আর্শিনা ফেরদৌস

আমাদের এ বসুন্ধরাকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তুলেছে জীববৈচিত্র। বস্তুত, জীববৈচিত্র্য হল পৃথিবীর জীবনের জৈবিক বৈচিত্র্য এবং পরিবর্তনশীলতা বিষয়ক অনুসঙ্গ। অধ্যাপক হ্যামিল্টনের মতে, পৃথিবীর মাটি, জল ও বায়ুতে বসবাসকারী সব উদ্ভিদ, প্রাণী ও অনুজীবদের মধ্যে যে জিনগত, প্রজাতিগত ও পরিবেশগত বৈচিত্র্য দেখা যায়, তাকেই জীববৈচিত্র্য বলা হয়। মার্কিন জীব বিজ্ঞানী ই এ নরসে এবং তার সহযোগীদের সূত্র অনুযায়ী জৈববৈচিত্র্য হল জল, স্থল সকল জায়গায় সকল পরিবেশে থাকা সকল ধরনের জীব এবং উদ্ভিদের বিচিত্রতা। পৃথিবীর ১০ বিলিয়ন ভাগের একভাগ অংশতেই ৫০ মিলিয়ন প্রজাতির বিভিন্ন জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদের বসবাস। জীববৈচিত্র্যকে নানাভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়, যেমন, (১) ইউনাইটেড নেশন্‌স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (UNEP) অনুসারে জীববৈচিত্র্য হলো কোনো অঞ্চলের অন্তর্গত সমস্ত উদ্ভিদ ও প্রাণীর জিনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্নতা। (২) সি জে ব্যারো-র (C J Barrow) মতে জীববৈচিত্র্য হলো একটি অঞ্চলের অর্থাৎ একটি বাস্তুতন্ত্রের অন্তর্গত বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে বৈচিত্র্য। এমনকি একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জিনগত বৈচিত্র্যও জীববৈচিত্র্যের অন্তর্গত। মূলত, কোনো একটি অঞ্চলের অন্তর্গত প্রাকৃতিক বাসস্থান বা হ্যাবিট্যাট এবং ওই বাসস্থানে বসবাসকারী সমস্ত প্রাণী, উদ্ভিদ ও অণুজীবের প্রজাতি এবং তাদের জিনগত বৈচিত্র্যে সমাহারকে এককথায় জীববৈচিত্র্য বা বায়োডাইভার্সিটি বলে।

জীববৈচিত্র্য প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। এ ক্ষেত্রে আমরা নিকট অতীতে বেশ সমৃদ্ধই ছিলাম। কারণ, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য একসময় ছিল অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক। সঙ্গত কারণেই আমাদের এ প্রিয় মাতৃভূমি রূপসী বাংলাদেশ নামে আখ্যা পায়। তবে সে অবস্থা আর অবশিষ্ট থাকেনি বরং দিনে দিনে অনেক পশু-পাখি আজ বিলুপ্তপ্রায় বা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির করে এমন অনেক বৃক্ষরাজি ও লতাগুল্মও কালের গর্ভে বিলীন। এমন বিপর্যয়ের মূল কারণ হলো মানুষের অজ্ঞতা, অদূরদর্শিতা, দায়িত্বহীনতা, লোভ, লালসা এবং পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি অবহেলা। যা আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ জীববৈচিত্র্যকে রীতিমত বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

প্রথমত, অবাধ ও নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস, অদূরদর্শী এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে পশুদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। হরিণ, বানর, মায়া হরিণ কিংবা গাঙ্গেয় ডলফিনের মতো প্রাণীরা বাসস্থান হারিয়ে বিলুপ্তির পথে। দ্বিতীয়ত, অবৈধ শিকার ও পাচার পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারও এ হুমকির মুখে রয়েছে। তৃতীয়ত, জলবায়ু পরিবর্তন ও নদীনালার দূষণে জলজ প্রাণীরা বিপন্ন হচ্ছে। খাদ্য সংকট ও পানির অভাব তাদের বেঁচে থাকা কঠিন করে তুলছে।

বস্তুত, প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বনজ সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রায় ৫ হাজার বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বনাঞ্চল রয়েছে। এ বনাঞ্চল দেশের মোট জমির ৭ ভাগ মাত্র। দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ থাকার কথা ৩০ ভাগ, কিন্তু আমাদের তা নেই। উপরন্তু এ ৭ ভাগ বনাঞ্চল থেকে নির্দয়ভাবে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। দৈনন্দিন প্রয়োজন মিটানো ছাড়াও বৃক্ষ এদেশের প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক পরিবেশকে বহুলাংশে প্রভাবিত করে। বনভূমি বৃষ্টিপাতে সাহায্য করে, বন্যা, খরা, জলোচ্ছাস ইত্যাদি হতে প্রাণীকূলকে রক্ষা করে। পর্যাপ্ত সংখ্যক বৃক্ষ ও বনাঞ্চলের অভাবে প্রতি বছরই আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দেশে ব্যাপকভিত্তিক বনায়নের কোন বিকল্প নেই।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, কিছু সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ন ও চোরাকারবারীরা দেশের বনসম্পদ উজার করে কাঠ কেটে অবাধে চোরাই পথে বিক্রি করে চলেছে। হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভূত অর্থ। চোরাই কাঠের বেশীরভাগই অবৈধভাবে বসানো স’মিলগুলোতে জড়ো করে তা করাত কলের মাধ্যমে সাইজ করে সড়ক ও নদী পথ দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে। প্রতিদিন নতুন নতুন স’মিল গজিয়ে উঠছে। সরকারের স’মিল লাইসেন্স বিধিমালা ১৯৯৮-এর ৮(১) ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে, সংরক্ষিত, রক্ষিত, অর্পিত ও অন্য যে কোন ধরণের সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন স’মিল স্থাপন ও পরিচালনা করা যাবে না। সব সরকারের আমলেই দেশে ব্যাপকভিত্তিক বনায়ন ও বৃক্ষরোপনের জন্য নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। বিগত পতিত সরকারের আমলেও এ বিষয়ে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিলো। সে সময় দেশের প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত ১টি ফলজ, ১টি বনজ ও ১টি ঔষধী গাছের চারা রোপণ করে দেশের বনভূমির পরিমাণ ৭ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশে উন্নীত করার পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু গণসচেতনার অভাবেই এ পরামর্শ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এ বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতাও ছিলে বেশ প্রশ্নবিদ্ধ। ১৯৯৮ সালের ১৬ নভেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পর্যালোচনা বৈঠকে বৃক্ষরোপণে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ লাগানো ও পরিচর্যার জন্যে পদ্ধতি চালু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের লাগানো গাছে ফল ধরে এবং পরবতীতে গাছ থেকে স্কুলের আসবাবপত্র তৈরী করা সম্ভব হয়। একই সাথে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু সরকারের কথা ও কাজের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।

মূলত, দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদেরকে আরো দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক হওয়া জরুরি। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করে নিজেরা যেমন গাছ লাগাতে হবে, ঠিক তেমনিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ লাগানোর মানসিকতা তৈরির দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে। মানুষের বসবাসের জন্য যেমন বাড়ীঘরের প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবনের বসতির জন্যও বনভূমির প্রয়োজন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মানুষের প্রয়োজনে বহু অরণ্য বৃক্ষহীন হয়ে পড়লেও তারা আজ বনাঞ্চল সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও দেশে ব্যাপকভিত্তিক সবুজায়ন ও বনাঞ্চল সম্প্রসারণের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে। তবে সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয় বরং এ বিষয়ে প্রত্যেক সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সৃষ্টি করতে হবে ব্যাপকভিত্তিক গণসচেতনা। সবাইকে বোঝাতে হবে গাছ মানুষের জন্য নয় বরং সকল জীবেরই পরম বন্ধু।

ভূ-পৃষ্ঠের পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ব্যাপকভিত্তিক বনায়নের প্রয়োজন হলেও আমরা এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মানুষ এখনও এ বিষয়ে পর্যাপ্ত সচেতন নয়। পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারি উদ্যোগ থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দায়সারা গোছেরও বলা যায়। যা রীতিমত সংকটের জন্ম দিয়েছে। তাই এ সংকট থেকে উত্তরণে চাই সর্বস্তরের অংশগ্রহণ, সচেতনতা এবং কঠোর পরিবেশ আইন প্রয়োগ। পশু রক্ষা মানেই প্রকৃতি রক্ষা, যা শেষ পর্যন্ত আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই পৃথিবীকে জীবের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় মানবসভ্যতার ধ্বংস কোন ভাবেই ঠেকানো যাবে না।

আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবসভ্যতাকে উত্তরোত্তর বিকশিত করছে। বস্তুত, মানুষের শিক্ষা, সভ্যতা আর প্রযুক্তির উন্নয়ন আজ সর্বোচ্চ শিখরে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হয়! কিন্তু আমাদের চিন্তা ও মননশীলতা গভীরতা কী তাতে বেড়েছে? এ প্রশ্নই এখন চারদিকে ঘুরপাক খাচ্ছে। দেশে বহু শিক্ষিত মানুষ আছেন, অথচ তাদের প্রাণীর মত সরলতা নেই। অবসাদে ভোগেন, অহংকারে পোড়েন, প্রকৃতিকে দোষ দেন নিজের ব্যর্থতা ও অপারগতার জন্য। আবার অশিক্ষিত অনেকেও প্রাণীদের মতো সহজ জীবন বেছে নিতে পারে না, কারণ সমাজ তাদের শেখায় প্রতিযোগিতা আর হিংসা।

