নিকট অতীতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইংরেজি শিক্ষকগণ আর্থিক সুুুবিধাসহ কয়েক বছর অতিরিক্ত চাকরীকরার সুবিধা পেতেন। সে সময় শিক্ষার্থী তথা ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইংরেজি বিষয়ে পারদর্শিতা অর্জনের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতো। একথা কারো অজানা নয় যে, পতিত সরকার ‘শিক্ষা-সংকোচন’ নীতি গ্রহণ করেছিল। ঐ সরকার ইংরেজি ১ম ও ২য় পত্র মিলিয়ে ২০০ নম্বরের স্থলে ১০০ নম্বর করেছে । অথচ ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ২০০ নম্বরের ইংরেজি বিষয়ে পড়াশুনা করতে হতো। বস্তুত আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর উচ্চ শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষার উপর নির্ভরশীল। আমাদের বিদেশগামীরা এ ভাষার দক্ষতা অর্জনের জন্য ওঊখঞঝ, ঞঙঋঊখ ইত্যাদি কোর্স করতে বাধ্য হচ্ছে একমাত্র অপরিপক্ক পাঠদানকারী বিষয় শিক্ষক ও যথার্থ শিক্ষাদান পদ্ধতির অনুপস্থিতির কারণে। হলিক্রস, ভিকারুন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজসহ নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভর্তি কার্যক্রমে প্রশংসাপত্র, টি,সি ইত্যাদি ইংরেজিতে লেখা কাগজপত্র গ্রহণ করে। ডিজিটাল এবং ভার্চুয়াল ইন্টারনেট লিংক কম্পউটার কার্যক্রম ইংরেজি ভাষায় সুসম্পন্ন হয়। বিদেশগামী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী জনশক্তির ইংরেজি ভাষা জানা জরুরী । মূলত, শিক্ষা জীবনের মাধ্যমিক স্তর হচ্ছে শিক্ষার ভিত্তি নির্মাণের স্তর।
এছাড়া আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোতে (ভারত, পাকিস্তান, লেপাল ভূটান, বার্মা, শ্রীলংকা) ইংরেজি বিয়ষকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে শিক্ষা দান করা হয়, অথচ আমাদের বাংলাদেশে এটাকে বিদেশি ভাষা হিসাবে পাঠদান করা হয়।
এমতাবস্থায় সার্বিক দিন বিবেচনায় বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারের কাছে আমাদের মত ইংরেজি বিষয়ে পাঠদানকারী যুযোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ ছয় বছর বৃিদ্ধ করার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নিবেদক : মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী।