বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লব এসেছিল মূলত সংস্কার ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে। এ অঙ্গীকার নিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূসের উপর ছাত্র-জনতা বিশ্বাস ও আস্থা রেখে সরকার গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিল। ডক্টর ইউনূস সংস্কারের অঙ্গীকার নিয়েই সরকার গঠন করেছিলেন এবং তিনি সংস্কারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিটি করে আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য তার এ উদ্যোগের সাথে বিপ্লবের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতা সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু একটি দল ও স্বৈরাচারো দোসারা শুরু থেকেই সরকারকে অসহযোগিতা করে আসছে। তারা বারবার সংস্কারের চেয়ে নির্বাচন ইস্যুটাকে বড় করে দেখেছে। তারা চেয়েছিল যেনতেনভাবে একটা নির্বাচন। সে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে যেন তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।
বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংঘাত, অস্থিরতা নতুন নয়। বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনমতের কতটুকু প্রতিফলন হয় সে প্রশ্ন ছাড়াও নির্বাচন নিরপেক্ষ না হওয়া, কারচুপি, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্ব, টাকা দিয়ে ভোট কেনা, সন্ত্রাস-সহিংসতা, মিথ্যা প্রচারণা বা তথ্য সন্ত্রাস - এসব তো বহু পুরনো। মজার ব্যাপার হলো- বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যখন বিরোধী দলে ছিল তখন তারা এসব বিষয়ে সব সময়ই সোচ্চার ছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে কিংবা ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে তারা আবার এ বিষয়টি বেমালুম ভুলে যায়। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদি শাসনামলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যখন তামাশায় পরিণত করা হয় তখন তার বিরুদ্ধে বিএনপিও কিন্তু সোচ্চার ছিল। কিন্তু এখন নির্বাচন সংস্কারের ব্যাপারে তারা একেবারে নিশ্চুপ। বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের মধ্যে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে এবং এই নির্বাচনের নামে টাকার খেলা, সন্ত্রাস, কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট, কারচুপি, নির্বাচনকালীন সহিংসতা, নির্বাচন কমিশন (EC) ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থার অভাব, ভোটার তালিকা প্রণয়নে ত্রুটি, এবং ভোটগ্রহণে অনিয়ম - এসব থেকে উদ্ধার পেতে হলে যে একটা সংস্কারের প্রয়োজন আছে, কালো টাকার খেলা বন্ধ করা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য বন্ধ করা - এজন্য যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করার প্রয়োজন রয়েছে তা বিএনপি মানতেই নারাজ। তারা চাচ্ছে তড়িঘড়ি করে বিদ্যমান ব্যবস্থাতেই নির্বাচন দেয়া হোক যাতে তারা নিশ্চিতে ক্ষমতার মসনদে বসতে পারে।
নির্বাচনকালীন তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে অনুষ্ঠিত ৯১, ৯৬ ও ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত তিনটি নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হয়নি। শেখ মুজিবের সময় নির্বাচন ছিল ব্যালটবাক্স ছিনতাই, প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী গুম, ইচ্ছামত ফলাফল ঘোষণা যা সামরিক স্বৈরাচারি শাসক এরশাদের সময়ে আরো বেশি মারাত্মক রূপ ধারণ করে। যার কারণে নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের সময়েই জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থার ফর্মুলা ঘোষণা করে, যার রূপকার ছিলেন অধ্যাপক গোলাম আযম। সে সময়কার তথাকথিত বড় দলগুলো জামায়াতের কেয়ারটেকার সরকারের ফর্মুলাকে পাত্তা না দিলেও নব্বইয়ে এরশাদের পতনপরবর্তী ক্ষমতা হস্তান্তর কেয়ারটেকার সরকারের রূপরেখার ভিত্তিতেই হয়েছিল। এ কেয়ারটেকার সরকারের কল্যাণেই একানব্বইয়ে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ নেত্বাধীন কেয়ারটেকার সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ পায় জামায়াতের সহযোগিতায়। সে সময় জামায়াত বিএনপির কাছ থেকে এ অঙ্গীকার নিয়েছিল যে, ক্ষমতায় যেয়ে তারা নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থাকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করবে। কিন্ত ক্ষমতায় যেয়ে দলটি এ অঙ্গীকারের কথা ভুলে গিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অঙ্গীকার পূরণ করতে অস্বীকার করে। যে কারণে জামায়াত কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে আন্দোলন করতে বাধ্য হয়। অবশেষে অনেক পানি ঘোলা করে বিএনপি সংবিধানে কেয়ারটেকার তথা নির্দলীয় তত্বাবধাক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করলেও গণসমর্থন হারায় এবং ৯৬-এ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় যায়। তবে ২০০১ নির্বাচনের সময় আ.লীগ শুধুমাত্র সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হয়। কিন্তু ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফসল ১/১১ -এর সেনা সমর্থিত জরুরি সরকারের সময় পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে উচ্ছেদ করে নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।
ছিয়ানব্বইয়ের সে সিদ্ধান্তহীনতা বিএনপিকে আবারো পেয়ে বসেছে। মনে হয় পিছনে হাঁটা এ দলটির একটি বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। নতুন কিছু গ্রহণ করার সক্ষতা তাদের এখনও হয়ে ওঠেনি। একানব্বইয়ে ক্ষমতায় যেয়ে কেয়ারটেকার সরকার ইস্যুতে যেমন অহেতুক গড়িমসি করেছিল এখনও ঠিক একইভাবে আবার পিআর ইস্যু নিয়ে গড়িমসি করছে। শুধু পিআর পদ্ধতি নয় তারা সংস্কার প্রক্রিয়াকেই বারবার বাধাগ্রস্থ করছে যে কারণে সংস্কার প্রক্রিয়া দুর্বল ও গতিহীন হয়ে পড়েছে। বিএনপি সব সময় পরিবর্তনকে ভয় পায় অথচ পরিবর্তন ছাড়া উত্তরণ সম্ভব নয়। এবং এই পরিবর্তনের জন্যই হাজার হাজার ছাত্র জনতা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে ফ্যাসিবাদী হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে।
ফ্যাসিবাদী হাসিনা বিতাড়িত হলেও রাষ্ট্রের মধ্যে স্বৈরাচারি ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতি। বাংলাদেশে বর্তমানে যে নির্বাচন পদ্ধতি বিদ্যমান তাকে বলা হয় এফপিটিপি বা ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট। বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থায় জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন হয় না এবং এর মধ্যে যে বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তার মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়। এর কারণ হলো, এ পদ্ধতিতে যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই জয়ী হন, এমনকি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলেও। ফলে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিজয়ী প্রার্থী মোট ভোটের অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে শাসন ক্ষমতা লাভ করে এবং অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়েও বাকিরা শাসিত হয়। এখানে ভোটারদের একটি বড় অংশের রায় উপেক্ষিত থেকে যায়, এবং এতে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত ইচ্ছার প্রতিফলন উপেক্ষিত হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি তিনজন প্রার্থী A, B, এবং C নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার যথাক্রমে A=৪৫%, A=৩০%, এবং C=২৫% হয়, তবে অ জয়ী হবেন, যদিও তিনি মোট ভোটের অর্ধেকের বেশি পাননি। এখানে A-এর প্রতি জনগণের সমর্থন ৪৫% এবং B ও C -এর প্রতি সমর্থন যথাক্রমে ৩০% ও ২৫%, কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অ-কে জনগণের একটি বড় অংশের সমর্থন নেই। এটি জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন নয়। এতে দেখা যায় ৪৫% ভোট পেয়ে যিনি বিজয়ী হলেন তিনি পার্লামেন্টে গিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী যে প্রার্থীরা ৫৫% ভোট পেলেন তারা প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছে না। এ পদ্ধতিতে প্রায়ই দেখা যায়, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে যারা সরকার গঠন করে তাদের প্রতি জনসমর্থন তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
