ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনের সড়কটিকে চিকিৎসাসেবা, সাধারণ মানুষের আশ্রয়স্থল ও ব্যস্ত নাগরিক গতিবিধির কেন্দ্র হিসেবে মনে করা হয়। অথচ এ স্থানেই গত ৯ জুলাই দুপুরে ঘটে যায় এমন এক ঘটনা, যা আমাদের মানবিকতার ভিতকে নাড়িয়ে দেয়। ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) কে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে, ইট-পাথর দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়Ñএটি ছিল এক ধরনের ক্ষমতার প্রদর্শন, প্রতিহিংসার উন্মাদনা এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের নগ্ন রূপ। এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে উঠে আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও তাদের অঙ্গসংগঠনÑযুবদলের নাম। ঘটনাটি ৯ তারিখ ঘটলেও তা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের নজরে আসে ১১ তারিখ।

৫ আগস্ট ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতনের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্যে এক বড় পরিবর্তন আসে। দীর্ঘদিন বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা বিএনপি হঠাৎ করে ক্ষমতার সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে। মোটামুটি সব সমীকরণেই বিএনপিকে পরবর্তী ক্ষমতাসীন বলে বিবেচনা করা হয়। তবে বিএনপির এ উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলটির ভেতরে জমে থাকা দুর্বলতা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, অপরাধমূলক সংস্কৃতি এবং চাঁদাবাজির প্রবণতাও প্রকাশ্যে আসে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করে সহিংসতা, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ভয়াবহ সব অভিযোগ। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, এক সময়ের ‘আন্দোলন ও সংগ্রামে মুখর হয়ে থাকা দলটি যেন ক্রমেই অপরাধী নানা চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

সর্বশেষ ঢাকার মিটফোর্ডে সোহাগ নামের এ ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যাÑএ ঘটনাতেও বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য উঠে এসেছে। এটি এমনই এক বীভৎস হত্যাকাণ্ড, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঘটনাটির পেছনে ছিল চাঁদাবাজি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। বিএনপির অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যেÑবিশেষ করে যুবদল ও ছাত্রদলেরÑঅনেক নেতাকর্মী বর্তমানে জায়গা দখল, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং চাঁদা আদায়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন। যদিও বিএনপি বিষয়টি নিছক চাঁদাবাজির ফলাফল হিসেবে মানতে নারাজ। বিএনপিপন্থী অনেক এ্যাক্টিভিস্ট বরং বলছেন, বিএনপির ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থেকে উদ্ভুত একটি ঘটনাকে চাঁদাবাজি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

বিএনপি ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়, কখনো আন্দোলনের মঞ্চে, দলটি দেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু আজ প্রশ্ন উঠেÑদলটি এখন কোন পথে হাঁটছে? গণতন্ত্রের পথে, নাকি অপরাধের পথে? সোহাগের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড এ প্রশ্নকে আবারও সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে। নিহত ব্যক্তি এক সময় যুবদলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রোগ্রামে অংশ নেয়া অনেক ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আজ সে সোহাগ তার দলেরই কিছু নেতাকর্মীর হাতে প্রাণ হারালেন। হত্যার প্রক্রিয়াÑডেকে নিয়ে যাওয়া, বেধড়ক মারধর, পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া, বিবস্ত্র করে জনসমক্ষে হত্যাÑকেবল অপরাধ নয়, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশবিক চিত্র।

এ বর্বরোচিত ঘটনায় দলের যেসব নেতাকর্মীর নাম এসেছে বিএনপি হাইকমান্ড এরই মধ্যে তাদের বহিস্কার করেছে। বিএনপি দাবি করছে দল হিসেবে তাদের এর চেয়ে বেশি আর কিছু করার নেই। গত ১২ জুলাই রাজধানীতে জুলাই ভিকটিমদের নিয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ঘটনার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তার মতে, ‘দেশ এখন বিএনপি চালাচ্ছে না, চালাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু তারা কেন অপরাধীদের সবাইকে এখনো আটক করছে না?’ বিএনপির অন্য নেতারা একই প্রোগ্রামে এবং পরবর্তীতে টিভি টকশোতে আরো বলছেন, ঘটনাস্থলের কাছেই আনসার ক্যাম্প ছিল। কেন তারা ঘটনাটি নীরব দর্শক হিসেবেই অবলোকন করলো? সর্বোপরি বিএনপির অভিযোগ হলো, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে এবং তারা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ করার উদ্দেশ্যেই এমনটা করছেন যাতে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া যায়।

তবে বিএনপি নেতৃবৃন্দ যাই বলুন না কেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে, ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং সংঘর্ষে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এদের বেশিরভাগই নিহত হয়েছেন নিজেদের দলের লোকজনের হাতেইÑবালু ব্যবসা, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ, চাঁদার ভাগ নিয়ে বিরোধ এবং নেতাদের প্রতি আনুগত্যের দ্বন্দ্ব ছিল এসব ঘটনার মূল। সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা যায় ঢাকা, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি, খুলনা ও বরিশালেও সংগঠনভিত্তিক দখলদারির ঘটনায় একাধিক মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে এসেছে।

এ সহিংসতা রোধে বিএনপি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কিছু নেতাকর্মীর বহিষ্কার এবং স্থানীয় নেতাদের অব্যাহতি দিয়েছে। কিন্তু এটুকু শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যে যথেষ্ট নয়, তা স্পষ্ট হয় প্রতিটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার কারণে। বলা যায়, দলটি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে তোলা সংঘবদ্ধ অপরাধমূলক নেটওয়ার্ককে থামাতে সক্ষম হয়নি, বরং ক্ষমতার কাছাকাছি এসেই অনেক নেতাকর্মী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এছাড়া বিএনপির “হাইব্রিড” নেতাদের বিরুদ্ধে দলের ভেতর থেকেই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, সুবিধাবাদী, টাকা দিয়ে পদ কেনা, অতীতে ক্ষমতাসীন দলে থাকা বা ভিন্ন মতাদর্শ থেকে আসা ব্যক্তিরা এখন দলে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। পাবনার আটঘড়িয়ায় একটি সহিংসতার পর বিএনপির এক গ্রুপ অপর গ্রুপের নেতাদেরকে হাইব্রিড ও আওয়ামী লীগ থেকে আসা হিসেবে অপবাদ দিয়েছে। গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, গত কয়েক মাসে প্রায় ৪,০০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে অনেকে শাস্তি পেলেও অধিকাংশই আবার রাজনৈতিক চাপের কারণে রেহাইও পেয়েছেন। অন্যদিকে, দেশি ও বিদেশী গণমাধ্যমেও নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ নিয়ে বেশ কিছু নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলোতে দাবি করা হচ্ছে যে, ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশে একটি বড় ধরনের প্রশাসনিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে, যার সুযোগ নিচ্ছে দুর্নীতিপরায়ণ গোষ্ঠী। সরকার-পরবর্তী দুর্বল প্রশাসন, নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাংকিং খাত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বিধান্বিত অবস্থানÑসবকিছু মিলে রাষ্ট্রীয় দুর্বলতা চলমান অপরাধমূলক কার্যক্রমগুলোকে একপ্রকার প্রশ্রয় দিচ্ছে।

আওয়ামী আমলে অন্য সব গণতান্ত্রিক শক্তির মতো বিএনপিও ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছে। আওয়ামী প্রতিহিংসার নিষ্ঠুর ভিকটিম হয়েছে বিএনপি এবং এর অগণিত নেতাকর্মী। কিন্তু আওয়ামী লীগ পতনের পর বিএনপি যে কোনো বিবেচনাতেই সবচেয়ে বড়ো এবং সম্ভাব্য ক্ষমতাসীন দল হিসেবে পরিগণিত হলেও অনেকক্ষেত্রেই তারা জনগণের আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সর্বশেষ মিটফোর্ডের ঘটনাটি এর আরেকটি দৃষ্টান্ত। বিএনপি রাজনীতির ‘সংখ্যায় বড় দল’ হয়তো হতে পারে, কিন্তু তারা ‘নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ একটি রাজনৈতিক শক্তি কিনা তা এখন সত্যিই বিবেচনার দাবি রাখে।

নিহত লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের পরিবার ন্যায়বিচার চায়। হত্যাকারীদের শাস্তি হোকÑসেটা তারা রাজনৈতিক দলের নেতাই হোক কিংবা সাধারণ সদস্যÑসবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে চারজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবুও জনমনে প্রশ্ন-এ মামলা কি বিচারহীনতার অতলে হারিয়ে যাবে? না কি রাজনৈতিক পরিচয় বাদ দিয়ে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করবে? বাংলাদেশে বহু হত্যাকাণ্ড হয়েছে যার বিচার হয়নি। গুম, রাজনৈতিক হত্যা, ছাত্র রাজনীতির নামে সহিংসতাÑসব কিছুতেই রাজনৈতিক পরিচয় অপরাধীদের রক্ষা করেছে। আর দল ক্ষমতায় চলে আসলে তো কথাই নেই। অপরাধীর নির্দোষ হয়ে মুক্তি পাওয়া তখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি লাল চাঁদের ক্ষেত্রেও তাই হয়, তবে এটা হবে শুধু তার পরিবারের জন্য নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রের জন্য এক ব্যর্থতা।

এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, বিএনপি যতই ক্ষমতার কাছাকাছি নিজেদের মনে করুক না কেন; আন্দোলনের বা ত্যাগ তিতিক্ষার যতই ইতিহাস থাকুক- জনগণ তাদের গ্রহণ করতে পারবে না যদি তারা নিজেদের দলীয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়। শুধু নেতৃত্বে পরিবর্তন, কিছু নেতার মুখ বন্ধ রাখা কিংবা প্রতীকী শাস্তি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। বিএনপিকে যদি সত্যিই একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে হয়, তবে চাঁদাবাজি, দখলদারি, দলীয় সংঘর্ষ ও দুর্নীতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির সামনে সুযোগ এসেছিল জনগণের আস্থা অর্জনের। কিন্তু সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দলটি যদি সংঘর্ষ, চাঁদাবাজি ও অপরাধের পথে হাঁটেÑতবে তা শুধু নিজেদের জন্য নয়, দেশের জন্যও একটি বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে।

একই সঙ্গে রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে-যেকোনো দলের পরিচয়কে উপেক্ষা করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা। যদি রাজনীতির নামে এ সহিংসতা, খুনাখুনি ও চাঁদাবাজিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তবে রাষ্ট্রীয় কাঠামোও ধসে পড়বে। তাই প্রয়োজন অবিলম্বে বিচার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং রাজনৈতিক সংস্কারের। সোহাগের করুণ মৃত্যু আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলÑরাজনীতি যদি নিয়ন্ত্রিত না হয়, যদি দলের শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে তা অপরাধের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

যে প্রজন্ম জুলাই বিপ্লব ঘটিয়েছে তারা রাজধানী ঢাকার পল্টনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার হত্যাকাণ্ড দেখে বড়ো হয়েছে। তারা প্রকাশ্য দিবালোকে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করতে দেখেছে। তারা ক্যাম্পাসে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করতে দেখেছে। তাই তারা এ ধরনের অসহনীয় সব পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে চেয়েছে। এমন রাজনীতি বন্ধ করতে চেয়েছে যেখানে রাজনীতির পরিচয়ে মানুষকে রাস্তার ওপর পিটিয়ে মারা যায়। এ প্রজন্ম তাদের কাজ করে দিয়েছেন। একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন। ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছেন। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন এ বাংলাদেশেও পুরনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বর্বরতা থাকবে-তা মোটেও কাম্য নয়। তবে এ বর্বরতা থামাতে হলে সরকার ও রাজনৈতিক দলসহ সকল মহলকে যে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সর্বোপরি বর্বরতামুক্ত এবং সভ্য সমাজ বিনির্মাণে চাই রাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান, আইনের সঠিক প্রয়োগ, এবং দলগুলোর আত্মশুদ্ধি। রাজনীতির এ অসুস্থ ও অসভ্য প্রবণতা যদি অনতিবিলম্বে থামানো না যায়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি আর গণতন্ত্র দুটোই দুর্বৃত্তায়ণের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।