ফারুক আহাম্মদ

ইসকন (ISCON) হলো “আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ” (International Society for Krishna Consciousness)- এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৬৬ সালে ভারতের অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এটি প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের উগ্রবাদী সংগঠন আরএস এর তত্ত্বাবধানে এই সংগঠন পরিচালিত হয়। এরা বিভিন্ন দেশে তাদের উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এটি কাজ করছে এবং বাছাইকৃত হিন্দুদের উগ্রতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। এরা উপাসনালয়ের নাম করে অনেক জেলায় ঘাঁটি তৈরি করেছে। সুরক্ষিত এসব ঘাঁটিতে সর্বসাধারণের প্রবেশ একদম নিষিদ্ধ।

ভারত এদের অর্থ শক্তি যোগানদাতা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু আখ্যা দিয়ে এদের পাশে দাঁড়ায় ইসলামফোবিয়ায় ভোগা কথিত মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল ব্যক্তি। অপেক্ষাকৃত অসচ্ছলতা পরিবারকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম দিকে এরা দলে ভিড়ায়। পরে নানামুখী মোটিভেশন দিয়ে তারপর ধর্মান্তরিত করে। আবার সরকারি বিভিন্ন পদে অমুসলিম চাকুরিজীবীদের টার্গেট করে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করে। প্রথম দিকে তাদের শেখায় মানবতাবাদী হওয়ার কায়দা-কানুন। নির্দিষ্ট সময় পর তাদের উগ্রবাদী উচ্চতর ট্রেনিং দেয়া হয়।

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের উগ্র সদস্যদের হাতে অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যা, গাজীপুরে কিশোরী ধর্ষণ, বুয়েটের ছাত্র শ্রীশান্ত রায় কর্তৃক এক তরুণীকে ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর ভিডিও প্রচার করে উল্লাসসহ নানা অপকর্মে এরা লিপ্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের জোরালো দাবি উঠেছে। এ আলেম সমাজ ও বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন এই দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচির কলেবর ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করছে।

এখনি ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ না করলে এরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়বে। এক সময় এরা সরকারকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য চেষ্টা করবে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুম, খুন, ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধে লিপ্ত হবে। অপরাধ করে বাঁচার জন্য দেশের বিচার ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে দীর্ঘ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে। তখন এদের দমন করতে চাইলেও করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।