মুসফিকা আন্জুম নাবা
পৃথিবী তখন আইয়ামে জাহেলিয়াতে আচ্ছাদিত। সে সংকটাপন্ন সময়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নতুন সমাজের গোড়াপত্তন করেন। ইসলামের অহীর শক্তি ও রাসুল (সাঃ)-এর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও গুণে মুসলিম সংস্কৃতি ফুলে-ফলে সুশোভিত হয় জাজিরাতুল আরব। পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এর খুশবু ছড়ায়। একে একে বিজিত হতে থাকে বিভিন্ন শহর, ভূমি ও অঞ্চল। ইসলমী রীতিনীতি সারা পৃথিবীতে নব জাগরণ সৃষ্টি করে। ইসলাম যেহেতু ফিতরাতের জীবন বিধান, তাই মানুষের বস্তু প্রয়োজনকে স্বীকৃত দিয়েই এর বিচিত্রতা। রবার্ট ব্রিফল্টের মতো বহু নৃবিজ্ঞনী স্বীকার করেছেন, ইউরোপে রেনেসাঁর প্রেরণা এসেছিল ইসলাম থেকে। স্পেনের ভেতর দিয়ে মুসলিম জ্ঞানচর্চার ধারা গিয়ে মূল ইউরোপকে পাল্টে দিয়েছিলো। ইউরোপ মুসলিম উৎকর্ষতায় জেগে ওঠেছিলো। একসময় দেখা গেল, মুসলমানদের কাছ থেকে ধার করে ইউরোপ এগিয়ে যায়। আর সভ্যতার চালক মুসলমানরা পিছিয়ে পড়ে। কারণ, তাদের ভেতরকার বুদ্ধিমত্তা-সৃজনশীলতার ধারা শুকিয়ে যায়। এগিয়ে যাওয়া ইউরোপ একসময় আগ্রাসী ভূমিকায় হামলে পড়ে মুসলিম মুসলিম অধ্যুসিত জনপদের ওপর। এভাবে মুসলিম উম্মাহয় মধ্যযুগের অবসান হয়; আসে আধুনিক যুগ। এ আধুনিক যুগ, ইউরোপের যুগ-যেখানে ইউরোপের ক্ষমতা একচ্ছত্রভাবে প্রতিষ্ঠিত। সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপ মুসলিম দুনিয়াকে তছনছ করে দেয়। মুসলিম সমাজে পরিকল্পিতভাবে ফাটল ধরায়। মুসলিমদের ইতিহাস, ঐহিত্য ও সংস্কৃতি দূষিত হতে শুরু করে। যেমনটি আমাদের দেশে প্রকট আকার ধারণ করেছে। আজকের দিনে সাংস্কৃতির আদান প্রদানের নামে চলে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন। বিশ্বায়নের বর্তমান যুগে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সহজ মিশ্রণ ঘটে, যা কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও, কখনও কখনও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে রূপ নেয়। বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি থাকে। তেমনি আমাদেরও রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
আর সংস্কৃতির (Culture) বাংলা প্রতিশব্দ হলো চাষাবাদ। অর্থাৎ মানুষের চিন্তাচেতনা, আচার-আচরণ, জীবনযাত্রা, পোশাক, ভাষা, সাহিত্য, মূল্যবোধ, নৈতিকশিক্ষা, খাদ্যাভ্যাস, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি এসবের চর্চাই তার সংস্কৃতি। দেশ, সময় ও ধর্মের ভিত্তিতে সংস্কৃতির পার্থক্য ঘটে। কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তনের মূলে রয়েছে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে বোঝায় কোনো সংস্কৃতিকে জোর করে গ্রাস, নিয়ন্ত্রণ বা ধ্বংস করা। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, কোনো একটি দেশের একক সংস্কৃতি যখন অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে নিজের আধিপত্য বিস্তার কিংবা সংস্কৃতির স্থান যখন সে সংস্কৃতি দখল করে নেয়, তখন তাকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন (Culture Aggression) বা সাম্রাজ্যবাদ বলে। আবার ইসলামের দৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন বলতে মূলত অমুসলিম সংস্কৃতির এমন প্রভাবকে বোঝায়, যা মুসলিম সমাজে এমন পরিবর্তন নিয়ে আসে যা ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। যেমন, পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণ, ইসলাম-বিরোধী প্রচার এবং মুসলিম ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি অবজ্ঞা ইত্যাদি। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা হঠাৎ করে আসেনি। এ ধরনটা তৈরি হয়েছে পুঁজিবাদের ধারণা থেকে। সমান্তবাদী চিন্তাধারা থেকে যখন মানুষ পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় প্রবেশ করে। তখন পুঁজিবাদীরা ভাবল-সবাই তাদের মতো করে চিন্তা করুক। ফলে তাদের পুঁজির বিকাশ হবে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দ্বারা নব্য উপনিবেশ স্থাপন ও সাম্রাজ্যবাদকে টিকিয়ে রাখা সহজ। কারণ, সবাই তাদের মতো চিন্তা করলে, আচরণ করলে, ভোগবাদী হলে, সাম্রাজ্যবাদ টিকে থাকবে। আর একটি দেশকে অর্থনীতি ও রাজনীতির দ্বারা দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবিত করতে একমাত্র কার্যকরী হাতিয়ার সংস্কৃতি। দেশের মানুষ যতবেশি করে তাদের বিদেশি সংস্কৃতিকে চর্চা করে তাদের মতো হবে, তাদের ততই ভালো। তারা তাদের সভ্যতাকে আধুনিকতার মানদণ্ড হিসেবে সবার সামনে ইমেজ তৈরি করছে। পশ্চিমারা কোনো জাতির নিজস্ব চিন্তা-চেতনা, রীতিনীতির প্রতি ঘৃণা, অনীহা সৃষ্টি করে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে। মূলত মানুষের চিন্তা-চেতনা, আদর্শকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালানো হয়।
যে কোনো আগ্রাসন হোক এর প্রভাব কখনই ভালো নয়। আর তা যদি হয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, তবে তা আরো ভয়াবহ অবস্থায় পরিণত হয়। কারণ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা বারবার প্রয়োগ করতে হয় না। একবার কোনো সমাজ বা দেশকে সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত করতে পারলেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আগ্রাসন সহজ হয়। এ আগ্রাসনের প্রধান অস্ত্র, বুদ্ধিভিত্তিক পরিকল্পনা যা দিয়ে জাতিকে নিজ সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়। আর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের জন্য গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ফ্যাশন, সাহিত্য, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, বিজ্ঞাপন সংগীতকে তারা হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এসব মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ও বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিগুলো সাম্রাজ্যবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। শুধু তাই নয় মিডিয়া ও চলচিত্রের মাধ্যমে যুদ্ধ ও অ্যাকশন মুভিতে সহিংসতা দেখিয়ে অস্ত্র ব্যবসাকে জমজমাট করেছে। সারাবিশ্বে মদের বাজার বৃদ্ধিতে মুভির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। দেশে কনসার্ট ও বিভিন্ন দিবসের ব্যাপক প্রসার হয়েছে। যেমন, ভালোবাসা দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস তারা চালু করেছে। এসব দিবসের উদ্দেশ্য পণ্যের বিক্রি বাড়ানো। অন্যদিকে আমাদের দেশের মেয়েরা টেলিভিশনে বিদেশি সিরিয়াল দেখেন, ফলে এখন দেশের যৌথ পরিবার বিলুপ্তির পথে। এমনকি শিশুরা কার্টুনে এমন কিছু চরিত্র থাকে যার সংলাপ ও মুখভঙ্গি শিশুসুলভ নয়। আবার কিছু কিছু টিভি সিরিয়ালে শিশুদের দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, অশালীন, ঝগড়া-বিবাদপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করানো হয়; যা আমাদের শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ফলে শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশের অন্তরায় ঘটে। বহু ধারাবাহিকে এমন কিছু চরিত্র, সংলাপ, কাহিনী প্রচার করা হয় যার প্রভাবে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। দেশের চলচ্চিত্রে অশ্লীল সংলাপ ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য দিয়ে সিনেমা বানানোর প্রবণতা বেড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে অশ্লীলতার ব্যাপক ছড়াছড়ি। এসবের প্রতি তরুণ প্রজন্মের দিন দিন আকর্ষণ বেড়েই চলেছে। তারা বিদেশী সাহিত্য, ভাষা, রীতিনীতি, প্রথা, পোশাক অনুসরণ করতে পছন্দ করে। জন্ম থেকে শুরু করে আমাদের জীবনের নানা পর্যায়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির পাশাপাশি হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব বেশ লক্ষণীয়। যেমন : মঙ্গলশোভা যাত্রা, হোলি, থার্টি ফাস্ট নাইট সহ অনেক কালচার দেশীয় রীতি নীতিতে অনুপ্রবেশ করেছে ।
ফলশ্রুতিতে আমাদের সাহিত্য, ভাষা প্রণালী থেকে শুরু করে খাদ্যাভাব, পোশাক, রীতিনীতি, সামাজিক প্রথা, নৈতিকতা, মূলবোধে, লেখনরীতি, নন্দনশৈলীতে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সমাজে নৈতিক অবক্ষয়, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে অবজ্ঞা,পশ্চিমা সংস্কৃতির অন্ধ অনুসরণ আমাদের সমাজকে শতচ্ছিন ও বৈষম্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এগুলোর প্রভাবে প্রতিনিয়ত বিবাহ বিচ্ছেদ, পারিবারিক কলহ, ফ্রি মিক্সিং, সমকামিতা, লিভিং টুগেদার, পরকীয়ার শিকার হয়ে ঘর পালানোর খবর, ধর্ষণ ও সম্ভম হানি, হত্যার মতো লোমহর্ষক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। দেশে কিশোর অপরাধ, মাদক, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে। তদুপরি, জীবনধারা এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবনতির কারণে, পশ্চিমা ব্যক্তিবাদের প্রভাবে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভাঙ্গনের দ্বারপ্রান্তে। যার ফলে আত্মপরিচয়ের সংকট দেখা দিচ্ছে। বাঙালী মুসলমান সংস্কৃতির মূল প্রবাহ বিচ্যুত হয়ে পড়ছে। এসব খবরই আমাদের এক অবশ্যম্ভাবী পতনমুখী হওয়ার খবরও দেয়। অপরদিকে বিদেশি সংস্কৃতির মরণ ছোবল আমাদের সম্ভাবনাময়ী যুব সমাজকে অপরাধপ্রবণ করে তুলেছে। বিদেশি মিডিয়ার অবাধ প্রচারের সুযোগ থাকায় এ বিদেশি মিডিয়াগুলো আমাদের শুধু তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংস করেনি, বলা যায় সব বয়সি মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল সংস্কৃতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভেতর দিয়ে একটা দেশের নিজস্ব ইতিহাস, মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের ধরন উল্টাপাল্টা করে দেওয়া সম্ভব। আগ্রাসনের মাধ্যমে অস্পষ্ট করে তোলা হয় আত্মপরিচয়।
শুধু তাই নয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনটা সাবভৌমত্বের জন্য হুমকি। তারা রাষ্ট্রের স্বাধীনতাকে খর্ব করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন সমাজে বিভক্তি তৈরি করে। জাতির আমিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। আবার, সংস্কৃতিক আদান প্রদানের মাধ্যমে মানুষ জীবনধারা গতিশীলতা নিশ্চিত হয়। সংস্কৃতি যদি নতুন চেতনার তাগিদে নতুনভাবে না বদলায়, তাহলে সমাজ অচল হয়ে যায়। কারণ সংস্কৃতি মানুষের ভাব ও চিন্তার জগতের অভিজ্ঞতা ও আলোড়নের ফল। ফরাসি দার্শনিক আলবার্ট কামু বলেছিলেন, ‘সংস্কৃতি মানুষকে তাদের আদিম অবস্থা থেকে উন্নীত করে এবং তাদের পরিচয়ের অনুভূতি দেয়।’ পূর্বে সময়ের প্রয়োজনে মুসলিমরাও পশ্চিমা জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই গ্রহণ করেছে। কিন্তু মেনে নেয়নি পশ্চিমাদের সেক্যুলারিজম। কারণ এটা তাওহিদ পরিপন্থি। ইসলাম একত্ববাদে বিশ্বাসী। কিন্তু পশ্চিমারা আমাদের সেক্যুলার নীতি শেখায়। আমাদের আখিরাতের চেতনা বিমুখ ও অপরাধ প্রবণ হিসেবে তৈরী করে। অপরদিকে ইসলাম সৌজন্যমূলক আচরণ, শিষ্টাচার, সৎকর্মশীলতা ও উন্নত নৈতিকতাকে প্রাধান্য দেয়। পাশাপাশি মুসলিমরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে অন্যান্য সংস্কৃতির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে কিন্তু অন্ধভাবে কোনো সংস্কৃতি অনুসরণ করাকে নিরুৎসাহিত করে।
আগ্রাসনের প্রভাব বাংলাদেশে স্পষ্ট ও বাঙালী মুসলিমরা এর কুফল ভোগ করতে শুরু হয়েছেন। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অপসংস্কৃতির প্রবেশধারাকে তার রূপ পাল্টিয়ে নিজস্ব ও ধর্মীয় সংস্কৃতির আলোকে গড়ে তুলতে হবে। জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে নীতি-নৈতিকতার সমন্বয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পাল্টানো ও দেশীয় নিজস্ব সংস্কৃতির আলোকে ঢেলে সাজানো দরকার। অপসংস্কৃতির ক্ষতিকর দিকসমূহ মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে ব্যাপকভাবে উপস্থাপন করতে হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। অপসংস্কৃতি বর্জন করে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার এক নির্মল পরিবেশ তৈরী করা এখন অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। পরিশেষে ইসলামের জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্য, বিজ্ঞানানুশীলনের ধারা, যুগ সমস্যার সমাধানে ইসলামের সৃষ্টিশীলতার প্রয়োগ, তার জাগ্রত, বিপ্লবী ও মানবতাবাদ সর্বোপরি উম্মাহর চেতনাই বাঙালি মুসলামানের সাংস্কৃতিক ভিত্তি হওয়া উচিত।
লেখক : শিক্ষার্থী, জয়পুরহাট সরকারি মহিলা কলেজ, জয়পুরহাট।