মনসুর আহমদ
প্রতিদিন পত্রিকা খুললে দেশে দেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের অসংখ্য ঘৃণিত চিত্র নজরে ভেসে ওঠে। শরীরটা ঘৃণায় রী রী করে ওঠে। চোখ ফেটে বইতে চায় অশ্রুবন্যা।মনে প্রশ্ন জাগে কতদিনে নারীসমাজ এমন জঘন্য অনাচার থেকে মুক্তি পাবে? এ নিয়ে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী সমাজবিজ্ঞানী ভাবছেন প্রচুর, বাতলাচ্ছেন অনেক পথ। কিন্তু এ রোগের বিস্তার কমছেনাতো মোটেই বরং দিন দিন বেড়ে চলছে।
আমি এসব বুদ্ধিজীবী ও সমাজ বিজ্ঞানীদের দলের কেউ নই। তারপরেও সমাজের এ অবক্ষয় মাঝে মাঝে ভাবিয়ে তোলে। সমাজের অবস্থা বেগতিক দেখে আমার মনে হয় আমরা রোগের কারণ অনুসন্ধান না করে রোগীর চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।এ রোগের কারণ খুব জটিল নয়, বরং সহজ। স্রষ্ঠা মানুষ সৃষ্টির পর তাদেরকে চলার মসৃণ পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন কিন্তু আমরা সে সহজ ও মসৃণ পথে না হেটে বন্ধুর পথে পা বাড়াচ্ছি আর সে কারণে পা পিছলিয়ে ধ্বংসের অতল গহ্বরে পতিত হচ্ছি।
সৃষ্টি জগতে সমস্ত প্রাণীকুলের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রী জাতি বিদ্যমান। সৃষ্টিগত ভাবে তাদের দৈহিক গঠন, শক্তি মন-মানসিকতা রুচিবোধ ইত্যাদিতে রয়েছে পার্থক্য। সামান্য একটি উদাহরণ দেখুন। আপনার পোষা মোরগটির মাথায় সময়কালে মুকুট গজায়, কিন্তু মুরগীর মাথায় কখনই গজায় না। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হলে মা মুরগী তাদের আহার যোগায়, শত্রুর হাত থেকে বাচ্চাদেরকে রক্ষায় সেটি ব্যস্ত থাকে। এসব দায়িত্ববোধ তাদেরকে কেউ শিখায় না। আল্লাহই তাদের সৃষ্টি কৌশলে এ সব বিধি রেখে দিয়েছেন। মানুষ প্রকৃতির এ আইনের বাইরে নয়। জিনগতভাবে তাদেও মধ্যে যেমন পার্থক্যকেও দিয়েছেন তেমনি সংসারেও চলাফেরা বসবাসের জন্য তাদের উপযোগী বিধান দিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে। সে ওহীর বিধান ও প্রাকৃতিক আইন। তা বদলাবার ক্ষমতা মানুষকে দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে দার্শনিক মন্টেস্কু বলেন, “মানুষ আইন সৃষ্টি করার আগে থেকেই সৃষ্ট জীবদের মধ্যে আইন ও ইনসাফভিত্তিক সম্পর্ক বিরাজ করতো বলে মনে হয়। এ ধরনের সম্পর্কের অস্তিত্ব ছিল বলেই আইনের সৃষ্টি হয়েছে”। এ আইনের বিষয়গুলো এমন কোন ব্যাপার নয় যা গ্রহণ বা বর্জনের জন্যে দুনিয়ার বিভিন্ন আইনসভার সামনে পেশ করা যেতে পারে। কিন্তু মানুষ যখন এ প্রকৃতিক আইনের ব্যাপারে নাক গলিয়েছে তখনই সমাজে বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত ঘটেছে।
আসলে নর-নারীর অধিকার তথা মানবাধিকার আল্লাহ কর্তৃত প্রদত্ত ও সংরক্ষিত। মানবাধিকার ঘোষণা মানুষের জন্মগত, প্রকৃত ও অপরিত্যাজ্য অধিকার নিয়েই আলোচনা করে। ঘোষণায় দাবি করা হয়েছে যে, অধিকার হচ্ছে মানুষের মনুষ্যত্ব লাভের পূর্ব শর্ত এবং সর্বশক্তিমান সৃষ্টি কর্তাই তা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। মানুষ নিজেদের জন্য মানবাধিকার ঘোষণার আধেয় বা আভ্যন্তরীণ বিষয়সূচী তৈরী করতে পারে না এবং তারা নিজেরাই এ সব অধিকার বাতিলও করতে পারে না অথবা তা থেকে দূরে সরে যেতে পারে না। কিন্তু মানুষ তাই করেছে বলে মানবতা আজ দুর্দশাগ্রস্ত।
