নানা কারণেই অনেকের কথা মনে পড়ে। আজ মনে পড়ছে ওয়াদেয়া আল-ফাউসিকে, একই সাথে ওর মায়ের কথাও। এদের সাথে জড়িয়ে গেছে ভিন্ন চরিত্রের জোসেফ জুবা। ঘটনা প্রসঙ্গে এদের কথা বলতে হবে। প্রসঙ্গত যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারির কথা আজ বলবো। তারা কেউই বনে-জঙ্গলে বাস করতেন না, বাস করতেন সভ্য সমাজে। তবে কেউ থাকতেন রাজ পরিবারে, কেউ বা সাধারণ পরিবারে। সবার বসবাসের জায়গা একরকম ছিল না, ‘এক’ মানচিত্রেও ছিল না। অর্থনৈতিক সামর্থ্যওে তারতম্য ছিল। সবার রাজনৈতিক পরিস্থিতিও একরকম ছিল না। তবে সবাই পরিবারে, গৃহে বাস করতেন। প্রশ্ন জাগে, মানুষ পরিবারে বাস করে কেন? এখানে জড়িয়ে আছে সৃষ্টিতত্ত্ব, শরীরতত্ত্ব, মনস্তত্ত্ব, মানবীয় মীমাবদ্ধতা এবং শৃংখলা। অথচ পরিবারে বসবাস করেও অনেকে এসবের অনেক কিছুই ভুলে যায় কিংবা অমান্য করে। তখন পরিবারে এবং সমাজে লক্ষ্য করা যায় অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা। পরিবার বলি কিংবা সমাজ, সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জীবনদর্শন। এখানে জীবনদর্শনের তাত্ত্বিক আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে কোনো জীবনদর্শনই ইনসাফ, নৈতিকতা এবং সবাইকে নিয়ে বাঁচার চেতনাকে অস্বীকার করতে পারে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো বর্তমান সভ্যতা কিংবা বিশ্বব্যবস্থায় এ তিনটি বিষয় কতটা বর্তমান আছে? বর্তমান থাকলেও হয়তো আমাকে ওয়াদেয়া আল-ফাউসি ও জোসেফ জুবাকে নিয়ে কথা বলতে হতো না।

ওয়াদেয়া ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ছয় বছরের এক মার্কিন শিশু। শিশুটিকে হত্যার দায়ে ইলিনয়ের এক ব্যক্তিকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জোসেফ জুবা। বয়স ৭৩ বছর। ছোট্ট শিশু ওয়াদেয়া আল-ফাউসিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও তার মা হানান শাহিনকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করেন। ওয়াশিংটন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। এএফপি জানিয়েছে, জোসেফের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হানান শাহিন ও তার ছেলে ওয়াদেয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর শাহিন এবং তার ছেলের ওপর নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ করেন জোসেফ। আদালত এ ঘটনাকে মুসলিমবিদ্বেষ থেকে ঘৃণাত্মক হামলা হিসেবে বিবেচনা করেছেন। খাঁজকাটা প্রান্তের একটি সামরিক ছুরি দিয়ে ওয়াদেয়াকে ২৬ বার আঘাত করেছিলেন জোসেফ। ময়না তদন্তের সময় ওয়াদেয়ার পেট থেকে ছুরির ৬ ইঞ্চি লম্বা ফলা বের করা হয়। এএফপি আরও জানিয়েছে, হানান শাহিন ও জোসেফের স্ত্রী (বর্তমানে সাবেক) মেরি আদালতকে বলেছেন, গাজার সংঘাত নিয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠার পর জোসেফ মুসলিম পরিবারটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, ২০২৩ সালে জোসেফ জোর করে শাহিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাকে ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। ওই নারী কোনমতে দৌড়ে টয়লেটে ঢুকে দরজা আটকিয়ে পুলিশকে ফোন করেন। সে সময় জোসেফ ছয় বছরের ওয়াদেয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। বিচারক অ্যামি বার্টানি-টমজাক ওয়াদেয়াকে হত্যার দায়ে জোসেফকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। এছাড়া শাহিনের ওপর হামলার অপরাধে ২০ বছর এবং বিদ্বেষমূলক অপরাধে আরও তিনবছর কারাদণ্ড দিয়েছেন।

জোসেফ এবং হানান শাহিন পরিবারের গল্পটা আসলে কী? আদালত জোসেফকে দোষী সাব্যস্ত করে বলেছেন, মুসলিম বিদ্বেষ থেকে তিনি এ ঘৃণাত্মক হামলা চালিয়েছেন। ফলে উপলব্ধি করা যায়, নৈতিকবোধ লোপ পেলে মানুষ কতটা বিদ্বিষ্ট হয়ে উঠতে পারে, এমনকি হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত করতে পারে। ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত হলেও ওয়াদেয়া যে একজন মার্কিন নাগরিক, সে বোধও জোসেফের ছিল না। আর ছয় বছরের একজন শিশুকে কি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা যায়? শিশুটি কি ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল? জোসেফকে নিয়ে ভাবতে গেলে বিস্মিত হতে হয়! জোসেফ তো পিছিয়ে পড়া কোনো দেশের অশিক্ষিত লোক নন। বর্তমান সভ্যতার সেরা দেশ আমেরিকার ইলিনয়ে তার বসবাস। তার বয়স এখন ৭৩ বছর। এ দীর্ঘ সময়ে তার পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র তাকে কী শেখালো? প্রকৃত কোনো মানুষ কি এভাবে একটি শিশুকে হত্যা করতে পারে? বাইরের প্রতিষ্ঠান না হয় ব্যর্থ হলো, কিন্তু ভেতরের প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হবে কেন? আমরা এখানে পরিবারের কথা বলছি। পরিবার থেকে জোসেফ যদি প্রকৃত মানুষ হওয়ার প্রাথমিক পাঠ পেত, তাহলে হয়তো সে এভাবে ছয় বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারতো না। পরিবারে বসবাস করেও মানুষ এতটা বিদ্বিষ্ট হয় কেমন করে? বর্তমান সভ্যতায় পরিবারের যে চালচিত্র ফুটে উঠছে, তাতে পরিবার নিয়ে গর্ভ করার তেমন কিছ্ ুনেই। তবে ব্যতিক্রম কিছু পরিবার তো এখনো আছে এ পৃথিবীতে; যারা ইনসাফ, নৈতিকতা এবং সবাইকে নিয়ে বাঁচার চেতনা ছড়িয়ে দিতে চায় বর্তমান সময়েও।

ওয়াদেয়া আল-ফাউসি ও তার মায়ের কথা বলা হলো, সাথে জড়িয়ে ছিল জোসেফ জুবা। এখন যুক্তরাজ্যের ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারির কথা বলার চেষ্টা করবো। হ্যারির বসবাস ছিল রাজপরিবারে। তবে এখন আর রাজ-উপাধি নেই তার। তা কেন নেই, সেটা এক দীর্ঘ কাহিনী। হ্যারি আদালতেরও দারস্থ হয়েছেন। আদালতের রায়ে শুক্রবার হেরে যাওয়ার পর প্রিন্স হ্যারি বিবিসিকে আবেগঘন এক সাক্ষাৎকার প্রদান করে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চে হ্যারি-মেগান দম্পতির আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় দায়িত্ব পালনের সমাপ্তি ঘটে এবং তারা যুক্তরাজ্য ছেড়ে প্রথমে কানাডা ও পরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ী হন। প্রিন্স হ্যারি পরিবারের কাহিনী একেবারে অন্যরকম, ওয়াদেয়া আল-ফাউসি পরিবারের সাথে কোনো মিল নেই। আমরা জানি, রাজপরিবারের সাথে সাধারণ পরিবারের পার্থক্য অনেক। রাজপরিবারের আদব-কায়দা, নিয়ম-কানুন, প্রথা-প্রচলন, আনুষ্ঠানিকতা এবং আভিজাত্য বেশ ভারী ও কঠিন জিনিস। সাধারণ মানুষের জীবনে এসব নেই। তবে সাধারণ মানুষের পরিবারেও কিছু সহজ নিয়ম-কানুন ও সংস্কৃতি থাকে, যার থেকে রাজপরিবারের বিষয়াবলী একেবারেই আলাদা। তারপরও রাজ পরিবারের কোনো কোনো সদস্যের সাধারণকে ভালো লাগে। সাধারণের জীবন-যাপন ও সংস্কৃতি মনে বেশ দাগ কাটে। ইতিহাসে তেমন উদাহরণ আছে। প্রিন্স হ্যারির মনেও কি তেমন কোনো দাগ কেটেছিল? এ নিয়েই কি রাজপরিবারে কোনো সংকট? কোথাও সংকট হলে তো সমাধান প্রয়োজন। সমাধানে কেউ হন বিপ্লবী, কেউবা সংস্কারবাদী। পরিবারে সংস্কারবাদী হওয়াটাই বোধহয় বাস্তবসম্মত। প্রিন্স হ্যারি হয়তো বিপ্লবী হতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই কি আজ তার পরাজয়? মতবিরোধ ভুলে পরিবারের সাথে এক হওয়ার যে আকাক্সক্ষা এখন প্রিন্স হ্যারির, তা আমাদের কী বার্তা দেয়? এটা কি সংস্কার ও সমন্বয়ের বার্তা, নাকি এটা নিজের সীমাবদ্ধতা কিংবা অন্য উপলব্ধির কোনো নতুন মাত্রা? বিষয়টি খোলাসা করার জন্য আমরা বিবিসির সাথে প্রিন্স হ্যারির সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরতে পারি।

বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি বলেন, তিনি আবারও রাজপরিবারের সাথে এক হতে চান। যুক্তরাজ্যে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ফিরে পাওয়া সংক্রান্ত আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় তিনি বিধ্বস্ত। প্রিন্স হ্যারি বলেন, ‘নিরাপত্তাসংক্রান্ত ব্যাপারগুলোর কারণে রাজা (হ্যারির বাবা তৃতীয় চার্লস) আমার সাথে কথা বলেন না।’ আর লড়াই করতে চান না উল্লেখ করে হ্যারি বলেন, ‘আমি জানি না আমার বাবার হাতে আর কতটা সময় আছে’ উল্লেখ্য, গত শুক্রবার আপিলের বিষয়ে আদালতের রায়ে হেরে যাওয়ার পর হ্যারি বিবিসিকে সাক্ষাৎকারটি দেন। হ্যারি বৃটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে। ২০১৮ সালে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের মাধ্যমে ডাচেস অব সাক্সেস খেতাব পান মেগান। তবে বিয়ের পর থেকেই রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে মেগান গণমাধ্যম, বিশেষ করে বৃটিশ সাময়িকীগুলোর কঠোর সমালোচনার মুখে পাড়েন। মেগানের জাতিগত পরিচয়, আচরণ ও তার পরিবারের অতীত নিয়ে বিদ্বেষমূলক সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে এসব সংবাদমাধ্যম; যা হ্যারি মেগানের দাম্পত্য জীবনে বড় প্রভাব ফেলে। এমন পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি ও মেগান জানান, তারা রাজপরিবারের ‘সিনিয়র’ সদস্য পদ ছেড়ে দিচ্ছেন এবং স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চান। আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে তারা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন। এর কয়েকদিনের মাথায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (বর্তমানে প্রয়াত), রাজা তৃতীয় চার্লস (তৎকালীন যুবরাজ), হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম (বর্তমান যুবরাজ) ও হ্যারি এক জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হ্যারি ও মেগান রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাবেন এবং তারা রাজ-উপাধি আর ব্যবহার করবেন না। তবে তারা রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে থেকে যাবেন। এরপর ২০২০ সালের মার্চে হ্যারি-মেগান দম্পতির আনুষ্ঠানিকভাবে রাজকীয় দায়িত্ব পালনের সমাপ্তি ঘটে এবং তারা যুক্তরাজ্য ছেড়ে প্রথমে কানাডা ও পরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থায়ী হন। এ দম্পতিই এখন মতবিরোধ ভুলে পরিবারের সঙ্গে এক হতে চান।

বিবিসির সাথে সাক্ষাৎকতারে হ্যারি বলেন, তিনি নিরাশবোধ করছেন। আদালতে পরাজিত হওয়াকে তিনি ‘কায়েমি মহলের পুরনো রীতির সাজানো খেলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নিরাপত্তা কমানোর সিদ্ধান্তের জন্য রাজপরিবারকে দায়ী করেন হ্যারি। হ্যারি এখন এসব বলছেন। তবে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার সময় তার এসব নিয়ে ভাবা প্রয়োজন ছিল। রাজপারিবারের পছন্দ-অপছন্দ কিংবা কোনটা যায়, কোনটা যায় নাÑ সে সবের গুরুত্বও অনুধাবনযোগ্য ছিল। সে সময় তো বৃটিশ গণমাধ্যম বিশেষ করে বৃটিশ সাময়িকীগুলোর কঠোর সমালোচনাকেও আমলে নেননি হ্যারি-মেগান দম্পতি বরং তখন তারা রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন এবং রাজ-উপাধিও ত্যাগ করেন। সে হ্যারিই এখন বলছেন, রাজপুত্র হিসেবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত অধিকার বাতিলের সিদ্ধান্ত তাকে প্রতিনিয়ত বিদ্ধ করে। এখন কেবল রাজপরিবার আমন্ত্রণ জানালেই নিরাপদে দেশে যেতে পারবেন। কেননা, তখন তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অবশেষে রাজপরিবারের কাছে আত্মসমর্পণে বাধ্য হলেন প্রিন্সি হ্যারি। অথচ একদিন হ্যারি স্বেচ্ছায় রাজকীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছিরেন এবং ত্যাগ করেছিলেন রাজ-উপাধি। তখন মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলই ছিলেন তার কাছে সবকিছু। এটা তো এক রাজপরিবারের গল্প। উপলব্ধি করা যায়, রাজপরিবারেও গঠন-পরিগঠনের দায়িত্ব আছে। কখনো নিজকে গঠন, কখনো পরিবারের সদস্যদের গঠন। এখানে ব্যত্যয় ঘটলে প্রাপ্য বুঝে নিতে হয়। সাধারণ পরিবারের ক্ষেত্রেও এ কথা সমান সত্যি। যেমনটা আমরা লক্ষ্য করেছি ওয়াদেয়া-জোসেফের ঘটনায়। পরিবারে জোসেফের পরিগঠনটা ঠিকমত হলে আজ তাকে ৫৩ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হতো না। ভবিষ্যতে বৃটেনের রাজা কে হবেন আমরা জানি না। তবে তিনিও হয়তো বৃটেনের বর্তমান রাজা এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো ইসরাইলকেই সমর্থন করে যাবেন। মজলুমকে সমর্থন করার মতো যোগ্যতা হয়তো তারা অর্জন করতে পারবেন না। কারণ পরিবার পরিগঠনের মতো ন্যায়দর্শনকে ধারণ করে রাজকার্যে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্যও সবার হয় না।