নুসরাত জাহান স্মরনীকা
প্রতিনিয়ত নারীদের এক অদৃশ্য যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। যার প্রতিটা আঘাত আর তার রক্তক্ষরণ হয় হৃদয়ে। পৃথিবী এবং তার মানুষ যতোই উন্নত হোক না কেন রাস্তা ও গণপরিবহনের মতো জায়গায়ও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও প্রশ্ন উঠছে। প্রতিনিয়ত নারীরা সম্মুখীন হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতার। গণপরিবহনে নজরদারির অভাব, আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব এবং দুর্বল বাস্তবায়ন, অপরাধীদের যথাযথ শাস্তির প্রতি অবহেলা এবং সমাজের কিছু ব্যক্তিবর্গের নীচ মনমানসিকতা নারীদের নিরাপত্তা কে বাধাগ্রস্ত করছে। বর্তমান সময়ে নারীরা পুরুষদের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে থাকছে নারীর অংশগ্রহণ, নারীর অবদান। তবুও নারীদের নিরাপত্তা প্রদানে সরকার নীরব ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো ঠেকাতে সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় নি। নারীর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সমাধান করতে হলে নারীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে তৈরি আইনের যথাযথ প্রয়োগ, অপরাধীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা, সচেতনতামূলক বার্তা ছড়ানো এবং সমাজের সকলের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন জরুরি। ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি অনেকের কাছে সাধারণ মনে হলেও এগুলো দীর্ঘস্থায়ী মানসিক নিপিড়নের সৃষ্টি করে। তাই রাস্তা ও গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।
লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।