রাসুলুল্লাহ (স:)-এর আগমনের পূর্বে বিভিন্ন ধর্ম ও সভ্যতা মানবাধিকার অগ্রাহ্য করে নারীকে ভেবেছে পাপের আধার নরকের পথ। আবার কেউ কেউ নর-নারীর সৃষ্টি কৌশল রহস্যকে অগ্রাহ্য করে তাদের অধিকারকে একাকার করে ফেলেছে। ফলে নারীরা বঞ্চিত অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছে। নারীর এমন দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় আল্লাহ রসুল (স:)-এর মাধ্যমে নারী অধিকার ও তাদের জীবনযাত্রার স্বরূপ ব্যাখ্যা করে ওহী নাজিল করলেন। সমাজের মানুষ আল্লাহর নাজিলকৃত প্রকৃতির আইনের প্রতি মাথা নত করলো। ফলে এমন একটি সুন্দর ও শ্লীল সমাজ সৃষ্টি হল যেখানে একজন নারী তার অফুরন্ত যৌবন সম্ভার ও অর্থরাজী নিয়ে নিরাপদে একাকিনী দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছিল।
রসুলুল্লাহ (স:)-এর কাছে যখন নারী অধিকার ও জীবন পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কিত নির্দেশগুলো এসেছে সে সময় পুরুষদের ওপরেই পরিবারের ভর পোষণের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল এবং এখনও সে দায়িত্ব পুরুষরাই পালন করে আসছে। কিন্তু নারী তার মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাদের মেধা, মনন ও রুচির সাথে সামঞ্জস্যশীল প্রয়োজন বোধে সমাজের বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে পারে।
ইসলাম বলে মহিলারা কাজ করতে পারে এবং তাদের কাজ করা উচিত। বেশকিছু সংখ্যক হাদিসে স্পষ্টই বলা হয়েছে যে, মহিলাদেরও কাজ করা উচিত। আমি এমন কয়েকটি হাদিসের উল্লেখ করছি যা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। “সত্তর ধরনের এবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম এবাদত হচ্ছে, সৎভাবে জীবন যাপনের জন্য পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্থোপার্জন করা।” এখানে নারী পুরুষের মধ্যে পার্থক্য করা হয়নি। আবার রসুলুল্লাহ (স:) বলেছেন : “যারা কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা আল্লাহর ক্ষমা লাভের যোগ্যতা অর্জন করে।” এখানে নারী-পুরুষ কারও জন্যই বিশেষভাবে কথাটি বলা হয়নি-উভয়ের ক্ষেত্রেই সাধারণ ভাবে কথাটি প্রযোজ্য। হাদিসের ভাষ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, একটি উৎকৃষ্ট মুসলিম সমাজ হচ্ছে এমন একটি সমাজ যেখানে নারী - পুরুষ সবাই কাজ করে। তবে উভয়ের মধ্যে শ্রম বিভাগের একটি প্রশ্ন রয়েছে। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দৈহিক, মানসিক , হৃদয়বৃত্তি-মূলক ও সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কাজ বেছে নিতে হবে।
সমাজে এমন কিছু অবস্থা বিদ্যমান থাকে যাতে মহিলাদেরকে কোন কোন কাজে নিয়োগ করা যায় এবং কোন কোন কাজে নিয়োগ করা যায় না। তা ছাড়া নৈতিকতা ও সতীত্বের প্রশ্নও বিবেচনা করতে হবে। ইসলাম মেয়েদের জন্য কাজের সকল দরজাই খোলা রেখেছে। কিন্তু কিছু শর্ত অবশ্যই পালন করতে হবে এবং কিছু নীতিমালা অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, চাকরি করেও কি মহিলাদের পক্ষে শালীনতা ও সতীত্ব রক্ষা করা সম্ভব?” এ প্রশ্নের জবাবে বলা যায়, হ্যাঁ, সম্ভব। আমাদের নারী ও পুরুষ-উভয় শ্রেণীর লোকই যদি শালীনতা ও সতীত্বের শর্তগুলি পালন করে চলতে পারেন তা হলে মেয়েদের মাঠে কাজ করতে কোন বাধা থাকতে পারে না। এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে শালীনতা ও সতীত্বের শর্তগুলি পালন করে চলা পুরুষ-মহিলা উভয়ের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন আল্লাহ। এরশাদ হয়েছে: “হে নবী! আপনি ঈমানদার পুরুষদের বলেদিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি আনত রাখে এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য অতিব উত্তম ও পবিত্র ব্যবস্থা। তারা যা করে নিঃসন্দেহে অল্লাহ তা সবই জানেন। আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দিন তারাও যেন তাদের দৃষ্টি আনত রাখে এবং লজ্জা স্থানের হেফাজত করে।” (সূরা আন নূর-৩০-৩১)আয়াতের এ শিক্ষা অনুযায়ী সমাজ গঠিত হলে নারী তার সতীত্ব ও শালীতা বজায় রেখে কাজ করতে পারে। নারীদের এ সতীত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনে আল্লাহ কিছু বিধান দিয়েছেন যা পালন একান্ত জরুরী বা ফরজ।
প্রথমেই বলা হয়েছে নারী যেন বিনা প্রয়োজনে সৌন্দর্য প্রদর্শনী জন্য ঘরের বাইরে না আসে। এরশাদ হচ্ছে-“তোরা নিজেদের ঘরে অবস্থান করো এবং পূর্বেও জাহেলী যুগের মত সেজে গুজে রূপ সৌন্দর্য প্রকাশ করে বেড়াবে না”। (সূরা অহযাব -৩৩) দ্বিতীয়-যখন বের হবে তখন যেন তাদের দেহ ও সৌন্দর্য আবৃত করে বের হয়। সমাজকে অশ্ল¬¬ীলতা মুক্ত রাখার জন্য বিশ্বশ্রষ্ঠা হিজাব পরিধান মুসলমান যুবতী নারীর জন্য ফরজ করে দিয়েছেন। হিজাব পরিধান প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হচ্ছে- “আপনি আপনার বিবিদের , কন্যাদের এবং সাধারণ মোমেন নারীদেরকে বলে দিন তারা যখন বাইরে যায়, তখন যেন তাদের উপর একটা বড় চাদর ঝুলিয়ে দেয়। ফলে তাদেরকে সম্ভ্রান্ত বলে চেনা যাবে। তারা দুষ্ট লোকদের দ্বারা উত্যক্ত হবে না, নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও করুণাময়।” (আহযাব-৫৯)
হিজাব প্রসঙ্গে মুসলিম উম্মা একমত। তবে হিজাব মেনে চলার ব্যাপারে সামান্য মতভেদ রয়েছে। উপরোক্ত আয়াতে হিজাবের পরিমান আল্লাহ কাটছাট করে বলে দেননি। তাই প্রশ্ন উঠেছে মহিলাগণ কি মুখমণ্ডল ডেকে বের হবে না খোলা রেখে? একদল আলেম বলেন, মহিলাদের মুখমণ্ডল তাদের সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই তাদের মাহরাম ব্যতিত অন্যের সামনে উহার প্রকাশ বৈধ নয়। দলিল হিসেবে তারা নিম্নোক্ত আয়াত অংশ পেশ করে থাকেন। “মুসলিম নারীগণ তাদের সৌন্দর্য তাদের স্বামীগণ ছাড়া অন্য কারো নিকট প্রকাশ করবে না।” (সূরা: নূর)
অন্য পক্ষে “বহু ফকীহ এ রায় দিয়েছেন যে,মুখমণ্ডল ও হাত বাদ দিয়ে মুসলিম মহিলারা সমগ্র দেহকে আবৃত করে -এমন পোশাক পরতে পারে। হাত ও মুখমণ্ডলকে ছাড় দেয়ার পক্ষে তারা কুরআনের এ আয়াতকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন। “.. .. তাদের সৌন্দর্য ও অলঙ্কার প্রদর্শন করা উচিত নয়, তা ব্যতিত যা ( অবশ্যই সাধারণ ভাবে) দৃষ্টি গোচর হয়। ( ২৪ : ৩০) এর পক্ষে তারা হাদিসের প্রমাণ্য ঘটনা এবং ঐতিহ্যের সমর্থনও পেশ করেছেন। বহু সমকালীন আলেমও এই মতের সমর্থক, আমি নিজেও।”[ইসলামী পুনর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা - ড. ইউসুফ আল কারজাবী]
মুখ ঢেকে হিজাব পালন তো পরের কথা মুখ খোলা রেখে হিজাব পালনের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে চলছে নানা ধরনের বিরোধিতা। এ বিরোধিতা শুরু হয়েছে অনেক কাল আগে গ্রীক ও রোমান সভ্যতা সংস্কৃতির প্রচারের মধ্য দিয়ে, ধর্মীয় ইহুদীবাদ ও খ্রিষ্টীয় বৈরাগ্যবাদের ছত্র ছায়ায়। কিন্তু নগ্নভাবে হিজাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে পশ্চিমের শিল্প বিপ্লবের পর থেকে। বিশ্ব ইহুদীবাদ শিল্প বিপ্লবকে সামাজিক ভাঙ্গন ও বির্পয়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। শিল্পবিপ্লব পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে নব্য যুবকদেরকে গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর -অঞ্চলে এনে ফেলেছে। পাশাপাশি মেয়েদেরকেও কর্মে হাজির করা হল আর সাথে সাথে নারীদের সাম্যের মন্ত্রেও দীক্ষিত করা হল। নির্লজ্জতা ও পাপাচারও এ সাম্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঠিক এ সময় বিশ্বইহুদীবাদ এ জীবন ধারাকে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করার কাজে প্রয়োগ করল। মার্কস, ফ্রয়েড নৈতিক চরিত্রকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে চরম ভাবে লাঞ্ছিত করল। জগতকে জানানো হল, ইসলামের হিজাব নারী অধিকার ও সমাজ সংস্কৃতির অন্তরায়। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে ইহুদী প্রভাবিত চিন্তা চেতনার অধিকারী কিছু মুসলিম ব্যক্তিত্বও হিজাবের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান শুরু করল। ফলে হিজাব বিরোধী আন্দোলন একটি মহামারী রূপ ধারণ করে নারী অধিকারও নিরাপত্তা বিনষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াল। হিজাব বিরোধীরা নারী নিরাপত্তা, ইজ্জত আব্রু সব বিনষ্ট করে নারী জাতিকে ধ্বংসের এক অতল গহ্বরের পাশে এনে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী হিজাবধারী নারী সমাজ প্রমাণ করে দেখিয়ে দিতে সক্ষম হচ্ছে হিজাব নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় নয়, সমাজ -সংস্কৃতি, সাহিত্য- শিল্পের অগ্রযাত্রার পথে প্রতিবন্ধক নয়। যার উজ্জল প্রমাণ হিজাব ধারী নোবেল জয়ী তাওয়াক্কুল কারমান,
তুরস্কের এক সাহসি নারী মার্ভে কাভাকচি। ১৯৯৯ সালে তুরস্কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর ভার্চু পার্টির নব নির্বাচিত মহিলা এমপি মার্ভে কাভাকচি ইসলামী বিধান অনুযায়ী মাথায় স্কার্ফ পরিধান করে শপথ গ্রহণের জন্য পার্লামেন্টে যান। কিন্তু ইসলাম বিরোধী গ্রুপের বিরোধিতার কারণে শপথ গ্রহণ না করে তিনি বেরিয়ে আসেন এবং পরের দিন পার্লামেন্ট ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ৩১ বছর বয়সী কাভাকচি বলেন, “আমার জাতি আমাকে মাথায় স্কার্ফ পরিধান করা অবস্থায় তাদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত করেছে।”
লেখক : প্রাবন্ধিক।