জসিম উদ্দিন মনছুরি
৫ আগস্ট ২০২৪ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে কথিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পলায়ন করলে সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে ৮ আগস্ট ২০২৪ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। ১৫০০ জন ছাত্র জনতার শাহাদাত বরণ এবং পঞ্চাশ সহস্রাধিক আহত ও পঙ্গুত্ববরণের মধ্য দিয়ে জাতির নতুন আকাক্সক্ষার পথ উন্মোচিত হয়। বিগত প্রায় সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, নৈরাজ্য, হত্যা, অপহরণ, গুম, স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারে দেশ অলিখিত কারাগারে পরিণত হয়। মূলত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের কাছে জিম্মি হয়েছিলো দেশের ১৮ কোটি জনগণ। গণঅভ্যুত্থানের পর জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক হয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান এজেন্ডা ছিল: সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলেও আওয়ামী দোসররা এখনো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সুযোগের অপেক্ষায় বসে আছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। গত ১২ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর উপর কাপুরুষিচিত হামলা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ওসমান হাদীর উপর দুর্বৃত্তরা হামলা করলে ওসমান হাদী মুমূর্ষু অবস্থায় এভার এয়ার হসপিটালে লাইফ সাপোর্টে আছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী পরিকল্পনার কারণে সকল ষড়যন্ত্র উতরে তিনি দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসে শক্তিশালী পররাষ্ট্রনীতি। বহির্বিশ্বের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন। বাণিজ্য নীতি। বিশ্বের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থানে শূন্যের কোটা থেকে রিজার্ভকে প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করণ চাট্টিখানি কথা নয়। ঋণের বেড়াজালে আবদ্ধ বাংলাদেশকে রিজার্ভে হাত না দিয়ে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ তার অনন্য কীর্তির পরিচয়। সব মিলিয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনূস জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি জনগণের শুরু থেকেই আস্থা ও বিশ্বাস ছিল। তিনি দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র হ্যান্ডেলিং করে ভঙ্গুর অর্থনীতিকে খাদের কিনারা থেকে পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে গেছেন।
ভয়াবহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। জনআকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান রেখে নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সংস্কারের জন্য জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করে দীর্ঘ নয় মাস আলোচনার পর রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্যমত পোষণ তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রমাণ মেলে। তার দ্বিতীয় এজেন্ডা ছিল গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা। এর লক্ষ্যে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে অপর দু’বিচারপতিসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট বিচারপতি প্যানেল নিয়োগ দেওয়া হয়। লৌহ মানব রূপে আবির্ভূত হওয়া অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামকে প্রধান প্রসিকিউটর নিয়োগ সরকারের বিচক্ষণতার পরিচয় বহন করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম দীর্ঘদিন তদন্তের পর গণহত্যার জন্য বেশ কয়েকটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। গণহত্যার অপরাধে মামলার প্রথম রায়ে ১৭ নভেম্বর ২০২৫ বিগত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
তার সরকারের প্রভাবশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তিনজনের অপরজন হলেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি রাজ স্বাক্ষী হয়ে বিচারের কাজে সহায়তা করায় তাকে লঘুদণ্ড হিসেবে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ১৭ নভেম্বর গণহত্যার প্রথম বিচারের মধ্য দিয়ে গণহত্যার বিচারের কার্যক্রম এক ধাপ এগিয়ে গেল। উল্লেখ্য যে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, ২০০৯ সালের ২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনারসহ কতিপয় নেতার প্রত্যক্ষ অংশ গ্রহণে বিডিআর হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কয়েকটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। যদিও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ২৩ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তের জন্য স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানা যায়। তারা দীর্ঘ ১১ মাস এক সপ্তাহের মধ্যে গত ৩০নভেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদনও জমা দেন। এছাড়া গুমের সাথে জড়িত সেনাবাহিনীর সদস্যদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম সাহসিকতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম নাসির উদ্দিনকে নিয়োগ দিয়ে আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান তিনটি এজেন্ডা ছিল সংস্কার, গণহত্যার বিচার এবং নির্বাচন। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যে সংস্কার প্রক্রিয়ায় অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ায় এবং গণহত্যার বিচারের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় জনগণ সন্তোষ জানিয়েছেন। এবার নির্বাচনের পালা। যদিও এতদিন ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলে আসছিলেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কথা। অবশেষে সকল জল্পণা-কল্পণার অবসান ঘটিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম নাসির উদ্দিন ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তফসিলের সারসংক্ষেপে বলা হয়-আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন এবং একই সাথে জুলাই জাতীয় সনদ সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন আদেশ- ২০২৫ এর উপর গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ সোমবার।মনোনয়ন পত্র বাছাই হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ মঙ্গলবার হতে ৪ জানুয়ারি ২০২৬ রোজ রবিবার পর্যন্ত। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়েরের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৬ রোজ রবিবার। কমিশনে দায়েরকৃত আপিল নিষ্পত্তির তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৬ রোজ সোমবার থেকে ১৮ জানুয়ারি ২০২৬ রোজ রবিবার পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০জানুয়ারি ২০২৬ রোজ মঙ্গলবার। রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্ধ ২১জানুয়ারি ২০২৬ তারিখ রোজ বুধবার। নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি ২০২৬ রোজ বৃহস্পতিবার হতে ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘন্টা আগ পর্যন্ত তথা আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ রোজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১২ তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার।
এবার দেখার বিষয় নির্বাচন কমিশন ও সরকার কতটা সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারেন। বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দিনের ভোট রাতে আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের সাথে প্রতারণা করে ক্ষমতার মসনদে অধিষ্ঠিত ছিল। এর ফলে তারা বিরোধীদের দমন, জুলুম-নির্যাতন, অর্থপাচার, হত্যা, গুমের সাথে জড়িত হয়ে স্বেচ্ছাচারিতায় মেতে ওঠেন। আধিপত্য, আজ্ঞাবহ সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করে যথেচ্ছা জনগণকে দমিয়ে রাখা হয়েছে। বাকস্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার এমনকি দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় দেশ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে তাদের দুর্নীতির চিত্র। শেখ মুজিবের পরিবারের সদস্যসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায়ে। পূর্বাচল নতুন শহরের প্লট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে ছয়টি মামলার মধ্যে চারটির রায় হয়েছে। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের নামে প্লট বাগিয়ে নেওয়ার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চার মামলায় ২৬ বছরের কারাদণ্ড, তার বোন শেখ রেহানাকে সাত বছরের কারাদণ্ড। তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ব্রিটিশ এমপি শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকে দু’বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাছাড়া শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং শেখ রেহানার মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকেও কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অনেকটা ফিরে এসেছে প্রধান বিচারপতি ড. রেফাত আহমদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন বাংলাদেশের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ লক্ষ্যে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ১১ ডিসেম্বর বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবন-৪ এ সচিবালয় উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে, গত ৩০ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির নির্দেশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ জারি করে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক সহযোগিতায় বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন আজ বাস্তব রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্ট।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিনে গণভোট এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার দেখার বিষয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জন রায়ের প্রতিফলনকে সম্মান জানাতে পারেন কিনা। জনগণ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে তিনি বলেছিলেন আপনারা উৎসব মুখর পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। স্বৈরাচার পতনের পর প্রথম নির্বাচনে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য কাক্সিক্ষত সময়ের প্রহর গুণছেন। জনগণের প্রত্যাশা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তারা নিজেদের নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। যে সংসদে থাকবেনা দুর্নীতি, জুলুম, নির্যাতন ও স্বেচ্ছাচারিতা।
জনপ্রতিনিধিরা হবেন জনগণের সেবক। অর্থ উপার্জনের জন্য রাজনীতি হবে না। রাজনীতি হবে জনসেবার জন্য। উল্লেখ্য যে, গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লক্ষ ৯৫ হাজার ১৮৩ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪৮ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০৭ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ২৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪২ জন। এবার দেখার বিষয় দীর্ঘদিন পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কতটুকু ভূমিকা রাখে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি করে সকল দলের জন্য লেবেল প্লেয়িংফিল্ড তৈরি করা এবং যাতে জনগণ নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আশা করি এই বিষয়টি উপলব্ধি করে নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক।