বিশ্ব সংবাদে গাজায় ইসরাইলী হামলা, ডজন ডজন মৃত্যু ও ইরান-ইসরাইল যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতি এখনো গুরুত্ববহ। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে সর্বসাম্প্রতিক ঘটনায় নড়েচড়ে বসতে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। বড় ঘটনা ঘটেছে সেখানে, আর এ থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ১১ মাসের মাথায় দেশটির ৩৮ বছর বয়স্কা প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। বলতে গেলে তাকে তার পিতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, ফুফু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার মতোই পরিণতি ভোগ করতে হলো। একটি ফোনকলকে ঘিরে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তার একটি ফোনকলই তার জন্য কাল হয়েছে। একে ঘিরে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ফোনকলে তিনি কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেন’কে ‘চাচা’ বলে সম্বোধন করেন এবং এক থাই সেনা কমান্ডারের সমালোচনা করেন। কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বিষয়ক আলোচনায় ‘নমনীয়তা’ দেখানোর প্রস্তাব দেন। এ ফোনকল থাইল্যান্ডে জাতীয় মর্যাদা ও সামরিক কর্তৃত্বের অবমূল্যায়ন হিসেবে দেখা হয়েছে, যা জনমনে ক্ষোভ তৈরি করে। এর ফলে তার অব্যাহতির আবেদন আদালতে জমা পড়ে। ফলে ৭-২ ভোটে সাংবিধানিক আদালত তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নের পদত্যাগ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য। এ সময় ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুনগ্রুনগ্রুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। বিবিসিসহ বিভিন্ন সূত্র এ খবর দিয়েছে।
ফোনকলের সূত্র ধরে জনরোষ বৃদ্ধি পেতে থাকে । মনে হচ্ছিল বিষয়টা তিনি সামলে উঠতে পারবেন। কারণ এর পরপরই তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন ফোন কলের জন্য। কিন্তু জনরোষ অব্যাহত থাকে। ২৯ জুন থাই প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ নতুন মাত্রা যোগ করে। নানা সংকটের কারণে চাপে থাকা পেতংতার্নের জোট সরকার ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা আরও বেড়েছে। বার্তা সংস্থার খবর, ২০২৩ সালে ফিউ থাই পার্টি ক্ষমতায় আসার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। ভারী বর্ষণের মধ্যেও হাজারো মানুষ পেতংতার্নর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামেন। ৩৮ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে অর্থনীতি চাঙা করা এবং দুর্বল জোট সরকারের ঐক্য টিকিয়ে রাখার চেষ্টার পাশাপাশি আগামী মাসে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ার ঝুঁকি সামলাতে হচ্ছে। বিক্ষোভের অন্যতম নেতা পার্নথেপ পোরপংপান বলেন, ‘তাঁর (পেতংতার্ন) সরে দাঁড়ানো উচিত। কারণ, তিনিই সমস্যার মূল।’
গত মে মাসে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত এক সীমান্ত অঞ্চলে দু’দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সর্বশেষ পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়, যখন থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নের কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। এতে তিনি থাইল্যান্ডের এক সেনা কর্মকর্তার সমালোচনা করেন এবং হুন সেনের প্রতি অতিমাত্রায় নমনীয় আচরণ করেন বলে জনগণের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়।
থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর প্রকাশ্যে সমালোচনার সুযোগ নেই বললে চলে। কারণ, দেশটির সেনাবাহিনী রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক প্রভাব বজায় রেখে আসছে। দেশটিতে অনেক বার ক্ষমতা দখলও করেছে সেনারা। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন দুঃখ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভের অন্যতম নেতা পার্নথেপ বলেন, থাইল্যান্ডের অনেকে মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর প্রভাবশালী বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। দেখা যাচ্ছে জনরোষ বা রাস্তায় বড় ধরনের বিক্ষোভকে উপেক্ষা করতে পারেনি দেশে সাংবিধানিক আদালত।
কিছু তথ্য, এ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। থাইল্যান্ড একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ছয় কোটি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৬-এর কু পর্যন্ত দেশটি একটি কার্যকর গণতন্ত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়েছিল। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একটি বহুদলীয় মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। থাইল্যান্ডের সংবিধানে রাজাকে খুব কম ক্ষমতাই দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি জাতীয় পরিচয় ও ঐক্যের প্রতীক। থাইল্যান্ডের জাতীয় আইনসভা দুইটি কক্ষে বিভক্ত - সিনেট বা উচ্চকক্ষ এবং প্রতিনিধিসভা বা নিম্নকক্ষ। উচ্চকক্ষের সদস্যসংখ্যা ১৫০; এদের মধ্যে ৭৬ জন জনগণের সরাসরি ভোটে প্রতি প্রদেশ থেকে ১ জন করে নির্বাচিত হয়ে আসেন। বাকী ৭৪ জন সিনেট সদস্য নির্বাচন কমিশনের তৈরি করা একটি তালিকা থেকে বিচারক ও ঊর্ধ্বতন অফিসারদের দ্বারা বাছাই হন। নিম্নকক্ষে ৪৮০ জন সদস্য এবং এদের মধ্যে ৪০০ জন থাইল্যান্ডের বিভিন্ন জেলা ও নির্বাচনী এলাকা থেকে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। বাকীদেরকে বিভিন্ন দলের তৈরি করা তালিকা থেকে আনুপাতিক হারে বাছাই করা হয়। দেখা যাচ্ছে দেশটিকে ফার্স্ট পাস্ট দি পোস্ট (এফপিটিপি) ও প্রোপোরশনাল রিপ্রিজেন্টেশন (পিআর) দুটিরই বিধান রয়েছে।
দেশটিতে সাংবিধানিক আদালত খুবই পাওয়ারফুল একটি সংস্থা। এ আদালত হল আপিল বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার প্রধানকে বরখাস্ত করা সাংবিধানিক আদালতের শক্তিমত্তারই প্রকাশ। অতীতে বহুবার এই আদালত সরকার প্রধানকে বরখাস্ত করেছে। এ সাংবিধানিক আদালতে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন পদচ্যুত হলে ২০২৪ সালের আগস্টে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট। থাইল্যান্ডে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৭ বছর। পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ফিউ থাই পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট মেয়ে। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ২০২১ সালে। তখন ফিউ থাই পার্টির ইনক্লুশন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির প্রধান হন তিনি। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি ছিলেন একজন জনপ্রিয় প্রার্থী।
২০০৬ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন থাকসিন। এরপর থাকসিনের উপর দিয়ে ঝড়ঝাপ্টা কম যায়নি। সম্প্রতি থাকসিন দেশে ফেরেন। থাকসিন সিনাওয়াত্রা বর্তমানে থাইল্যান্ডের সবচেয়ে আলোচিত বিচারপ্রার্থী। তিনি ৯ বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজপরিবার নিয়ে কথা বলায় এখন রাজকীয় আইনে অভিযুক্ত। এ আইন অনুযায়ী রাজপরিবারকে অসম্মান করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং শাস্তি হতে পারে ১৫ বছরের কারাদণ্ড। একই পরিবারের ইংলাক ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে অপসারিত হন। তিনজনই থাই রাজনীতির সর্বোচ্চ পদে আসীন থেকে পূর্ণ মেয়াদ শেষ না করেই ক্ষমতা হারান।
মনে করা হয়, থাকসিন দেশে ফেরার আগে ২০২৩ সালে একটি গোপন রাজনৈতিক সমঝোতা করা হয়েছে তার বিষয়ে। তার ফলে সেনাবাহিনী ও রক্ষণশীল শিবিরের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে পিউ থাই দল সরকার গঠন করে। এরই মধ্যে একটি রক্ষণশীল মিত্র দল জোট ত্যাগ করেছে। সামরিক ও রাজতন্ত্রঘেঁষা গোষ্ঠীগুলো সিনাওয়াত্রা পরিবারের ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ আচরণ নিয়ে সরব হয়েছে। ফোনালাপ ছাড়াও আরো অভিযোগ রয়েছে পেতংতার্ণের বিরুদ্ধে। অর্থনীতি চাঙা করতে ব্যর্থতা, কোয়ালিশনের দুর্বলতা এবং সামরিক সমালোচনা- সব মিলিয়ে তিনি চাপের মুখে ছিলেন। ফলে জনপ্রিয়তা কমে যায়। মার্চে পেতংতার্নের জনপ্রিয়তা ছিল শতকরা ৩০.৯ ভাগ। জুনে তা নেমে এসেছে ৯.২ ভাগে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক কম্বোডিয়ান নেতা হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর পেতংতার্নের পদত্যাগের দাবি তীব্র আকার ধারণ করে। পেতংতার্ন ওই ফোনালাপে হুন সেনকে ‘চাচা’ সম্বোধন করেছেন এবং একজন থাই সামরিক কর্মকর্তার সমালোচনা করেছেন। এ নিয়ে দেশটির জনসাধারণের মনে ক্ষোভ জন্ম নেয়। পেতংতার্নের পর আপাতত দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। তবে, নিজের বিরুদ্ধে আসা রায়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় পাবেন পেতংতার্ন। আপাতত এ অর্থে যে সংকট উত্তরণে ক্ষমতাসীন জোট বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনেরও প্রস্তুতি নিয়েছিল। তা অব্যাহত থাকবে কি না সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