আমাদের দেশে নির্বিচারে বন উজার এবং ব্যাপকভাবে পশুপাখি হত্যার মহোৎসব চললেও আন্তর্জাতিকভাবে পশুপাখির সুরক্ষায় নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের অধীন Convention on International Trade in Endangered Species (CITES) বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। IUCN ‘লাল তালিকা’ প্রকাশ করে বিপন্ন প্রজাতির তথ্য দেয়। বিভিন্ন দেশ জাতীয় পার্ক, অভয়ারণ্য ও সংরক্ষিত অঞ্চল ঘোষণা করে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবু চোরাশিকার, বন উজাড় ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকি অব্যাহত রয়েছে। তবে জনসচেতনতা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এ সুরক্ষা আরও কার্যকর করা হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছি। ফলে প্রতিনিয়তই আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যা জীব বৈচিত্র্যকে মারাত্মক হুমকীর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

মানুষের কল্যাণেই বৈশ্বিক জীববৈচিত্র রক্ষা করা প্রয়োজন। বৃক্ষরাজি আমাদের পরিবেশকে জীবের জীবন ধারণ ও বসবাসের জন্য উপযোগি রাখে। একই সাথে পশুপাখিরা আমাদের শিখিয়ে দেয় কম চাহিদায়ও শান্ত থাকা যায়; সর্বোপরি অন্যের প্রতি বিশ্বাস রাখা যায়। বস্তুত, প্রকৃত শিক্ষা শুধু ডিগ্রিতে নয়, বরং তার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে।

পশু-পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অপরিহার্য অনুসঙ্গ। এরা দৈনন্দিন মানুষের জীবনযাত্রার সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। পশুপাখির শারীরিক গঠনের সাথে মানুষের ও প্রচুর সাদৃশ্য রয়েছে। শুধু মুখটাকে ঘিরে অসাদৃশ্য অথচ তারা চাহিদা মত সবকিছু দাবী করেনা, প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে, প্রটেকশন দেয় একটু খাবারের জন্য মানুষকে প্রভূভাবে। কোন অবসাদ নেই এদের। পরিবেশের ভারসাম্য নিজের অপ্রতুলতা মেনে চলে। অথচ মানুষ এদের নিয়ে খুব একটা ভাবে না; সদাচারণও করে না এদের প্রতি বরং এদের প্রতি অবিচারই করা হয়।

পশুপাখিরা পৃথিবীর নীরব বাসিন্দা। মানুষের জীবনযাত্রার সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। শারীরিক গঠনে মানুষের সঙ্গে রয়েছে অনেক সাদৃশ্য। চোখ, কান, হৃদয়, স্নায়ু। তবু এক জায়গায় এসে তারা সম্পূর্ণ আলাদা। মুখে তারা চাহিদা তুলে ধরে না। দাবি করে না সম্মান বা বাহবা। শুধু একটু ভালোবাসা আর নিরাপত্তা পেলে তারা মানুষকে দেবতার মত বিশ্বাস করে।

কোন ইতর প্রাণী যখন খাবারের অপেক্ষায় বসে থাকে, তখন তার চোখে থাকে শুধু আশা, না থাকে কৃত্রিমতা, না থাকে অভিযোগ। এরা ভালোবাসে প্রাণ দিয়ে, পাহারা দেয় নিঃস্বার্থভাবে, বিপদে ফেলে যায় না। এরা কখনো কারও তুলনায় নিজেকে বড় ভাবেনা, আবার ছোট হয়েও নিজেকে লুকিয়ে রাখেনা। তারা জানে পরিবেশের ভারসাম্য মানে অস্তিত্বের টিকে থাকা।

জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেমন নির্বিচারে বৃক্ষনিধন উচিত নয়, তেমনিভাবে অবাধে পশু-পাখি শিকারও কোন ভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন সময় নানা দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে। এসব পাখি শুধু আমাদের অতিথিই নয় বরং জীবনবৈচিত্রের এক অমূল্য সম্পদ। অথচ আমাদের দেশের একশ্রেণির মানুষ এসব অতিথি পাখি শিকার করে অতি তুচ্ছ স্বার্থে। তাই এসব অতিথি পাখিদের রক্ষায় সরকার সহ সংশ্লিষ্টদের নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। প্রয়োজনে এজন্য নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে। আইন অমান্যকারীদের নিতে হবে কার্যকর ও কঠোর পদক্ষেপ।

শুধু এ দায়িত্ব সরকারের ওপর দিলেই চলবে না বরং সমাজের একজন সভ্য হিসাবে আমাদের প্রত্যেককেই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তাই আসুন আমরা আমরা জীববৈচিত্র রক্ষায় আত্মসচেতন হই এবং প্রত্যেক জীবের প্রতি সদয় আচরণ করি।

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কবি।