যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলের পক্ষে থাকতে পারে না বিবেকবান কোনো মানুষ। অথচ বর্বর ইসরাইলকে এখনো সমর্থন করে যাচ্ছে বিশ্বের বড় মাপের কিছু মানুষ। তাদের কারণেই নেতানিয়াহুর এত আস্ফালন, এত ধ্বংসযজ্ঞ। তবে গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষ। গাজায় মজলুম মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পালিত হয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি। বিভিন্ন রাজনৈকি দল, সংগঠন ও সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। বিভিন্ন সমাবেশ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ মুসলিম বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে শুধু মুসলিম বিশ্ব নয়, বহু ইহুদিও এখন সোচ্চার। আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার জেরুসালেমে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে বলা হয়, ‘ইসরাইল স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টা খুবই উদ্বেগের। তারা (সরকার) জিম্মিদের পাশে নেই। দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর তোয়াক্কা করছে না।’ কথাগুলো বলছিলেন ৫৯ বছর বয়সী রিনাত হাতাশি। শুক্রবার জেরুসালেমে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেন এ ইসরাইলি। এদিন ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য যে, গাজায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখা, হামাসের হাতে বন্দী থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং ইসলাইলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে ইসরাইলে বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার নাগরিক। তাদের মূল ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের অংশ হিসিবে শুক্রবার জেরুসালেমে নেতানিয়ারহুর বাসভবনের বাইরে অবস্থান নেন বহু মানুষ। তাদের হাতে ছিল ইসরাইলের পতাকা ও সরকারের সমালোচনা করে লেখা প্ল্যাকার্ড। পশ্চিম জেরুসালেমে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মাইকেল হালপেরিন বলেন, শিন বেতের বদলে প্রধানমন্ত্রীর এখন গাজায় মৃত্যুর মুখে থাকা বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত। জরুসালেম ও তেল আবিবে গত বুধ ও বৃহস্পতিবারও বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। নেতানিয়াহু শুধু বিদেশে নয়, নিজ দেশেও নিন্দিত। যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু টিকে আছে শক্তির জোরে। আর তাকে শক্তির জোগান দিচ্ছেন দাম্ভিক বিশ্বনেতারা। তবে সত্য ও শক্তির দ্বন্দ্বে এক সময় পরাজয় হয় শক্তির। আমরা সত্যের জয়ের অপেক্ষায় আছি।