এখন কী হবে? রাজনৈতিক অস্থিরতা কত দিন স্থায়ী হবে? দেশটির প্রভাবশালী সংবাদপত্র ব্যাংকক পোস্ট অনলাইন ২ জুলাই জানাচ্ছে, থাইল্যান্ডের সংকটাপন্ন অর্থনীতিতে পেতংতার্নের সাসপেনশনের কি প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে দেশে নানা কথা হচ্ছে। এমনটি সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের শংকাও রয়ে গেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন জোট ইতিমধ্যেই দ্বন্দ্বে ছিল, যখন একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নেও পদ স্থগিত করেছে, তার টিকে থাকা, দেশের অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সন্দেহ তৈরি করেছে। পত্রিকার ভাষ্যকার বলছেন, থাইল্যান্ডের জন্য এই ঘটনাগুলো এর চেয়ে খারাপ সময় নিয়ে আসতে পারে বলে আভাস দিচ্ছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির জন্য এশিয়ান টাইগার অর্থনীতি হিসেবে খ্যাত দেশটি এখন ধীর প্রবৃদ্ধিতে নিমজ্জিত, পরিবারগুলো ঋণের বোঝায় জর্জরিত, বাজেট বিল বকেয়া এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কের আসন্ন হুমকি প্রত্যাশাকে চাপা দিয়ে রেখেছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার আভাস দিয়ে এতে বলা হয়েছে, সমস্ত অস্থিরতার মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের বৃহত্তম অংশীদার ভুমজাইথাই পার্টি কয়েক সপ্তাহের অন্তর্দ্বন্দ্বের পরে গত মাসে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে এবং অন্যরা যারা থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা বেরিয়ে যাবে না এমন কোন গ্যারান্টি নেই। থাইল্যান্ডের আইএসইএএস -ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের থাইল্যান্ড স্টাডিজ প্রোগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী ন্যাপন জাতুস্রিপিটক বলেছেন “থাইল্যান্ডে নতুন প্রধানমন্ত্রী খুঁজে পেতে দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হতে পারে এবং রাজনৈতিক অচলাবস্থার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দেশের ইতিমধ্যেই ভঙ্গুর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে বিপন্ন করতে পারে। তিনি বলেন, সবকিছুর উপর নির্ভর করছে থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনী, যারা ১৯৩২ সালে রাজ্যের নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় এক ডজন অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার ব্রোকার হিসেবে কাজ করে আসছে। দু’বছর আগে জাতীয় নির্বাচনের পর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন না পাওয়ার পর মিসেস পেতংতার্নের ক্ষমতায় আসার পেছনে সামরিক বাহিনী এবং সামরিক-পন্থী রাজনৈতিক দলগুলোই মূল শক্তি ছিল। এ জোট তার বাবা থাকসিনের দীর্ঘ নির্বাসন থেকে ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করেছিল।
আদালতের সাসপেনশনের পরেও মিসেস পেতংতার্নকে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগে তাকে সরকারে রাখার জন্য একটি রদবদলের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল। নতুন মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার শপথ নেবে বলে খবর। তবে ক্ষতি স্থায়ী হতে পারে বলে ভাষ্যকার মনে করেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, তার প্রতি সমর্থনের রেটিং ৯.২%। তিনি বলেছেন যে তিনি আদালতের রায় মেনে নিয়েছেন কিন্তু তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট কিছু বলেননি। তবুও আশঙ্কা বাড়ছে যে পরবর্তী বাজেট পাসের আগে সরকার ভেঙে পড়তে পারে। যদি আদালত চূড়ান্তভাবে মিস পায়েটোংটার্নের বিরুদ্ধে রায় দেয়, তাহলে তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হবে, যার ফলে ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া তালিকা থেকে একজনকে প্রতিস্থাপনের জন্য সংসদীয় ভোট শুরু হবে। ব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিইউ) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক থিটিনান পংসুধিরাক বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্ত অভ্যুত্থানের ঝুঁকি কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছে, কিন্তু শেষবার যখন তারা অভ্যুত্থান করেছিল তখন তারা ভালো করেনি।
সবকিছু মিলিয়ে থাইল্যান্ডের পরিস্থিতি এখন নতুন ট্রানজিশনের সামনে দাঁড়িয়ে। আগামী কয়েক দিনে তা আরো স্পষ্ট হবে।
লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।