কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়তে সুস্থ ধারার মিডিয়ার বিকল্প নেই। ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম কিংবা টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে নাটক-সিরিয়ালে পারিবারিক বিরোধ, সামাজিক কূটচাল, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, স্বামী-স্ত্রী, বউ-শাশুড়ির চুলোচুলি দেখিয়ে সমাজকে কলুষিত করতে বাংলাদেশের দর্শকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছে। মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে সংস্কৃতির নামে হিন্দুত্ববাদী অপসংস্কৃতি প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ করতো, এখনো করছে। দেশের সচেতন মানুষ এ বিষয়ে বারবার প্রতিবাদ করার পরও কেউ কর্ণপাত করেনি। ফলে বাংলাদেশের কথিত বিনোদন জগতে ভারতীয় ও বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রভাব দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।
জুলাই ২৪ বিপ্লবের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতীয় একটি উগ্র মিডিয়া “রিপাবলিক বাংলা” অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে নিয়মিত অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে আসছে। এমনকি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়েও ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যাচার তথা গুজব ছড়াচ্ছে। মিডিয়াটি প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা মোটেই কাম্য নয়। অথচ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দিয়ে আসছে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা তথা ইসলামপন্থীরা। আফসোস! ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এসব খবর প্রকাশ করেনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা, সচিব এবং জনসংযোগ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভারতীয় ক্ষতিকর চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
নিবেদক : মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন।