সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন, যা ভাবা যায়নি দশকের পর দশক ধরে। সেটাই এখন ঘটছে। ১৯৪৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর হোয়াইট হাউসে কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। কারণ সিরিয়া যুগের পর যুগ ধরে ছিল সোভিয়েত ও হালে রাশিয়ার পক্ষপুটে। সিরিয়ায় টানা রাজত্ব করেছেন হাফিজ আল-আসাদ এবং তার মৃত্যুর পর তার পুত্র বাশার আল-আসাদ। আরব বসন্ত তিউনিসিয়া, মিসর, লিবিয়ায় পরিবর্তন সূচিত করতে পারলেও সিরিয়ায় পারেনি। সিরীয় বিদ্রোহী বাহিনী বা বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ ও দলগুলো বহুধাবিভক্ত থাকায় দীর্ঘকালীন গৃহযুদ্ধ সত্ত্বেও বাশারের আসন টলাতে পারেননি। তবে গত বছরের শেষ দিকে ইসলামপন্থি শারার নেতৃত্বে বিদ্রোহী বাহিনী সিরিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সমর্থ হয়। অবসান হয় আসাদ পরিবারের ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের শাসন। ফলে বদলে যায় সিরিয়ার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। তারই পরিণতি কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের এককালের শত্রু রাষ্ট্র আমেরিকা সফর।

কী হলো এ সফরে? ১০ নভেম্বর শারা হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে ৪৩ বছর বয়সি শারার নাম বাদ দেওয়ার কয়েক দিন পরই তিনি ওয়াশিংটন সফরে যান শারা। শারার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) আগে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিল। তাই এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভাষায় সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এ তকমা ওঠার পর শারা ওয়াশিংটনে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, শারার সফরকালে সিরিয়া ইসলামিক স্টেটবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে সিরিয়া এ জোটের ৯০তম সদস্য হবে। ওই কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমন্বয় আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সিরিয়াকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আবারও কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করার সুযোগ দেওয়া হবে। ট্রাম্প বলেছেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়া যেন ‘অত্যন্ত সফল’ দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে, সেটাই তার চাওয়া। তার বিশ্বাস, শারা তা পারবেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি (শারা) অত্যন্ত শক্তিশালী এক নেতা। প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে থাকা এক দেশ থেকে তিনি এসেছেন। তিনি নিজেও একজন সংগ্রামী মানুষ।’ ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তার বৃহত্তর শান্তি পরিকল্পনার একটি ‘বড় অংশ’ সিরিয়া। তিনি আশা করছেন, এ শান্তি পরিকল্পনার আওতায় গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নাজুক যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।

‘এত সব প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শারা সতর্কতার সাথে এগুবেন বলে মনে হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে তার সহায়তা দরকার। তাই পশ্চিমী শক্তির দ্বারস্থ। কিন্তু ইহুদী চক্রের ষড়যন্ত্র সম্পর্কেও তিনি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন।’

শারার সঙ্গে বৈঠকের পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, সিরিয়াকে একটি স্থিতিশীল ও সফল দেশ হিসেবে দেখাটা গোটা অঞ্চলের সব দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সিরিয়া তার দীর্ঘদিনের শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না, সে ব্যাপারে ট্রাম্প কিছু বলেননি।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর শারা মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, গোলান মালভূমি নিয়ে সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যকার চলমান বিরোধের কারণে দু’দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা হওয়াটা কঠিন। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় পরিচালিত আলোচনাগুলো দু’দেশের মধ্যে বৈঠকের প্রক্রিয়া শুরু করতে সাহায্য করতে পারে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, শারা ও ট্রাম্প দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে দৃঢ় ও উন্নত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। দু’দেশের মধ্যকার কিছু অভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এত সব প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও শারা সতর্কতার সাথে এগুবেন বলে মনে হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে, ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতি উন্নয়নে তার সহায়তা দরকার। তিনি তাই পশ্চিমী শক্তির দ্বারস্থ। কিন্তু ইহুদী চক্রের ষড়যন্ত্র সম্পর্কেও তিনি সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন বলে বলে হচ্ছে। সিরিয়ায় কি পরিবর্তন ঘটছে? ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সিরিয়ার নতুন নেতৃত্ব তাদের ‘সহিংস’ অতীত থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। সাধারণ সিরীয় নাগরিকদের পাশাপাশি বিদেশি শক্তিগুলোর কাছে তারা নিজেদের সংস্কারপন্থী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে।

আল-শারার এ পরিবর্তনের গতি ছিল চোখধাঁধানো। আড়াই কেটি লোকের দেশ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে কিছু তথ্য দেয়া দরকার। এটি ছিল একটি সশস্ত্র সংঘাত যা ২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ান রিভলুশন নামে শুরু হয়েছিল, যখন বাশার আল-আসাদের শাসিত বাথপন্থী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের অসন্তোষ বৃহত্তর আরব বসন্তের অংশ হিসেবে সিরিয়া জুড়ে বৃহৎ আকারের বিক্ষোভ এবং গণতন্ত্রপন্থী সমাবেশের সূত্রপাত করে । বাশার আল আসাদ সরকার বিক্ষোভের প্রতি প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ করেন, যার ফলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় । এটি প্রায় ১৪ বছর স্থায়ী হয় এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাশার সরকারের পতনের মাধ্যমে শেষ হয় । বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সিরিয়ার বিরোধীরা বিদ্রোহ শুরু করে , যার ফলে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মতো গোষ্ঠী তৈরি হয় । বাশার আল আসাদবিরোধী বাহিনী কাতার এবং তুরস্কের মতো রাষ্ট্র থেকে সহায়তা পেয়েছিল । বাশারপন্থী বাহিনী ইরান এবং রাশিয়ার কাছ থেকে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়েছিল।

আবার শারার সফরের বিষয়ে ফিরি। বিশ্লেষকরা এ সফরকে হোয়াইট হাউসে সাবেক ‘জিহাদি কমান্ডার’, মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে নতুন বাজি বলে মন্তব্য করেছেন। আলজাজিরা এক বিশ্লেষক বলেছেন, কয়েক মাস আগেও যা কল্পনাতীত ছিল, সে দৃশ্যই এখন বাস্তব। মাত্র এক বছর আগেও আল-শারা ছিলেন এমন এক বিদ্রোহী, যাঁর মাথার দাম যুক্তরাষ্ট্রই ঘোষণা করেছিল এক কোটি ডলার। একসময় ‘আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি’ নামে পরিচিত এ লোক যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইরাকে যুদ্ধ করেছেন। পরে আল-কায়েদার শাখা সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামের নেতৃত্বও দিয়েছেন। এমনকি একসময় তিনি মার্কিন বাহিনীর হাতে বন্দিও ছিলেন। ২০১৩ সালে তালিকাভুক্ত ছিলেন বৈশ্বিক সন্ত্রাসী হিসেবে। অথচ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তার বাহিনীই মাত্র ১১ দিনে বাশার আল-আসাদের শাসনকে শেষ করে দিল। শেষ করে দিল অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা এক নিষ্ঠুর একনায়কতন্ত্র।

মার্কিন প্রশাসন ইতিমধ্যে ‘সিজার আইন’-এর আওতায় আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছে। এখন কংগ্রেসে তা স্থায়ীভাবে বাতিলের উদ্যোগ নিচ্ছে। যা সিরিয়াকে পুনর্গঠনের জন্য শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগের দরজা খুলে দিতে পারে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে সিরিয়ায় পুনর্গঠনের ব্যয় ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে। তাই আল-শারার সফরের অর্থনৈতিক গুরুত্ব নিঃসন্দেহে বিশাল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কাছে একটি বিষয় পরিষ্কার, পশ্চিমা চাহিদার সিরিয়া মানে ইরান ও তার ‘প্রতিরোধ জোটের’ জন্য এক ভয়াবহ ধাক্কা। যদি দামেস্ক তেহরান ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য নাটকীয়ভাবে চলে যাবে ওয়াশিংটনের উপসাগরীয় মিত্র ও তেল আবিবের পক্ষে। নেতানিয়াহু বিষয়টি একেবারে স্পষ্টই বলেছেন, ইরান ও হিজবুল্লাহর দুর্বলতাই সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনাকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।

এই চেষ্টার মূল লক্ষ্য হলো দু’দেশের পারস্পরিক সীমান্তে একটি যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে ইসরাইল নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে গোলান মালভূমির একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেছে। দামেস্ক চায় সেই সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়া হোক। এদিকে ইসরাইলের দাবি, সিরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নিরস্ত্রীকরণ করা হোক এবং সেখানে ইরানি প্রভাব পুরোপুরি শেষ করার নিশ্চয়তা দেওয়া হোক। জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে আলোচনা করবে না সিরিয়া। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে সে আগ্রহকে আল-শারা উড়িয়ে দিয়েছেন ‘অবাস্তব’ বলে। এ জটিলতার মূল কারণও ধারণা করা যায়। তা হচ্ছে, গোলান মালভূমি। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ মালভূমি ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে দখল করে ইসরাইল। ১৯৮১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করে নেয় নিজেদের মানচিত্রে। ইসরাইলের এ পদক্ষেপের স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া দেয়নি কেউই।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলমান আলোচনায় সিরিয়া গোলান মালভূমি ফেরত চাওয়ার দাবি জোরালোভাবে তুলছে না। তাদের দাবি সীমিত রয়েছে ইসরাইলের সম্প্রতি দখল করা বাফার জোনগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহারের মধ্যে। কিছু প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হচ্ছে, দামেস্ক শান্তিচুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে অন্তত গোলানের এক-তৃতীয়াংশ ফেরত চায়। আবার কেউ কেউ ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার বা লিজ চুক্তির মতো জটিল প্রস্তাবও দিয়েছেন। অন্যদিকে ইসরাইলি কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, গোলানের ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি না দিলে কোনো ধরনের চুক্তিই সম্ভব নয়। আল-শারার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মিত্র তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান। তিনিও সম্পূর্ণ কূটনৈতিক স্বাভাবিকীকরণের বিরোধিতা করছেন। কারণ, এতে আঙ্কারার আঞ্চলিক প্রভাব কমে ইসরাইল ও সৌদি আরবের প্রভাব বাড়তে পারে। এদিকে সিরিয়ার সাধারণ মানুষ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান। দামেস্ক ও আলেপ্পোর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকের অভিযোগ, আল-শারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় সিরিয়ার জমি বিকিয়ে দিচ্ছেন। যদি দামেস্ক তেহরান ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তবে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য নাটকীয়ভাবে চলে যাবে ওয়াশিংটনের উপসাগরীয় মিত্র ও তেল আবিবের পক্ষে। নেতানিয়াহু বিষয়টি একেবারে স্পষ্টই বলেছেন, ইরান ও হিজবুল্লাহর দুর্বলতাই সিরিয়ার সঙ্গে আলোচনাকে ‘সম্ভব’ করে তুলেছে।

আপাতত আহমেদ আল-শারা দাঁড়িয়ে আছেন এক বিশাল কূটনৈতিক পরীক্ষার কেন্দ্রে। যা হয়তো অস্থির এক অঞ্চলকে স্থিতিশীল করবে, নয়তো নতুন করে আগুন জ্বালিয়ে দেবে এমন এক ভূমিতে, যা ইতিমধ্যেই সহ্য করেছে অগণিত যন্ত্রণা।

দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতার পর শারার যুক্তরাষ্ট্র সফর সিরিয়ার জন্য এক নতুন সূচনা হতে পারে, এমনটাই মনে করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। রাজধানী দামেস্কের রাস্তায় অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার ওয়াশিংটন সফর সিরিয়াকে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে দেবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, তাদের কথায় হয়তো পুরো সত্যিটা নেই, কিছু লুকিয়ে আছে। তারা বলছেন, পুনর্গঠনের পাশাপাশি ভূ-রাজনীতির কথা স্মরণে না রাখা উচিৎ হবে না। মনে রাখতে হবে আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে বন্ধুত্ব ও সদ্ভাবের আড়ালে কিছু জিনিস লুকিয়েও থাকে। তা অস্বীকার করা এড়িয়ে যাওয়া উচিত হবে না।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক।