প্রফেসর তোহুর আহমদ হিলালী

মানুষ আল্লাহপাকের সর্বোত্তম সৃষ্টি এবং তাঁর খলিফা। প্রতিনিধিত্ব করার লক্ষ্যে আল্লাহপাক তাঁর নিজের গুণাবলি থেকে সীমিত পরিসরে মানুষকে দান করেছেন। এ জন্য বলা হয়, তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও বা আল্লাহর রঙে রঞ্জিত হও। আল্লাহপাকের রব, মালিক, হাকিমÑ এভাবে ৯৯টি গুণ রয়েছে। আল্লাহপাকের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষ হবে আব্দুর রব, আব্দুল মালেক, আব্দুল হাকিম। মানুষ যাতে যথার্থ প্রতিনিধিত্ব করতে পারে সেজন্য আল্লাহপাক নবী-রাসুলদের মাধ্যমে বিধানও দান করেছেন। প্রতিনিধির নিজস্ব বলে কিছু নেই। আল্লাহপাক প্রদত্ত বিধান কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মেনে চলা প্রতিনিধির দায়িত্ব। হ্যাঁ, প্রতিনিধি হিসেবে আল্লাহপাকের বিধান মেনে সমাজে সুশাসন কায়েম করবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। হজরত আদম (আ.) প্রথম মানুষ হওয়ার সাথে সাথে ছিলেন প্রথম নবী। মানুষের হেদায়াতের জন্য আল্লাহপাক তাঁর বিধানসহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন। সকল নবী ও রাসুলের মৌলিক কাজ ছিল আল্লাহপাক প্রদত্ত দীন দুনিয়ার জীবনে প্রতিষ্ঠা করা। আল্লাহর বাণী, ‘তিনি তোমাদের জন্য দীনের সেসব নিয়ম-কানুন নির্ধারিত করেছেন যার নির্দেশ তিনি নুহকে দিয়েছিলেন এবং (হে মুহাম্মদ) যা এখন আমি তোমার কাছে ওহির মাধ্যমে পাঠিয়েছি। আর যার আদেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম, মুসা ও ইসাকে। তার সাথে তাগিদ করেছিলাম এই বলে যে, দীন কায়েম করো এবং এ ব্যাপারে মতপার্থক্য সৃষ্টি করো না’- সূরা শূরা ১৩। দীন কায়েমের প্রশ্নে কোনো মতপার্থক্য আল্লাহ তায়ালা মেনে নেবেন না। মহান আল্লাহপাক সর্বশেষ নবী ও রসুল মুহাম্মদ (সা.)-কে পাঠিয়েছেন একই নির্দেশ দিয়ে এবং কুরআন মজিদের তিন জায়গায় সূরা তওবা (৩৩নং), সূরা ফাতাহ্ (২৮নং) ও সূরা সফে (৯নং) স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। আল্লাহর বাণী, ‘তিনি আপন রসূলকে হেদায়াত ও সত্য-সঠিক জীবনব্যবস্থা (দীনে হক) দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে সকল জীবনব্যবস্থার ওপর একে বিজয়ী করে দিতে পারেন, মুশরিকদের কাছে তা যতই অসহনীয় হোক’- সূরা সফ ৯।

