতাকে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সিরিয়া-তুরস্কের এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, গোয়েন্দাপ্রধান ও প্রতিরক্ষা শিল্প সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। সিরিয়ার প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, আলোচনায় উভয় পক্ষ একাধিক অভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছে। বৈঠকে এরদোগান ও আল-শারা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। উত্তর-পূর্ব সিরিয়া থেকে বিদেশি কুর্দি যোদ্ধাদের বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা এবং প্রতিবেশী দেশটিকে জিহাদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছে।
২৮ মে রয়টার্স জানাচ্ছে, সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা কমানো ও যুদ্ধ ঠেকাতে চিরবৈরী দু’দেশ ইসরাইল ও সিরিয়া একে অপরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তারা মুখোমুখি বৈঠকও করেছে। এ ব্যাপারে জানেন এমন পাঁচজন ব্যক্তি রয়টার্সকে এসব কথা বলেছেন। এ যোগাযোগ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে দু’ বিপরীত মেরুর দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র চায়, দামেস্কের নতুন ইসলামপন্থি শাসকগোষ্ঠী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুক এবং ইসরাইলও সিরিয়ায় তাদের বোমা হামলা কমাক। দু’জন সিরীয়, দু’পশ্চিমা সূত্র ও একটি আঞ্চলিক গোয়েন্দা সূত্র থেকে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই কিছু মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে গোপনে ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যে আলোচনা চলছিল। এখনকার সরাসরি যোগাযোগ সে গোপন আলোচনারই পরবর্তী ধাপ। আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকা ইসরাইল ও সিরিয়ার মধ্যকার বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর হওয়ায় সূত্রগুলো নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। এ সরাসরি আলোচনা ও এর সম্ভাবনা সম্পর্কে আগে কখনো প্রকাশ্যে কিছু জানানোও হয়নি।
এসব ঘটনা ঘিরে সিরিয়ার ভবিষ্যত কী হতে পারে এ নিয়ে বিশ্লেষকরা জানা জল্পনা কল্পনা করছেন। বাশার আল-আসাদের পতনের পর আল-শারার নেতৃত্বাধীন নতুন সিরিয়ার প্রশাসন পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। বাশার ইরানী পক্ষপুটে ছিলেন, তার পতনে ইরানী প্রভাব হ্রাস পেয়েছে, ফলে ইসরাইলের সাথে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়েছে। অনেক দেশ তাদের অতীত নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
সিরিয়া সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য। সিরিয়া আড়াই কোটি লোকের দেশ। ১০ শতাংশ খৃস্টান বাদ দিয়ে বাদবাকি সবাই সুন্নি মুসলিম। সাংবিধানিকভাবে সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্র হল পশ্চিম এশিয়ার একটি সার্বভৌম দেশ যার দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে লেবানন, পশ্চিমে ভূমধ্যসাগর, উত্তরে তুরস্ক, পূর্বে ইরাক, দক্ষিণে জর্ডান এবং দক্ষিণ পশ্চিমে ইসরাইল। উর্বর সমতলভূমি, উচ্চ পর্বত এবং মরুভূমির একটি দেশ। আরবরা হল বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং সুন্নীরা হল বৃহত্তম ধর্মীয় গোষ্ঠী। দীর্ঘদিন গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে সেখানকার শাসন ব্যবস্থা হয়ে উঠেছিল ঘোলাটে। গৃহযুদ্ধে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণ গেছে। বিপ্লবের পর দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে সিরিয়া এমন কিছু বিশ্লেষণ দেখা গেছে সম্প্রতি। বলা হয়, বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় বাথ পার্টির ৬১ বছরের শাসনের অবসান হয়। সে সঙ্গে অবসান হয় আসাদ পরিবারের ৪১ বছরের শাসনের। গত বছরের ডিসেম্বর সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসান হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে দেশটিতে। জ্বলছে প্রতিশোধের আগুন। ইতোমধ্যেই সেই আগুনে প্রাণ দিতে হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি মানুষকে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি দেশটিতে চরমপন্থা বাড়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েক মাস এমন শংকা প্রকাশ করে আসছেন বিশ্লেষকরা।
