পৃথিবীর দুটি সপ্তাশ্চার্য তালিকা রয়েছে। প্রাচীন এবং নতুন। প্রাচীন সপ্তাশ্চার্য হলো প্রাচীনকালের সাতটি স্থাপত্য ও ভাস্কর্য। নতুন সপ্তাশ্চার্য হলোÑ ২০০৭ সালে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্বাচিত সাতটি আধুনিক বিস্ময়। প্রাচীন বিশ্বের সপ্তাশ্চার্যগুলো হচ্ছে: ১. গিজার মহাপিরামিড (মিশর), ২. ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান (ইরাক), ৩. অলিম্পিয়ার জিউসের মূর্তি (গ্রীস), ৪. ইফেসাসে আর্টিমিসের মন্দির (তুরস্ক), ৫. হ্যালিকার্নেসাসের সমাধি মন্দির (তুরস্ক), ৬. রোডস নগরদ্বারে স্থাপিত কলোসাসের (গ্রিক সূর্য দেব) মূর্তি (গ্রীস) ও ৭. আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর (মিশর)। নতুন সপ্তাশ্চার্যগুলো হচ্ছে : ১. কলোসিয়াম (রোম, ইতালি), ২. পেত্রা (জর্দান), ৩. ক্রাইস্ট দ্যা রিডিমার মূর্তি (রিওডিজেনেরো, ব্রাজিল), ৪. চীনের মহাপ্রাচীর (চীন), ৫. মাচুপিচু (পেরু), ৬. চিচেন ইতজা (মেক্সিকো) ও ৭. আগ্রার তাজমহল (ভারত)। এছাড়াও কম্বোডিয়ার রাজা দ্বিতীয় সূর্য বর্মন কর্তৃক ৪৩২ একর এলাকা জুড়ে নির্মিত বিশাল আঙ্কোর ভাট মন্দিরকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যও বলা হয়। এ পনেরোটি আশ্চর্য বস্তুর সবগুলোই পুরাকীর্তি, স্থাপত্য বা ভাস্কর্য প্রকৃতির। এগুলো দেখে মানুষ বিস্মিত হয়। যারা তৈরি করেছেন তাদের বুদ্ধিমত্তা ও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিশৈলীর গুণগান করেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশে আরো কতিপয় আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে যা মানুষকে হতবাক করেছে। এতে কেউ কেউ চোখে অন্ধকার দেখছেন, কেউ কেউ মাথায় এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে ভূমিকম্প ও বজ্রপাতের ধ্বংসলিলা দেখতে পাচ্ছেন। ঘটনাটি হচ্ছে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-উত্তর জালেম দুর্নীতিগ্রস্ত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পলায়ন এবং ইসলামী জীবনদর্শন প্রতিষ্ঠার পুরোধা জামায়াত-শিবিরের পুনরুত্থান; বিশেষ করে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভূমিধস বিজয়। জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এমন কোনো অপবাদ বা রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাস কিংবা নিষ্ঠুর-বর্বরতম কাজ নেই যা আমাদের দেশের ইসলাম বৈরী নাস্তিক ধর্মনিরপেক্ষ এমনকি ধর্মব্যবসায়ী তথাকথিত আলেমরা করেননি, যারা বিশ্বাস করেন যে, ধর্মের স্থান খানকা আর মাজার; রাজনীতি অথবা রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নয়। শিবিরের সাম্প্রতিক বিজয় তাদের এ ধারণাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনকে প্রভাবিত করতে বসেছে এবং তা দেখে ডান-বাম নির্বিশেষে অনেকেরই মাথায় হাত উঠেছে।
১৯৪৭ সালে আমাদের প্রথম স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরপর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে তাৎক্ষণিকভাবে জামায়াতের কার্যক্রম শুরু হলেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ অঞ্চলে তার কাজকর্ম শুরু হয় পঞ্চাশের দশকের অনেকটা মাঝামাঝি সময়ে। তখন আলেম সমাজের একটা বিরাট অংশ বিশ্বাস করতেন যে, ইসলামে রাজনীতি নেই এবং মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর নেতৃত্বাধীন জামায়াত তার দাওয়াত ও কর্মসূচিতে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থায় সৎ ও যোগ্য লোক প্রতিস্থাপনের নামে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে একটি ভ্রান্ত আকিদার সৃষ্টি করেছেন, যা কিছুেতই মেনে নেয়া যায় না। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর দেশটির উপযোগী একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য আন্দোলনে (Basic Principle Movement) জামায়াতের ভূমিকা ছিল মুখ্য। ফলে উভয় প্রদেশে জামায়াত অনেক রাজনৈতিক দলের চক্ষুশূলে পরিণত হয়। ঐ সময়ে পাঞ্জাবে কাদিয়ানী সমস্যা দেখা দেয়। তারা খতমে নবুয়্যতে বিশ্বাস করতেন না। খতমে নবুয়্যত তথা রাসূল (সা.)-কে শেষ নবী না মানলে মুসলমান হওয়া যায় না। কাদিয়ানী দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে পাঞ্জাবে সামরিক শাসন জারি হয়। ঐ সময়ে খাকসার আন্দোলনের নেতা নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খানের নেতৃত্বে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ঘোষণা করা হয়। এতে সেখানে দাঙ্গা বাধে। এ দাঙ্গায় জামায়াতের কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে একই সময়ে মাওলানা মওদুদী ‘কাদিয়ানী সমস্যা’ শীর্ষক একটি পুস্তিকা প্রণয়ন করেন। এতে তিনি কাদিয়ানীদের প্রধান নেতা মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানের বিভিন্ন পুস্তক পুস্তিকা ও তাদের অগণিত সাহিত্যের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করেন যে, তারা খতমে নবুয়্যতে বিশ্বাস করেন না, মীর্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ান নিজেকে নবী দাবি করেন এবং পবিত্র কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে কাদিয়ানীরা মুসলমান নয়। পুস্তকটি লেখার অপরাধে সামরিক আদালতে মাওলানা মওদুদীকে ফাঁসির আদেশ দেন। দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা আলেম-ওলামা ও রাষ্ট্র প্রধানদের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে ফাঁসির আদেশ স্থগিত হয়। পরবর্তীকালে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করার পর এ আদেশের বিরুদ্ধে লাহোর হাইকোর্টে আপীলের প্রেক্ষিতে মাওলানার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ বাতিল হয়। পাকিস্তান সরকার কর্তৃক গঠিত এক সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল কমিটি Justice Munir Report- এ এর বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। জামায়াত ঐ যাত্রা বেঁচে যায়। এখানে একটি মজার বিষয় ছিল যে, যে বইটি লেখার অপরাধে মাওলানা মওদুদীদের সামরিক আদালত ফাঁসি দিয়েছিল, তারা সে বইটি বেআইনি করেনি, আবার কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম ঘোষণাকারী খাকচার নেতা নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান স্বয়ং নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতিও ছিলেন। তখন পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন কামারুজ্জামান, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগিশ এবং সেক্রেটারি শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৫৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান এসেম্বিলির ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী হত্যার জের হিসেবে অক্টোবর মাসে আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক শাসন জারির পর ঐ সময় সকল রাজনৈতিক দলের সাথে জামায়াতও বেআইনি ঘোষিত হয়। ১৯৬২ সালে মার্শাল ল’ তুলে নেয়ার পর সকল দলের আগেই জামায়াত নিজেকে পুনরুজ্জীবিত ঘোষণা করে এবং তার স্বাভাবিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখে, অবশ্য সামরিক শাসনামলেও জামায়াত নিষ্ক্রিয় ছিল না। সারাদেশে মজলিসে তা’মিরে মিল্লাত নামে একটি নিবন্ধিত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নামে তার কাজকর্ম অব্যাহত রাখে। জামায়াত জন্মলগ্ন থেকেই সুশৃঙ্খল, আইনানুগ ও জনবান্ধব একটি সংগঠন ছিল, কখনো দলটির গোপন কোনো তৎপরতা ছিল না এবং জামায়াত নেতাকর্মীরা বিশ্বস্ততা ও ঈমানদারীর মানদণ্ডে মানুষের চোখে শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন।
১৯৬৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিল। অভিযোগ ছিল জামায়াত বিদেশী অর্থে তার কাজকর্ম চালায়। জামায়াত সরকারের এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে মামলা করে। সরকার তার অভিযোগ প্রামাণে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে জামায়াত তার প্রতিটি আয়-ব্যয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব আদালতে পেশ করতে সমর্থ হয়। এ প্রেক্ষিতে জাস্টিস মাহবুব মুর্শেদের নেতৃত্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্ট জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণা করে দেয়া সরকারি আদেশ বেআইনি ঘোষণা করেন। এ আদেশকে অনুসরণ করে পশ্চিম পাকিস্তান হাইকোর্টও জামায়াতের বিরুদ্ধে আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
এরপর পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সিন্ধু, সাতলেজ, রাভি, ঝিলামের পানি অনেক দূর গড়িয়েছে। পাকিস্তান ভেঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ হয়েছে। শেখ মুজিব ক্ষমতায় এসে জামায়াত ও ছাত্র সংঘসহ নতুন বাংলাদেশে সকল ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ১৯৭৫ সালে শাসনতন্ত্রের চতুর্থ সংশোধনী জারি করে নিজ দল আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দল বেআইনি ঘোষণা করে একটিমাত্র দল বাকশাল কায়েম করে নিজেকে আজীবন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। তিনি দুটি দলীয় ও দুটি সরকারি মালিকানাধীন পত্রিকা ছাড়া সকল সংবাদপত্রও বেআইনি ঘোষণা করেন। ১৯৭১ সালেও বিজয় দিবসের পর জামায়াতসহ সকল ইসলামপন্থী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তার দলীয় ক্যাডার ও রক্ষীবাহিনী বিনা বিচারে হত্যা করে। এরই এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। তার পতনের পর জামায়াতসহ অন্যান্য দল নতুনভাবে নিবন্ধন নিয়ে কাজকর্ম শুরু করে। ১৯৭৭ সালে ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ইসলামী অনুশাসন ও মূল্যবোধকে ভিত্তি করে সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা ও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত একটি সমাজ কাঠামো তৈরির কাজে তারা ব্রতী হন এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও নতুনভাবে কাজ শুরু করে। তবে তাদের কারুর কাজই মসৃণ ছিল না। জন্মলগ্ন থেকেই তারা সরকারি মদদে রাম-বামদের প্রচণ্ড বিরোধিতার সম্মুখীন হয়। তাদের উপর মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের মিথ্যা অপবাদ চাপিয়ে দেয়া হয়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও জঙ্গীবাদের হাজার হাজার মিথ্যা মালা চাপিয়ে দেয়া হয়। বহুস্থানে বুলডোজার দিয়ে জামায়াত নেতাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। শিবিরকে দেয়া হয় মিথ্যা রগকাটার অপবাদ। আমার মনে আছে ১৯৯২ সালে এ অপবাদটি সর্বপ্রথম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়, ঐ সময়ে আমার এক সহকর্মী (এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপসচিব) জনাব শফিকুর রহমান রাজশাহী সফরে ছিলেন। মনমানসিকতা ও রাজনৈতিক বিশ্বাসের দিক থেকে তিনি ছিলেন আগাগোড়া আওয়ামী ঘরানার। রাজারবাগ পুলিশ লাইনের বিপরীত দিকে একটি পেট্রোল পাম্পের তিনি মালিকও ছিলেন। আমরা এক গাড়িতেই অফিসে আসা-যাওয়া করতাম। রগকাটার গল্পটি ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি নিজেই বলেছিলেন যে, ঘটনাটি ডাহা মিথ্যা, শিবিরকে লোকচক্ষে হেয়প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে রটিত।
যা বলছিলাম, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইসলামী ছাত্রশিবিরের জন্য নিষিদ্ধ ছিল। তাদের সেখানে কোনো মানবাধিকার বলতে কিছু ছিল না। ষাটের দশকে আমি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। কিন্তু বিনাবাধায় ছাত্রসংঘের তৎপরতায় অংশগ্রহণ করা কঠিন ছিল। শহীদ আবদুল মালেক আমার জুনিয়র ভাই ছিলেন। তার অবস্থা তো সবাই জানেন। তার আগের ঘটনা। ১৯৬২ সালে আমি ঢাকা কলেজে ইন্টার মিডিয়েটে ভর্তি হয়েছিলাম। তখন অধ্যক্ষ ছিলেন জালালউদ্দিন আহমদ। আমি তখন পাঞ্জাবী-পাজামা পরতাম। তিনি আমাদের ইংরেজি ক্লাস নিতেন। একদিন ক্লাসে আমাকে জিজ্ঞেস করেই বসলেন, ‘তুমি কি মৌলভী?’ আমি বললাম না স্যার। তিনি পরিষ্কার বলে দিলেন ‘আমার কলেজে মোল্লা-মৌলভীর জায়গা নেই।’ অবস্থাটা বুঝুন!
শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অংশ হিসেবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জামায়াত-শিবিরসহ ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ পুস্তিকা ছাপিয়ে সারা দুনিয়ায় বিতরণ করেছে। জামায়াত-শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সর্বস্তরের অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। জামায়াত-শিবির নেতারা পরিবার-পরিজন বিহীন অবস্থায় গোপন আস্তানায় থেকে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ক্লাস করতে বা পরীক্ষা দিতে পারেনি। বিভিন্ন মুসলিম দেশের সরকার ও তাদের যুব সংগঠনগুলো যাতে শিবিরের ছাত্রদের আশ্রয় না দেয় কিংবা কোনো সহযোগিতা না করে তারজন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাধ্য করা হয়েছিল যাতে তারা তাদেরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপবাদ দিয়ে পত্র দেয়। এ পত্রের কপি সংগ্রহ করার সুযোগ আমার হয়েছে। প্রতিবেশী একটি দেশ এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহ জুগিয়েছে।
এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা বাংলাদেশ পাকিস্তান হয়ে গেছে বলে বিলাপ শুরু করেছে। এ বিলাপে আামাদের কিছু কিছু সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক নেতাও যোগ দিয়েছেন। এর সাথে ভ্রষ্টা লেখিকা ও ভারতের পোষ্য তসলিমা নাসরিনকেও দেখা যাচ্ছে। দেশের মানুষ চরিত্র ও নৈতিকতা বিচার করে সামনে পদক্ষেপ নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।