আসিফ আরসালান

বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া তীরে এসে তরী ডোবার মতো অবস্থায় পৌঁছেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঐকমত্য কমিশন ৬টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে দেশের ৩২টি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক শুরু করেন। ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি যদিও স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা। তারপরেও তিনি নিজে কোনো বৈঠকে সভাপতিত্ব করেননি (ওয়ার্কিং সেশন)। ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রিয়াজ বিগত ৭ মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সমানে বৈঠক করে যাচ্ছেন। গত ২২ তারিখ থেকে কমিশনের বৈঠক আপাতত মুলতবি রয়েছে। কারণ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর মুখ্য আলোচক ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন। ঐ দিকে ড. আলী রিয়াজও এখন আমেরিকায়। পত্রিকান্তরের খবর মোতাবেক ড. আলী রিয়াজ প্রথমে তার কর্মস্থল আমেরিকার ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। সেখানকার কাজ সেরে তিনি নিউইয়র্কে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন বলে ঐ খবরে প্রকাশ। যাহোক, সারকথা হলো, আপাতত কমিশন এবং পলিটিশিয়ানরা দম ধরে আছেন।

৭ মাস ধরে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সবগুলো আলোচনাই সংবিধান সংস্কারে এসে হোঁচট খাচ্ছে। অন্য যতসব বিষয়েই আলোচনা করুন না কেনো এদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ সংবিধান সংস্কার নিয়েই সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। এর একটি কারণও রয়েছে। সেটা হলো, আমরা আগে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রে ছিলাম তখন পাকিস্তান একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে সময় নিয়েছিলো পুরো ৯ বছর। পক্ষান্তরে ভারত ৩ বছরের মধ্যেই সংবিধান প্রণয়ন করে। পাকিস্তানের সংবিধান চালু হয় ১৯৫৬ সালে। এটি ছিলো বহুদলীয় সংসদীয় বা পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার। পক্ষান্তরে ভারতে ১৯৫০ সালে। ভারতেও বহুদলীয় পার্লামেন্টারি সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। সে থেকে আজ অর্থাৎ ২০২৫ সাল পর্যন্ত এ ৭৬ বছরে ভারতের সংবিধান একবারও হোঁচট খায়নি। পক্ষান্তরে পাকিস্তানে শাসনতন্ত্র চালুর ২ বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৫৮ সালে জেনারেল আইয়ূব খান সামরিক আইন জারি করেন এবং শাসনন্ত্র বাতিল করেন।

এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসনতন্ত্র রচনা ও চালু করেন। ১৯৬৯ সালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান উভয় অঞ্চলে প্রবল গণঅভ্যুত্থান ঘটে। এ গণঅভ্যুত্থানের পিঠে সওয়ার হয়ে জেনারেল ইয়াহিয়া খান জেনারেল আইয়ূব খানের নিকট থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন এবং আইয়ূবের শাসনতন্ত্র বাতিল করেন। জেনারেল ইয়াহিয়া খান মাত্র ২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। শাসনতন্ত্রের অভাবে তিনি সামরিক আইনের মাধ্যমে আইনগত কাঠামো বা লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক (এলএফও) অর্ডার জারি করেন। এ এলএফও’র অধীনে ১৯৭০ সালে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, সারা পাকিস্তানভিত্তিক একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটি প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর। এ নির্বাচন হয় পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি গণপরিষদ গঠনের উদ্দেশ্যে। সে গণপরিষদ শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও চালু করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পাকিস্তানের পার্লামেন্ট হিসাবে রূপান্তরিত হওয়ার কথা ছিলো।

পাঠক, লক্ষ্য করবেন, আমি বলেছি যে, রূপান্তরিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সে কথা আর কোনো দিন বাস্তবায়িত হয় নি। কারণ ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর সাবেক পূর্বপাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হিসাবে আবির্ভূত হয় শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ। পশ্চিম পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি। ১৬৯টি আসন পেয়ে সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে শেখ মুজিবের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

যেহেতু নির্বাচনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তানের একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন তাই নির্বাচনের পর শেখ মুজিব ড. কামাল হোসেনকে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়নের দায়িত্ব দেন। ড. কামাল হোসেনের টিম ৬ দফার ভিত্তিতে একটি শাসনতন্ত্রের খসড়া প্রণয়ন করে। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শেখ মুজিব জেনারেল ইয়াহিয়ার হাতে আওয়ামী লীগের ঐ খসড়া শাসনতন্ত্র প্রদান করেন। প্রিয় পাঠক, আপনারা হয়তো ভাবছেন, বাংলাদেশের কথা লিখতে গিয়ে আমি পাকিস্তানের এমন লম্বা অতীত ইতিহাস কেনো টেনে আনছি। টেনে আনার প্রয়োজন আছে। কারণ একটু পরেই আপনারা দেখতে পাবেন যে, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের সাথে বাংলাদেশের জুলাই সনদ নিয়ে বর্তমানে সৃষ্ট অচলাবস্থার বেশ মিল রয়েছে।

জেনারেল ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের খসড়া শাসনতন্ত্র দেখে বলেন যে, যেহেতু জেড এ ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের একক নেতৃত্বের অধিকারী হয়েছেন তাই এ খসড়াটি ভুট্টোকে দেখানো দরকার। ভুট্টোকে ঢাকায় ডাকা হয়। তিনি ঢাকায় আসেন। আওয়ামী লীগের খসড়া শাসনতন্ত্র পুরোটা পড়েন। অতঃপর তিনি বলেন, এটি তো কোনো ফেডারেল রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র নয়। এটি হলো একটি কনফেডারেল রাষ্ট্রের শাসনতন্ত্র। অখণ্ড পাকিস্তানের নেতা হিসাবে তিনি একটি কনফেডারেল শাসনব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন না। তিনি শেখ মুজিবকে ঐ খসড়ায় কয়েকটি সংশোধনীর পরামর্শ দেন, যাতে করে সেটি একটি ফেডারেল শাসন ব্যবস্থার শাসনতন্ত্র হয়। শেখ মুজিব বলেন, তিনি ঐ খসড়া শাসনতন্ত্রের দাঁড়ি, কমা ও সেমিকোলন পর্যন্ত পরিবর্তন করবেন না। এরপর কি ঘটে সেটি কারো অজানা নয়। আসে ২৫ মার্চের কাল রাত্রি। তারপর ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

প্রিয় পাঠক, দেখতে পাচ্ছেন যে, ২৪ বছরেও পাকিস্তান তার জনগণকে একটি গ্রহণযোগ্য শাসনতন্ত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে পাকিস্তান ভেঙে গেছে। আজ ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ঠিক পাকিস্তানের মতো অবস্থায় না গেলেও একটি গুরুতর সাংবিধানিক সঙ্কটের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশেরও ৫৪ বছর পার হতে চললো। কিন্তু আমরা আজও সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সংবিধান উপহার দিতে পারিনি। কেনো পারিনি? তার অনেক গুলো কারণ আছে। নীচে খুব সংক্ষেপে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করছি।

প্রথমত, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যারা জয়ী হন সে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্যই নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐ ব্যক্তিরাই, যারা পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নের কোনো কর্তৃত্ব জনগণ তাদেরকে দেয়নি। দ্বিতীয়ত, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে (মুজিবনগর) স্বাধীনতার যে ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় সেখানে বাঙালী জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের কোনো উল্লেখ ছিলো না। শেখ মুজিব স্বয়ং অজ্ঞাত উৎস থেকে এই ৩টি সংজ্ঞা ৭২ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। তৃতীয়ত, ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৭২ সালের সংবিধানের খোল নলিচা পুরোটাই পাল্টে দেয়া হয়। বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে একদলীয় এবং একব্যক্তি কেন্দ্রিক প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা করা হয়। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী মোতাবেক বাকশাল নামে এ স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠিত হয়, যার ম্যানডেট শেখ মুজিবের ছিলো না। এ চতুর্থ সংশোধনীতে জাতীয় সংসদের মেয়াদ স্বৈরাচারী কায়দায় ২ বছর বাড়ানো হয় এবং শেখ মুজিবকে আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হয়।

আজ আমরা শেখ হাসিনাকে একদলীয় এবং এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক স্বৈরাচারের উদগাতা মনে করি। কিন্তু একদলীয় একব্যক্তি কেন্দ্রিক স্বৈরাচার প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট শেখ মুজিবের সরকার অপসারিত হলে প্রথমে খন্দকার মোশতাক এবং পরে জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা গ্রহণ করেন। জেনারেল জিয়া শেখ মুজিবের চতুর্থ সংশোধনী বাতিল করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন। তবে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি বহাল থাকে।

তারপর দেশে দুটি গণঅভ্যুত্থান ঘটে গেছে। একটি ১৯৯০ সালে প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে। আর একটি ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব, যেখানে জনরোষের শিকার হয়ে শেখ হাসিনা তার দলবল সহ প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারতে পালিয়ে যান। এ বিপ্লবের পর জন আকাক্সক্ষাকে সম্মান দেওয়ার জন্য সংস্কার কমিশন ৩২টি রাজনৈতিক দলের সাথে ম্যারাথন সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, যার কথা শুরুতে বলেছি। বিপ্লবের পর যে ম্যারাথন সংলাপ এখনো চলমান সেখানে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে দুটি পক্ষ। একদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন একাধিক সমমনা জোট। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে অধিকাংশ ইসলামী দল। এনসিপি জামায়াতের মিত্রদের সাথে যোগ না দিলেও বিএনপির অবস্থানের বিরুদ্ধে তারাও অবস্থান গ্রহণ করেছে।

এখন যে সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে সেটিও ঐ সংবিধান নিয়ে। পিআর সিস্টেম নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে আকাশ পাতাল দূরত্ব থাকলেও সেটিও ঐ সংবিধান নিয়ে। সবশেষে যে বিষয়টি সব কটি ইস্যুকে ছাপিয়ে সামনে এসেছে সেটি হলো জুলাই সনদের বাস্তবায়ন। বিএনপির অবস্থান হলো, সংবিধানে সংস্কার কমিশন হাত দিতে পারবে না। সেটি করবে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্ট। আগামী নির্বাচন তাহলে কোন ভিত্তিতে হবে? বিএনপির উত্তর, বর্তমান সংবিধানের অধীনেই হবে। কিন্তু জামায়াতও অন্যদের বক্তব্য হলো, নির্বাচনের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং আগামী নির্বাচন হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। এটিই এখন সব সমস্যার মূল সমস্যা।

প্রশ্ন উঠেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হবে কিভাবে? উত্তর খুব পরিষ্কার। উত্তরটি হলো, শহীদ জিয়াউর রহমান যেভাবে পঞ্চম সংশোধনীকে সাংবিধানিক ভিত্তি দিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই জুলাই সনদকেও সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়া হবে। জিয়াউর রহমান প্রথমে মার্শাল ল’ অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কতগুলি মৌলিক সংস্কার করেন। অতঃপর নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত পার্লামেন্ট তাকে র‌্যাটিফাই করে। শহীদ জিয়ার এ সাংবিধানিক সংস্কারকে পঞ্চম সংশোধনী বলা হয়। এখন জিয়ার আদলে জুলাই সনদকে সাংবিধানিক বৈধতা দেয়া হবে। না হলে গণভোট।

সর্বশেষ অবস্থা এখনো পরিষ্কার নয়। আলী রিয়াজের কমিশন ৪ জন সংবিধান বিশেষজ্ঞের সাথে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, সবচেয়ে নিখুত এবং ত্রুটিমুক্ত পথ হলো জুলাই সনদ গণভোটে অনুমোদন করিয়ে নেয়া। শোনা যাচ্ছে যে, বিএনপিও নাকি গণভোটে রাজি হয়েছে। তবে তারা চায় যে, একই দিন অর্থাৎ যে দিন পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে সেই দিনই জুলাই সনদের ওপর গণভোটও হবে। একই দিন নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে জামায়াত এবং অন্যান্য দল রাজি নয়।

ঠিক এ পয়েন্টেই সৃষ্টি হয়েছে এক বিরাট গিট্টু, যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয়, Gordian knot. সোজা কথা, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রীতিমতো অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ডেড লক বা অচলাবস্থা ঐকমত্য কমশিন এবং রাজনৈতিক দল সমূহ কিভাবে কাটিয়ে উঠবে? সেটি দেখার জন্য জনগণ অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করছেন।