এ পদ্ধতিতে বিজয়ী প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট না পেলেও জয়ী হতে পারেন যাকে বলা হয় সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের লঙ্ঘন। এতে বিরোধী দলগুলোর প্রতি অবিচার করা হয়। এ পদ্ধতিতে অনেক ক্ষেত্রে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিলেও, সে ভোটটি জেতার জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় “অপচয়” হিসেবে গণ্য হয়। এফপিটিপি পদ্ধতিতে জনমতের এ ঘাটতি পূরণের জন্য বিশ্বব্যাপী এখন পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি সমাদৃত হয়েছে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (Proportional representation; পিআর) হল এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি, যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে। উদাহরণস্বরূপ- যদি কোনো দল মোট প্রদত্ত ভোটের ১০ শতাংশ পায়, তাহলে সে দল আনুপাতিক হারে সংসদের ১০ শতাংশ বা ৩০টি আসন পাবে। অর্থাৎ জনগণের প্রদত্ত সকল ভোট এখানে গ্রাহ্যতা পায় এবং নির্বাচনী ফলাফল গঠনে অবদান রাখে। বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতির অধীনে প্রার্থীদের নির্বাচিত করতে একটি আপেক্ষিক বা স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হয়। অপরপক্ষে, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থায় বিভিন্ন দলকে ভোটারদের দেয়া ভোটের ভিত্তিতে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে গণরায় যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।
এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, কেন্দ্র দখল, কালো টাকার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার বন্ধ হবে। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী নির্বাচন করবে দলীয় আনুগত্য, সততা, যোগ্যতা, ত্যাগ ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে। ফলে উড়ে এসে জুড়ে বসার হাইব্রিড নেতারা এখানে পাত্তা পাবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এলাকা ভিত্তিক গ্রুপিং কোন্দল বন্ধ হবে এবং স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি হবে। এ পদ্ধতিতে কোন দলের পক্ষে নিরঙ্কুশ ভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা কমে আসায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পারিক নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক ও সমঝোতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক পরিবেশ উন্নত হবে, স্থিতিশীলতা তৈরি হবে, জনগণের মধ্যে ঐক্যবৃদ্ধি পাবে ও পরস্পরকে জানার সুযোগ হবে যা দেশের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত জরুরী।
পিআর পদ্ধতি চালু হলে বাংলাদেশের রাজনীতি, রাজপথ থেকে সংসদমুখী হবে। কারণ এতে গণসম্পৃক্ত প্রায় প্রতিটি দলই সংসদে যাওয়ার সুযোগ পাবে এবং দেশ গঠনে তাদের মতামত তুলে ধরতে পারবে। বস্তুত, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি অধিকতর ন্যায় সঙ্গত নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং এটি কোন অর্বাচীন বা নতুন বা উদ্ভট কোন বিষয় নয়। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বহু আগে থেকে এই পদ্ধতি বিদ্যমান। পশ্চিমা বিশ্ব তথা উন্নত দেশগুলোতে আমাদের মত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অহেতুক অস্থিরতা, হানাহানি, সহিংসতা, প্রাণহানির মত জঘন্য ঘটনাগুলো নাই বললেই চলে। যার ফলে সে দেশগুলো আমাদের তুলনায় রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি স্থিতিশীল ও উন্নত। এর মূলে রয়েছে পিআরের মতো উন্নত নির্বাচন পদ্ধতি।
১৭৭৬ সালে আমেরিকান বিপ্লবের সময় দেশটির রাষ্ট্রপতি জন অ্যাডামস তাঁর প্রভাবশালী পুস্তিকা ‘থটস অন গভর্নমেন্ট’-এ আনুপাতিকতার প্রথম প্রস্তাবনাগুলি দিয়েছিলেন। তবে আধুনিক বিশ্বে সর্বপ্রথম ১৮৯৯ সালে বেলজিয়ামে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আর বর্তমানে বিশ্বের ১৭০টি গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে ৯১টি দেশ, অর্থাৎ প্রায় ৫৪ শতাংশ রাষ্ট্র, তাদের আইনসভা নির্বাচনে কোনো না কোনো ধরনের পিআর পদ্ধতি অনুশীলন করে। মূলত উন্নত বিশ্বে পিআর পদ্ধতির জনপ্রিয়তাই বেশি। অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর সংগঠন ওইসিডির ৩৬টি সদস্য দেশের মধ্যে ২৫ টি, অর্থাৎ প্রায় ৭০ শতাংশ দেশ এই পদ্ধতি অনুসরণ করে। জার্মানি, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন ও লাতিন আমেরিকার একাধিক দেশে এই ব্যবস্থা প্রচলিত।
লেখক : সাংবাদিক।