DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

কলাম

গণপরিষদ গঠন নয়া সংবিধান ও সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে আত্মপ্রকাশ করলো এনসিপি

অবশেষে বহুল প্রচারিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো। শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সবচেয়ে সুপরিসর রাজপথ মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশ

Default Image - DS

আসিফ আরসালান

অবশেষে বহুল প্রচারিত ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো। শুক্রবার ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সবচেয়ে সুপরিসর রাজপথ মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দলটির আত্মপ্রকাশ ঘটলো। আমি একটু আগেই দুটি শব্দ ব্যবহার করেছি। সেটি হলো ‘বহুল প্রচারিত’। আসলে গত দু’মাস থেকেই দলটি গঠনের জল্পনা কল্পনা এবং গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হচ্ছিল। প্রায় মাসখানিক আগেই এটি সর্বজন বিদিত ছিল যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নাহিদ ইসলাম এ দলটির কাণ্ডারি হবেন। বাস্তবে হলোও তাই। সকলেই যেমন জানেন তেমনি দলটির সদস্য সচিব হয়েছেন আক্তার হোসেন। তিনিও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং পরে পলিটিক্যাল প্ল্যাটফর্ম জাতীয় নাগরিক কমিটিতে ছিলেন।

বাংলাদেশে তো ৪০ টিরও বেশি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এরমধ্যে নিবন্ধতি দলের সংখ্যা যতদূর মনে পড়ে, ৩৯ টি। এত বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দলের ভিড়ে আরেকটি নতুন দল সংযোজিত হলো। কেন এর প্রয়োজন হলো? কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্নভাবে যেসব খবর আসছিল তার মধ্যদিয়েই দল গঠনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু গত শুক্রবার দলটির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিতে গিয়ে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রথমে যে মৌখিক বক্তব্য দেন এবং পরে যে লিখিত বক্তব্য পড়েন তার মধ্যদিয়েই দলটি প্রতিষ্ঠার কারণ সুস্পষ্টভাবে বলা হয়। আমরা রাজনীতির অঙ্গনে এ নতুন দলটির আগমনকে খোশ আমদেদ জানাই।

আগামী দিনে দলটির পথচলা কেমন হবে, দেশের বর্তমান জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় দলটি কতটুকু অবদান রাখতে পারবে সেটি বোঝা যাবে অনাগত ভবিষ্যতে। তবে এ মুহূর্তে দলটির কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট দৃশ্যমান।

প্রথমত বাংলাদেশের ৫৪ বছরে যতগুলি রাজনৈতিক দল এসেছে তাদের মধ্যে এ দলটি কনিষ্ঠতম। অনুরূপভাবে দলীয় প্রধান হিসেবেও নাহিদ ইসলাম কনিষ্ঠতম। তার বয়স কেবল মাত্র ২৭। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরেকজন পলিটিশিয়ান শুরুতেই দলের অনেক উচ্চ শিখরে কম বয়সে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তিনি হলেন জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি আ স ম আব্দুর রব। তিনি যখন দলীয় সেক্রেটারি হন তখন তার বয়স ছিল ২৭ বছরের কিছু বেশি। তবে নাহিদ ইসলামের মতো তিনি দলের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন না। সর্বোচ্চ পদে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ৯ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক মেজর জলিল। তিনি ছিলেন জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

নাহিদ ইসলাম রাজনীতিতে আরেকটি রেকর্ড সৃষ্টি করলেন, যেটি বিগত ৫৪ বছরে আর দেখা যায়নি। এত অল্প বয়সে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর মর্যাদায় তিনি ড. ইউনূসের ক্যাবিনেটে উপদেষ্টা নিযুক্ত হন। উল্লেখ্য, উপদেষ্টারা পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর প্রোটোকল এবং বাড়ি গাড়ি সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা পান। মাত্র ৬ মাস মন্ত্রীত্ব (উপদেষ্টা) করার পর স্বেচ্ছায় তিনি মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলের হাল ধরেন। আরো একটি বিষয় উল্লেখের দাবিদার। তিনিই প্রথম মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিয়ে তার অর্থ কড়ি ও সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। তার সম্পর্কে কিছু মতলবী লোক আজেবাজে প্রচারণা চালায়। কিন্তু তার সম্পত্তি ও টাকা পয়সার বিবরণ দাখিল করার পর পরিষ্কার হয়ে যায় যে এ ৬ মাসে লোভ লালসা তাকে ছুঁতে পারেনি। অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে তিনি রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করলেন। আমরা আশাকরি, নাহিদ ইসলাম এব্যাপারে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং নেতারা এই পথ অনুসরণ করবেন।

॥ দুই ॥

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতারা যে একটি রাজনৈতিক দল করবেন সেটি রাজনৈতিক পণ্ডিতরা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। তবে কোনো কিছু না জেনে না শুনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এটিকে ‘কিংস পার্টি’ বলে খাটো করার চেষ্টা করেন। বিএনপিই দাবি তোলে যে, রাজনৈতিক দল করতে গেলে সরকার থেকে বেরিয়ে এসে পলিটিক্যাল পার্টি করতে হবে। মির্জা ফখরুল সহ বিএনপির অন্য নেতারা জানতেন না যে, এসব তরুণ বিপ্লবীর সে সৎ সাহস আছে। এখনো ক্যাবিনেটে দু’জন উপদেষ্টা আছেন। এরা হলেন মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরা যদি প্রত্যক্ষ রাজনীতি করতে চান তাহলে তারাও মন্ত্রীত্ব (উপদেষ্টা) ছেড়েই রাজনীতির অঙ্গনে আসবেন।

যারা কিংস পার্টির কথা বলেন তারা জানেন না যে কাঁচের ঘরে বসে অন্যের বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া যায় না। ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। যারা কিংস পার্টির কথা বলেন তাদেরকে আসল কিংস পার্টির কয়েকটি জ¦লন্ত নজির দিচ্ছি। সে পাকিস্তান আমলে জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খান প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থাতেই মুসলিম লীগ (কনভেনশন) দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ঐ দলটি করে গেছেন। তার পুত্র গওহর আইয়ুব ঐ দলেই যোগদান করেন এবং ঐ দল থেকেই পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ আমলে জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের সর্বময় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাকালে প্রথমে ‘জাগো দল’ নামে নতুন দল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই জাগো দল বিএনপিতে রূপান্তরিত হয়। ক্ষমতায় থেকে দল করলেই যে সে নেতা খারাপ হয়ে যাবেন এমন ধারণা দেওয়ায় মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। ক্ষমতায় থেকে দল প্রতিষ্ঠা করলেও প্রেসিডেন্ট জিয়াই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। বেগম খালেদা জিয়াও তার স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়ার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির উত্তরাধিকারী হন। বেগম জিয়াও এখন পর্যন্ত অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়াকে পাকিস্তানের এজেন্ট এবং বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে এবং গীবত রটিয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়ার ইমেজ এতটুকু নষ্ট হয়নি বরং তার বিরুদ্ধে অগনন মামলা দেওয়ার পর জুলাই আগস্ট বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে সব মামলা উঠে গেছে। অর্থ আত্মসাৎ সম্পর্কিত আওয়ামী ন্যারেটিভ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের বিচারবিভাগ উড়িয়ে দিয়েছেন। জেনারেল এরশাদও ক্ষমতায় থাকাকালেই জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া যেমন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তেমনি জেনারেল এরশাদও জাতীয় ছাত্র সমাজ নামক জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ১/১১ সরকারের নেপথ্যে থেকে ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীকে দিয়ে একটি দল গঠন করেছিলেন। সেই দলটি কিংস পার্টির খেতাব পেয়েছিল এবং অতি শীঘ্রই দলটি অক্কা পেয়েছিল। এগুলো সব নির্ভর করে ব্যক্তি চরিত্র এবং ব্যক্তি বা গোষ্ঠির নিয়তের ওপর।

ড. ইউনূস সম্পর্কে কেউ কেউ ঠারেঠুরে, কেউ কেউ প্রকাশ্যে তীর্যক কথা বলছেন। কিন্তু যারা ড. ইউনূসকে এতদিন এক্স-রে চোখ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন তারা হলফ করে বলতে পারবেন যে ড. ইউনূস কোনো অবস্থাতেই নাহিদদের নবগঠিত দলের হাল ধরবেন না এবং রাজনীতিতেও তিনি আসবেন না। কারণ তিনি ইতোমধ্যেই বিলক্ষণ বুঝে গেছেন যে রাজনীতি Is not his cup of tea.

॥ তিন ॥

এখন নবগঠিত রাজনৈতিক দল সম্পর্কে দু’একটি কথা। এবারই সর্বপ্রথম একটি রাজনৈতিক দল, অর্থাৎ জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের ২০০ বছরের ইতিহাসকে রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে এনেছে। নতুন দলটির শীর্ষ ১০ নেতা সহ সকলেই বয়সে খুবই তরুণ। কারোর বয়সই ৩০ এর ওপর নয়। কিন্তু তারুণ্য দীপ্ত এ দলটি বলিষ্ঠ কন্ঠে বলেছেন যে, যে বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে বিধৃত করার জন্য ১৯৪৭ সালে, নাহিদের ভাষায়, ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের পত্তন ঘটে’। অর্থাৎ তারা পাকিস্তানকে ধারণ করেছেন। অনুরূপভাবে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে ধারণ করেছেন। একইভাবে তারা ধারণ করেছেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে। একই সাথে তারা ধারণ করেছেন এরশাদের স্বৈরাচার অপসারণের জন্য ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানকে। একই নিঃশ্বাসে তারা ধারণ করেছেন ২০২৪ সালের গণবিপ্লবকে (কেউ কেউ এটিকে বলেন গণঅভ্যুত্থান, আবার কেউ কেউ এটিকে বলেন বিপ্লব)।

দল গঠনের উদ্দেশ্য দলের আহ্বায়ক দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যখন তিনি তার লিখিত ভাষণে বলেছেন, “আমরা মনে করি, জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থান আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার লড়াই সূচনা করেছে। একটি গণতান্ত্রিক নতুন সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সকল সম্ভাবনার অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।”

॥ চার ॥

লিখিত বক্তব্যে নবগঠিত দলটির প্রধান একাধিকবার একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন আমাদের অন্যতম প্রাথমিক লক্ষ্য। আমাদের সেকেন্ড রিপাবলিকে জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষায় শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।” তিনি তার লিখিত বক্তব্য শেষ করেছেন এই বলে, “আমাদের দেশ, আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎÑআমাদের সেকেন্ড রিপাবলিক অধরা কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের প্রতিজ্ঞা!”

নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি নামক দলটি তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা। দৈনিক সংগ্রামের সম্মানিত পাঠক ভাইদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে যে গত ৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একটি প্রোক্লামেশন বা ফরমান ঘোষণা করতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএনপির বিরোধিতার জন্য সেটি সম্ভব হয়নি। সে প্রোক্লামেশন বা ফরমানই হলো সেকেন্ড রিপাবলিকের ঘোষণাপত্র।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মেহেরপুর আম্রকাননে (মুজিব নগর) বাংলাদেশের প্রথম ফরমান বা প্রোক্লামেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রথম রিপাবলিক বা ফার্স্ট রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিগত ৫৪ বছরে ঐ ফার্স্ট রিপাবলিকে বিধৃত সাম্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ওয়াদা বাস্তবায়িত হয়নি। বরং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিবর্তে এক নিষ্ঠুর, ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী (অথোরিটারিয়ান) স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচার কিম জং উনের চেয়েও নিকৃষ্ট।

সেজন্যই এসব তরুণ যুবারা সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা মনে করে যে বর্তমানে শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত সংবিধানেই নিহিত রয়েছে ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদের বীজ। তাই তারা এ সংবিধান প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা মনে করেন যে, বর্তমান সংবিধান সংশোধন নয়, বরং এমন একটি নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা যাবে তাদের ইপ্সিত সেকেন্ড রিপাবলিক। সুতরাং তাদের দাবি, আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেটি পার্লামেন্ট বা সংসদ গঠনের নির্বাচন হবে না। বরং সেটি হবে সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে নতুন সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন। এই অংশটিই এ দলের যাবতীয় দর্শনের নির্যাস।

Email: [email protected]