আল্লাহপাক তাঁর নবী-রসূলকে সমসাময়িক শাসকদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন। এ পৃথিবীতে হক ও বাতিলের দ্বন্দ্ব চিরন্তন। সকল নবী-রাসুলের দাওয়াত ছিল অভিন্ন- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ বা হুকুমকর্তা নেই। এটি ছিল এক বিপ্লবাত্মক ঘোষণা; বলা যায়, তাগুত উৎখাতের লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক স্লোগান; কারণ এ স্লোগানের মাঝে রয়েছে তাগুতকে অস্বীকার করার ঘোষণা। কালিমা তাইয়্যেবাকে বুঝে-শুনে বিশ্বাস করলে একই সাথে তাগুতকে মানা এবং আল্লাহকেও মানা সম্ভব নয় এবং আল্লাহপাক এই শিরক মেনে নেবেন না বরং তাগুতকে পরিপূর্ণ অস্বীকার করে কেবল আল্লাহকেই মানতে হবে। আল্লাহর বাণী, ‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তাগুতকে অস্বীকার করো’- সূরা নহল ৩৬। কালিমা তাইয়্যেবা বিশ্বাসী একজন ব্যক্তি বনে-জঙ্গলে, পাহাড়ে-পর্বতে ঘাস-লতা-পাতা খেয়ে জীবনধারণ করতে পারে কিন্তু একটি মুহূর্তও তাগুতের অধীন সন্তুষ্ট জীবন-যাপন করতে পারে না। বাস করা যাবে একটি শর্তে, সে তাগুতকে সরিয়ে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালাবে যেমনটি করেছিলেন প্রিয়তম নবী মুহাম্মদ (সা.) মক্কায় তেরোটি বছর এবং অতীতের সকল নবী-রসূল ও তাঁদের সঙ্গী-সাথিরা।

কালিমা তাইয়্যেবার এ বাণী অতীতে নমরুদ, ফেরাউন, আবু জেহেল-আবু লাহাব কেহই সহ্য করতে পারেনি। সবাই মনে করেছে, এ দাওয়াত মেনে নিলে সমাজে তাদের কর্তৃত্ব শেষ হয়ে যাবে। হক ও বাতিলের এ দ্বন্দ্ব-সংগ্রাম পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন চলতে থাকবে। প্রতিনিধিত্বের এ দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ইসলামের কিছু আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে সমগ্র জীবন তাগুতের অধীনে যে জীবন তা মূলত শিরক ও কুফরের জীবন। অথচ আল্লাহপাক চান তাঁর বান্দা কেবল তাঁকেই মেনে চলবে। আল্লাহপাকের বাণী, ‘যারা ঈমানের পথ অবলম্বন করে তারা লড়াই করে আল্লাহর পথে। আর যারা কুফরির পথ অবলম্বন করে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। কাজেই শয়তানের সঙ্গী-সাথিদের বিরুদ্ধে তোমরা লড়াই করো আর বিশ্বাস রেখো, শয়তানের ষড়যন্ত্র আসলেই দুর্বল’- সূরা নিসা ৭৬। ইসলাম ছাড়া যারা অন্য কিছু চায় তারা মূলত আল্লাহর সাথে শিরক করে। মুসলমান মাত্রই আল্লাহর পথে এক লড়াকু সৈনিক। মুমিনদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের অনেক ঘটনা আল্লাহপাক তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন। সূরা বুরুজে ঈমানদারদেরকে আগুনের গর্তে ফেলে মারার কাহিনী বর্ণনা করেছেন, তাদের অপরাধ আর কিছু নয়, কেবল পরাক্রমশালী আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল (সূরা বুরুজ ৮)। এসব জালেমদের পরিণতি প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন, ‘যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, অতঃপর তওবা করেনি নিশ্চিতভাবে তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং আছে ভস্ম হওয়ার শাস্তি’- সূরা বুরুজ ১০।

আমাদের দেশে যারা দীন কায়েমের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার জুলুম-পীড়ন সকল সীমা অতিক্রম করেছিল। হেফাজতের নিরীহ উলামায়ে কেরাম ও শিক্ষার্থীদের উপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড এবং ভারত ও নাস্তিক বামপন্থীদের তুষ্ট করার লক্ষ্যে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর দলীয় বিচারকদের দ্বারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছে। জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলের অনেক নেতা-কর্মীকে গুম ও খুন করেছে। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আমান আযমী ও ব্যারিস্টার আরমানকে আটটি বছর আয়নাঘরে আটকে রেখে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন করেছে। কাউকে হত্যা করার জন্য শুধু বলবে জামায়াত করে বা শিবির করে- তাহলেই যেন তাকে গুম-খুন বা আটকে রাখার বৈধতা পেয়ে গেল। এ ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করার জন্য ভারতের দোসর ছাড়া বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম করে ব্যর্থ হওয়ার পর আল্লাহপাকের ফয়সালা চলে আসে। কোনো জনপদে জুলুম সীমা অতিক্রম করলে আল্লাহপাকের দায়িত্ব হয়ে পড়ে মজলুমকে সহযোগিতা করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক এমনটিই বলেছেন, ‘আমি সংকল্প করেছিলাম, পৃথিবীতে যাদেরকে লাঞ্ছিত করে রাখা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবো, তাদের নেতৃত্ব দান করবো, তাদের উত্তরাধিকার করবো এবং পৃথিবীতে তাদের কর্তৃত্ব দান করবো’- সুরা ক্বাসাস ৫-৬। জুলাই ’২৪ ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে জনবিস্ফোরণে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয় মজলুমের প্রতি আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূরণ ও তাঁর পক্ষ থেকে এক নিদর্শন। সত্য ও ন্যায়ের পথে জীবন দান বৃথা যায় না। জালেমের সীমাহীন জুলুমের মোকাবেলায় মজলুমের বুক পেতে দাঁড়িয়ে যাওয়াকে আল্লাহপাক কবুল করে নেন এবং ফ্যাসিবাদের পতন ঘটান।

জমিনে যারা ইসলামী আন্দোলন করে মূলত তারা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের আশায় করে থাকে। আর আল্লাহপাক জান্নাত দানের প্রতিশ্রুতিও দান করেছেন। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদের জানমাল খরিদ করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে এবং মারে ও মরে। তাদের জন্য জান্নাত দানের ওয়াদা আল্লাহর যিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা তওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে। আল্লাহর চেয়ে বেশি ওয়াদা পালনকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনাবেচা করেছ তার জন্য সন্তুষ্ট হও। এটিই সবচেয়ে বড়ো সাফল্য’- সূরা তওবা ১১১। জামায়াত-শিবির বা কোনো ইসলামী সংগঠন জান্নাতের টিকেট দেয় না এবং দিতেও পারে না। জান্নাতে যাওয়ার টিকেট একান্তভাবে আল্লাহর হাতে। ইসলামী সংগঠনসমূহ মানুষকে আল্লাহর সাথে মিলিয়ে দেয় যাতে সে আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভ করতে পারে। জামায়াত-শিবিরের সকল জনশক্তি আখেরাতে আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত লাভের আশা নিয়ে মাঠে-ময়দানে তৎপর থাকে। সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সংগঠনকে আঁকড়ে ধরে থাকে। আখেরাতে পাওয়ার আশায় জান ও মালের সকল ক্ষতি তারা হাসিমুখে মেনে নেয়। ফ্যাসিবাদের শত জুলুম-নির্যাতন ইসলামী আন্দোলনকে দমাতে পারেনি বরং জুলাই বিপ্লবের পর অনেক শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে। সূরা সফের ১৩ নং আয়াত ‘তোমাদের জন্য আরো থাকবে আল্লাহর সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়। মুমিনদের সুসংবাদ দাও’। জুলাই বিপ্লব মহান রবের পক্ষ থেকে তাঁর বান্দাদের জন্য অতিরিক্ত দান। প্রকৃত দান রয়েছে আখেরাতে। আল্লাহর পক্ষ থেকে স্পষ্ট ঘোষণা, ‘তাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন এবং জান্নাতে দাখিল করাবেন’- সূরা সফ ১২।

জুলাই বিপ্লব আল্লাহর পক্ষ থেকে মজলুমদের জুলুম থেকে পরিত্রাণ এবং জালেমের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে বদলা। ফ্যাসিবাদের বিদায় এবং মজলুমদের প্রতিষ্ঠিত করা আল্লাহপাকের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি পূরণ। দুঃখ হলো, ফ্যাসিবাদের পতন হওয়া মাত্র একটি বছর হলো। মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না। ঢাবি ও জাবিতে নির্বাচন হয়ে গেল। একটি বড়ো দলের (যারা আগামীতে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখে) আচরণে জাতি নতুন করে আর একটি ফ্যাসিবাদের উত্থান ভাবছে। পরাজয় না মেনে নানা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে স্লোগান তুলছে ধরে ধরে জবেহ করো। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরকে মোটেই সহ্য করতে পারে না (এই সহ্য করতে না পারা মানে গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না) সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ছাত্রশিবিরকে বেছে নিয়েছে। বাম নাস্তিকরা সবসময় দেশে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাখতে চায়। ছাত্রদল তাদের সাথে মিলে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়ের সাথে যে আচরণটা করা হলো তা কি কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে সম্ভব? ছাত্রলীগের স্থলাভিষিক্ত হয়ে অপবাদ দিচ্ছে ভিসি জামায়াত করে। এসব ট্যাগ দিয়ে কোনো লাভ নেই। বিষয়টি এমন হয়েছে যে, অফিসে কেউ যদি ঘুষ না খায় বলা হ”ের সে জামায়াত করে। সততা নিয়ে চলা বা ভালো কথা বললেই ট্যাগ দেয়া হচ্ছে জামায়াত-শিবিরের লোক। আমার নিজের জীবনের ঘটনা বলি, এরশাদের শাসনামলে আমি একটি ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। কোনো ভোটার নেই। ব্যালট পেপার নিয়ে নিজেরা মারবে। নির্বাচন কর্মকর্তারা অপরাগতা প্রকাশ করলে আমার কাছে আসে। আমি বললাম, তোমাদের হাতে বই দেয়া যাবে না, তবে ভোটার নিয়ে এসো আমরা ব্যালট পেপার দিবো। একই ভোটার কয়বার বাবার/ স্বামীর নাম বলবে। আমার রুম থেকে বের হয়ে বলে, শালা শিবির। জামায়াত-শিবির সততা ও ন্যায়-ইনসাফের প্রতীক হয়ে পড়েছে। জামায়াত-শিবিরের জন্য এটা একটি বাড়তি প্রাপ্তি।

ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলের সাথে যে আচরণটা করেছে বর্তমানে ঠিক তার বদলা পাচ্ছে। এখন তারা নিষিদ্ধ সংগঠন। একটি অংশ কারাগারে, একটি অংশ দেশের বাইরে (কথায় কথায় বাংলা ছাড়ার স্লোগান, বিপরীতে স্লোগান ছিল বাংলা কি তোর বাপ-দাদার) মানবতাবিরোধী ট্রাইবুনালের মুখোমুখি এবং একটি অংশ আত্মগোপনে। মানুষের নৈতিকতার কতো অধপতন যে, একজন প্রধানমন্ত্রী যখন নিজে বলেন, ‘আমার পিয়নও চারশো কোটি টাকার মালিক’ সে দলের সাথে এখনো অনেকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আল্লাহপাক বিচার দিনের চিত্র এভাবে তাঁর কিতাবে তুলে ধরেছেন, সেদিন কাফেররা বলবে, হে রব! জিন ও মানুষ যারাই আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদের দেখিয়ে দাও, আমরা তাদের পদদলিত করবো, যাতে করে তারা অপদস্থ হয়’- সূরা হামিম আস সেজদা ২৯। আমার নিজের উপলব্ধি হলো, জালেমের জন্য ইঞ্চি পরিমাণ জায়গাও জান্নাতে বরাদ্দ নেই যদি না তওবা করে। এখন প্রশ্ন হলো, যেসব কারণে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটলো তারই পুনরাবৃত্তি যদি আর কোনো দল করে তাহলে কি আল্লাহপাক তাঁর বদলা নেবেন না? অবশ্যই নেবেন এবং নেবেন যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তা দেখিয়ে দিলেন। শিক্ষা গ্রহণের জন্য এ দুটি ঘটনাই যথেষ্ট। আল্লাহপাক আমাদের অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণের তৌফিক দান করুন।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও প্রাবন্ধিক।