DailySangram-Logo-en-H90
ই-পেপার আজকের পত্রিকা

পাঠকের অভিমত

মত অভিমত

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার ও বাস্তবতা

পৃথিবীর যেকোন দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সাধন এবং জাতির অবস্থার পরিবর্তন সাধন করার জন্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগী পরিবর্তন ও উন্নয়ন জরুরি। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।

Printed Edition
Default Image - DS

আদিয়াত উল্লাহ

পৃথিবীর যেকোন দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সাধন এবং জাতির অবস্থার পরিবর্তন সাধন করার জন্য শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগী পরিবর্তন ও উন্নয়ন জরুরি। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ক্রমাগত বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর তথ্য অনুসন্ধান করলে দেখা যায় যে, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ঊর্ধ্বমুখী। এটা অবশ্যই দেশের জন্য একটি ভালো সংবাদ। তবে দেশের যুবকদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা এবং উদ্ভাবনী শক্তির ক্রমের দিক থেকে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে থাকা চিন্তার কারণ‌ও বটে।

দেশের সাক্ষরতার হার : ২০২৩ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৭.৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালকে ভিত্তি ধরে প্রকাশিত হয়েছে। ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার এটি। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরাঞ্চলে এটি ১০ শতাংশ বেশি। শহরাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৮৪.৮ শতাংশের বিপরীতে গ্রামাঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৭৪.৬ শতাংশ। এরমধ্যে মধ্যে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৭৯.৫ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৭৫.৮ শতাংশ। পুরুষের তুলনায় নারী সাক্ষরতার হার প্রায় শতাংশ কম। ১৫-২৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষের সাক্ষরতার হারের মধ্যে পার্থক্য যৎসামান্য। এ বয়সী পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৯৫ শতাংশ ও নারীর সাক্ষরতার হার ৯৫.৯ শতাংশ। যুব সাক্ষরতার হার শহরাঞ্চলে ৯৬.২ শতাংশ, যার মধ্যে নারী ৯৬.৭ শতাংশ ও পুরুষ সাক্ষরতা ৯৫.৭ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে যুব সাক্ষরতার হার পুরুষদের ক্ষেত্রে ৯৪.৮ শতাংশ ও নারীদের ক্ষেত্রে ৯৫.৫ শতাংশ। জরিপ থেকে আরো জানা যায় যে, মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১২.৪৩ শতাংশ বর্তমানে বিদ্যালয়ে যায়, ৬৬.২ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেছে এবং ২১.৩৫ শতাংশ কোনোদিন বিদ্যালয়ে যায়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পুরুষের হার ১৩.৭৯ শতাংশ ও নারীর হার ১১.০৯ শতাংশ। দেশের ১৯.৩৯ শতাংশ পুরুষ কোনোদিন বিদ্যালয়ে যায়নি। নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৩.৯ শতাংশ। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩১.৫৬ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছে বলে উক্ত জরিপ হতে জানা যায়।

প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা : দেশে বর্তমানে অন্তত ১১ ধরনের প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কারিকুলামে‌ রয়েছে ভিন্নতা। সরকারিভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ও স্বীকৃতিবিহীন মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত পাঁচ ধরনের কারিকুলাম প্রচলিত আছে। এধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবতেদায়ি মাদ্রাসা, উচ্চ মাদ্রাসাসংলগ্ন এবতেদায়ি মাদ্রাসা, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়, এনজিও পরিচালিত শিক্ষা কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট স্কুল, কওমি মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়। এপিএসসি-২০২৩ এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ১,১৪,৬৩০ টি সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও ইবতেদায়ী মাদ্রাসাসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১,৯৭,১৩,৬৮৫ জন। ২০২২ সালে প্রাথমিক স্তরের ১,১৪,৫৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২,০৫,৪৬,০৯১ জন। প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয় যে, এপিএসসি-২০২২ এর তুলনায় এপিএসসি-২০২৩ এ শিক্ষার্থী নথিভুক্তির সংখ্যা কমেছে। ২০২৩ সালের শুমারির তথ্য অনুযায়ী দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৬৫,৫৬৭ টি। এছাড়া দেশে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ১,৫১৯ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা ও ৫,৯৩২ টি সরকারি অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। এপিএসসি-২০২৩ অনুসারে ২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। কিন্ডারগার্টেনে প্রায় ২,৫৬,০০০ ও ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় ৩৬,০০০ শিক্ষার্থী বেড়েছে বলে ঐ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। শহরাঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা উল্লেখযোগ্য দেখা গেলেও গ্রামাঞ্চলে এর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এর পেছনে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব, ক্লাসরুম, খেলার মাঠ ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণের অভাব, নিয়মিত ক্লাস না হ‌ওয়া, আর্থিক অনটনের কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া প্রভৃতি।

মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা : ২৬ জুন ২০২৪ সালে সংসদে উপস্থিত তথ্যানুযায়ী দেশে বর্তমানে ১৮,৯৬৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে এমপিওভুক্ত দাখিল মাদরাসা রয়েছে ৮,২২৯টি।

দেশের কলেজের সংখ্যা : বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে মোট ৬৫৩টি সরকারি কলেজ আছে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশে ২৩৬৩টি মহাবিদ্যালয় (কলেজ) রয়েছে।

কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা : বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সংখ্যা ১৪৯টি। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত বহু কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এছাড়া জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধীনে দেশে বর্তমানে ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে।

দেশের আলিয়া মাদরাসার সংখ্যা : দেশে মাত্র তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা রয়েছে। এছাড়া উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে আনুমানিক ১৮,০০০ আলিয়া মাদরাসা ছিল, যার মধ্যে কামিল মাদরাসা ২৬১ টি, ফাজিল মাদ্রাসা ১০৮৩ টি, দাখিল মাদরাসা ৬,৭২১ টি, ইবতেদায়ী মাদরাসা আনুমানিক ৮,৫০০টি এবং আলিম মাদরাসা ১৩৯৬টি।

বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩ অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে আলিম পর্যায়ের মাদরাসা আছে ১৩৯৪টি।

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা : বাংলাদেশে বর্তমানে প্রধানত চার ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলো হলো: পাবলিক, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় ও Cross Border Higher Education (CBHE).. এগুলোর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৫৫টি । এছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৫টি ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩টি। (তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া)

শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগী সংস্কার, সমস্যা সমাধান করা, উন্নয়ন ও বাস্তবতা: বাংলাদেশে বর্তমানে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও দক্ষ কর্মশক্তির হার সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েট শেষ করে চাকরির পেছনে ছোটা যেন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসাসমূহে উদ্যোক্তা সৃষ্টির কোনো ব্যবস্থা নেই এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ব‌ই মুখস্থ করে তা পরীক্ষার হলে খাতায় লিখে দিয়ে আসলেই একে শিক্ষার সফলতা বলে মনে করেন, অথচ শিক্ষার্থীর প্রকৃত শিক্ষালাভের প্রতি কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এজন্য আমাদের দেশে শার্ট -প্যান্ট-টাই পরা স্যুটেড-বুটেড গ্র্যাজুয়েট বেকার তৈরি হচ্ছে। যে কোনো মূল্যে একটা কোম্পানিতে বা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার জন্য হাজারো শিক্ষিত যুবক মরিয়া হয়ে ওঠে। উদ্ভাবনী শক্তির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উত্তম ব্যবহার এবং মেধাবী ব্যক্তিদের আবিষ্কার ও উদ্ভাবন সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকা দেশের তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ না ঘটার অন্যতম প্রধান কারণ। যেসব উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করতে কোটি টাকা ব্যয় হয়ে যায়, সেগুলো আমাদের দেশেই মেধাবী ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী তরুণরা কম খরচে উৎপাদন করতে পারে। এজন্য দরকার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সদিচ্ছা, উদ্যোগ ও সঠিক পথে বিনিয়োগ। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে বিনিয়োগ অনেক বেশি জরুরি। আমেরিকা, ব্রিটেন , জার্মানি, জাপান, কোরিয়া, চীন প্রভৃতি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর উন্নয়নের প্রধান কারণ তাদের কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং সামাজিক ও চীনারা প্রায় দেড় দশক আগেও যেখানে প্রযুক্তি ও কারিগরিতে অনেক পিছিয়ে ছিল, সেখানে আজ তারা সমগ্র বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কারিগরি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার জন্য কারিগরি শিক্ষায় তাদের অনিচ্ছা প্রধান কারণ। ২০২২ সালে মোট কর্মক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মাত্র ১.৪৬ শতাংশ বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সিংহভাগ‌ই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এর বাইরে কিছুসংখ্যক কর্মক্ষম জনগণ তৈরি পোশাক, ড্রাইভিং, মোটর মেকানিক ও প্যারামেডিকেল প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দুর্নীতি শিক্ষাব্যবস্থার এখন দুর্দশার অন্যতম প্রধান ও বড় কারণ। শিক্ষক নিয়োগের প্রতিটি স্তরে‌ দুর্নীতি, টাকা প্রদান ও অস্বচ্ছতার আশ্রয় নেয়া হয়, যার প্রথম শিকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা, এরপর শিক্ষার্থীরা। শিক্ষাবোর্ডগুলোর প্রতিটি কাজেই রয়েছে দুর্নীতির ছড়াছড়ি। শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব‌ও এর জন্য দায়ী। মাদরাসা শিক্ষার অনগ্রসরতা ও এই শিক্ষাব্যবস্থাকে গুরুত্ব না দেয়া কিংবা কম গুরুত্ব দেয়া শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের পথে অন্যতম বাধা। বিরাট সংখ্যক মাদরাসা শিক্ষার্থী প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চান্স পায়। অথচ কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক মনোভাব এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে এসব শিক্ষার্থী পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। এমতাবস্থায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে একে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনা, ইন্টারনেটে সকল কাজ সম্পাদন করা, ই-মেইলের মাধ্যমে সরকারের কাছে নিয়মিত তথ্য পাঠানো, বাধ্যতামূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ ও ক্লাসের ব্যবস্থা করা, সাধারণ শিক্ষা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণের বিলোপ সাধন, দক্ষতা উন্নয়ন, কঠোর হাতে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণ এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় গুরুত্বারোপ অতীব জরুরি।

লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।