কেন গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি? বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশে নতুন গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা। অনেকে সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী করেন অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল শারার নেওয়া কিছু সিদ্ধান্তকে। তিনি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া সিরিয়ার সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষাকারী সব বাহিনী ভেঙে দিয়েছেন। এর ফলে হাজার হাজার কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত হয়েছেন ও তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। হাজার হাজার সরকারি কর্মকর্তাও চাকরিচ্যুত হয়েছেন। সিরিয়ার ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে ও তাদের একটা বড় অংশের চাকরি নেই। এমন পরিস্থিতিতে দেশের ভেতর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়াকে ‘স্বাভাবিক’ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা চরমপন্থি আদর্শের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠবে। কারণ ক্ষমতাসীন হায়াত তাহরির আল-শামস (এইচটিএস) মূলত আল কায়েদার একটি সহযোগী সংগঠন। এ সংগঠনটি এখন ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপগুলোর ওপর নিপীড়ন চালাতে পারে। এর ফলে সংঘাতও বাড়বে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শারার সাম্প্রতিক কিছু তৎপরতা সংঘাতের হাত থেকে দেশকে রক্ষার চেষ্টা বলে মনে করা হ্েছছ। তার কারণ সিরিয়া নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের জন্য সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা ২ মার্চ একটি ডিক্রি জারি করে এ কমিটি গঠন করেছেন, যা সিরিয়ার ট্রানজিশনাল (ক্রান্তিকালীন) পর্বের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করবে। এটি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং আসাদ সরকারের পতনের পরবর্তী সময়ে নতুন সংবিধান ও আইনগত কাঠামো তৈরি করবে। এ সিদ্ধান্ত সিরিয়ার জনগণের আশা ও চাহিদার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে, যাতে তারা একটি আইনের শাসনের ওপর ভিত্তি করে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন করতে পারে। সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনের ফলস্বরূপ, এ সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। সম্মেলনটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। এর দ্বিতীয় দিন রাষ্ট্রপতি শারা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনটির লক্ষ্য ছিল বাশাার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার ভবিষ্যতের রূপরেখা তৈরি করা।
সিরিয়ার জাতীয় সংলাপ সম্মেলনের চূড়ান্ত বিবৃতিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল, ট্রানজিশনাল পর্বের জন্য একটি অস্থায়ী সংবিধান ঘোষণা দ্রুত করা হবে, যা সংবিধানিক শূন্যতা দূর করবে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়া সহজ করবে। এছাড়াও, সম্মেলনে একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের জন্য কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে শক্তির ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয় এবং ন্যায়, স্বাধীনতা, সমতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়।
সিরিয়ার দীর্ঘ ২৫ বছর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বাশার আল-আসাদ ৮ ডিসেম্বর রাশিয়া চলে যাওয়ার পর তার সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে ২৯ জানুয়ারি, শারা-কে ট্রানজিশনাল পর্বের জন্য সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এর সঙ্গে সঙ্গেই পূর্ববর্তী সরকারের আর্মড ফ্যাকশন, নিরাপত্তা সংস্থা, পার্লামেন্ট, বাথ পার্টি এবং পূর্ববর্তী সংবিধান বাতিল করা হয়।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাসহ সিরিয়াকে পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব প্রস্তাবের পক্ষে সম্মতির ইঙ্গিত পাওয়ার পরই সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, এখনো নিজেদের সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গেও বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের মতে, ‘সিরিয়াকে মহান হওয়ার জন্য আরেকটি সুযোগ’ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও শারার সঙ্গে সাক্ষাতের ঘোষণার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের রাস্তায় দেশটির সাধারণ মানুষকে উল্লাস করতে দেখা যায়। তাঁরা এটিকে ‘সিরিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তন’ হিসেবে দেখছেন।
সিরিয়ায় শান্তি ফিরে আসুক সবাই এটা চান। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট দৌড়ঝাঁপ কম করছেন না। তিনি সঙ্গে পেয়েছেন মিত্র প্রতিবেশী দেশের রজব তাইয়েব এরদোগানকে। সৌদি আরবও তার পাশে রয়েছে। ইসরাইলসহ অন্য প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক ও বিভিন্ন মত পথের সিরিয়া গড়ে উঠবে কি না তা সময়ই বলে দেবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।