এশিয়ার উন্নত ও গণতান্ত্রিক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় গত ৩ ডিসেম্বরে সামরিক শাসন জারির খবরে নড়ে নড়ে বসেছিল বিশ্ব। হঠাৎ দেশটায় হলো কী? প্রেসিডেন্ট ইউন হঠাৎ করে দেশে সামরিক আইন জারি করে বসলেন কেন? প্রেসিডেন্টের দলের লোকরাও পছন্দ করেনি এমন উদ্যোগ। দক্ষিণ কোরিয়ায় আকস্মিক সামরিক আইন জারির ঘোষণায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন দেশটির অধিবাসীরাও। প্রায় ৫০ বছরের মধ্যে দেশটিতে সামরিক আইন জারির ঘোষণা ছিল এটিই প্রথম। তার সূত্র ধরে দেশটিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নানা ডালপালা মেলে অবশেষে নতুন নির্বাচনের পথে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশেও নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এশিয়ার দুটি দেশে নির্বাচনী হাওয়া বিশ্বের বিশ্লেষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
কেন দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি হয়? যুক্তি হিসেবে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ ও উত্তর কোরিয়া থেকে হুমকির কথা জানান প্রেসিডেন্ট ইউন। তবে দ্রুতই এটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে, বাইরের কোনো হুমকিতে নয়; বরং নিজস্ব রাজনৈতিক ঝামেলার জেরেই এ সিদ্ধান্ত নেন ইউন সুক। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে সমবেত হন হাজারো মানুষ। বিশ্লেষকেরা বলেন, ইউনের সামরিক আইন জারির ঘোষণা দৃশ্যত আইনবহির্ভূত ও রাজনৈতিক ভুল উভয়ই। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি ও নিরাপত্তার জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকিও।
২০২২ সালের মে মাসে ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হন কট্টর রক্ষণশীল ভাবধারার রাজনীতিক ইউন সুক। তবে গত বছরের এপ্রিল থেকে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল দক্ষিণ কোরিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে দুটি বৃহত্তম দল, উদারপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টি ১৭৩ এবং রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টি ১০৮ টি আসন পায়। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের প্রশাসনের তৃতীয় বর্ষের কাছাকাছি আসার সাথে সাথে এ নির্বাচনটি “মধ্য-মেয়াদী মূল্যায়ন” হিসেবে কাজ করেছিল। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি জাতীয় পরিষদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়। বিরোধীরা বিপুলভাবে জয় পাওয়ার কারণে প্রেসিডেন্ট ইউনের সরকার তাদের চাহিদামতো বিল পাস করতে পারছিল না। চলতি বছর কয়েকটি দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ইউনের প্রতি জনসমর্থনও অনেকটা কমেছে। এ সমর্থন এখন ১৭ শতাংশের নিচে। সে থেকে দক্ষিণ কোরিয়া কার্যকরভাবে নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় রাজনৈতিক সংকট। প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক শাসন জারি করে বেসামরিক শাসনকে ধ্বংস করার চেষ্টা করলে দেশটির সাংবিধানিক আদালত তাকে অভিশংসিত করে, প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। গত ৪ এপ্রিল সর্বসম্মতিক্রমে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের অভিশংসন বহাল রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালতের বিচারকদের প্যানেল। পরবর্তী ৬০ দিনের মাঝে, ৩ জুন তারিখে একটি আগাম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মূলত ৩ মার্চ ২০২৭ তারিখে নির্ধারিত ছিল, ইউন সুক ইওলের অভিশংসন এবং অপসারণের পর নির্বাচনটি এগিয়ে আনা হয়েছে। এ হলো নির্বাচনের প্রেক্ষাপট।
দক্ষিণ কোরিয়া পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণাংশ নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তর অংশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা এবং দক্ষিণ অংশটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দখলে রেখেছিল। ১৯৫০-১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পরে ধ্বংসপ্রায় দক্ষিণ কোরিয়া ১৯৯৩ সালে এসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিগুলোর একটিতে পরিণত হয়। সে-ধারা চলমান। ৫ কোটি ১৭ লাখ জনসংখ্যার এ দেশটিতে গণতন্ত্র বজায় রয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কটি বেশ দৃঢ়। এখানে কোরিয়ান কোম্পানী উন্নয়ন কাজে জড়িত আর বহু কিছুতে বিনিয়োগ রয়েছে দেশটির। সে নিরিখেও আগামী নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে দক্ষিণ কোরিয়া আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। বাংলাদেশের ও কোরিয়ার মধ্যে বর্তমানে ইকোনমিক পার্টনারশিপ চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের কাজ চলমান। ইপিআই স্বাক্ষর হলে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের যাত্রার শুরুর দিকে কোরিয়ার ভূমিকা ছিল অসাধারণ। কোরিয়ার মতো কারিগরি জ্ঞানে সমৃদ্ধ দেশ থেকে দক্ষ প্রশিক্ষক এনে দেশে প্রশিক্ষক তৈরি করা হয়। আমাদের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রো প্রসেসিং, আইসিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোরিয়ান সহায়তা রয়েছে। রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ১৯৭৩ সালে ডিপ্লোমেটিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে উভয় দেন একত্রে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্প এবং তৈরি পোশাকশিল্প খাত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য কোরিয়ার সহায়তায় বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
অতিসম্প্রতি বিশ্বখ্যাত কোরিয়ান কোম্পানি ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংয়ের নেতৃত্বে কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের একটি দল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৈঠকে কিহাক সাং বলেন, ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি টেক্সটাইল ও ফ্যাশন কলেজ স্থাপন করা হবে। এটি বাংলাদেশকে শীর্ষ টেক্সটাইল হাবে পরিণত করতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করবে। এরপর বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’ শীর্ষক চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন সম্মেলন উপলক্ষে কোরিয়ার প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছিলেন। এ সময় তারা বড় বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।
এতসব বিনিয়োগ প্রস্তাব সফলতা পেলে দেশ লাভবান হবে সন্দেহ নেই। নির্বাচনী ফলের উপর তা কতটা নির্ভর করবে সে বিষয়ে বিশ্লেষকরা দোলাচলে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার অভিযান এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি। নির্বাচনী লড়াইয়ে বিরোধী দলের প্রার্থী এগিয়ে আছেন আপাতত তা জানা যাচ্ছে। ২১ এপ্রিল বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপের বরাতে কোরিয়া হেরাল্ড জানায়, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লি জে-মিয়ং, ৩ জুনের নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়েছেন। দলটি ২৭শে এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রার্থী মনোনীত করার কথা রয়েছে।
বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১,৫০৪ জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর রিয়েলমিটার পরিচালিত জরিপ অনুসারে, লি ৫০.২ শতাংশ ভোট পেয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু, যিনি রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টিতে যোগ দিয়েছেন এবং এ মাসের শুরুতে তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন, তিনি ১২.২ শতাংশ পেয়ে তার পরেই রয়েছেন। প্রাক্তন পিপল পাওয়ার পার্টির নেতা হান ডং-হুন ৮.৫ শতাংশ এবং দায়েগু মেয়র হং জুন-পিও ৭.৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, তার পরেই পিপল পাওয়ার পার্টির প্রতিনিধি না কিউং-২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দলগতভাবে, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ৪৮.৭ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে, যা পিপিপির সাথে ব্যবধান বাড়িয়েছে ৩২.৯ শতাংশ। এই জরিপে আরও দেখা গেছে যে ৫৯.৯ শতাংশ উত্তরদাতা সরকার পরিবর্তনের পক্ষে, যেখানে ৩৪.৩ শতাংশ পিপিপিকে ক্ষমতায় থাকতে পছন্দ করেছেন। এগুলো এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের জরিপ। সামনের দিনগুলোতে তা আরো স্পষ্ট হবে।
আরেকটি পত্রিকা ২২ এপ্রিল জানাচ্ছে, লির প্রতি সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে, অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু, ৩ জুনের আগাম নির্বাচনের জন্য তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অটল রয়েছেন। তিনিও লড়াইয়ে থাকছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলের অভিশংসনের পর রাজনৈতিক উত্থান-পতন এবং রক্ষণশীল ব্লকের মধ্যে বিভক্তির ফলে ডেমোক্রেটিক নেতা লির দক্ষতার কারণে এই উত্থান ঘটেছে। ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লি মি. ইউনের কাছে মাত্র ০.৭ শতাংশ পয়েন্টে হেরে যান।
বিশ্লেষক ও প্রগতিশীল হানকিওরেহ দৈনিকের প্রাক্তন নির্বাহী সম্পাদক জং সুক-কু ‘দিস উইক ইন এশিয়া’ কে বলেছেন, ইউনের সামরিক আইন ঘোষণা এবং পরবর্তী অভিশংসনের ফলে সৃষ্ট বিভ্রান্তি থেকে লি উপকৃত হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে, যা কিছু মধ্যপন্থী ভোটারকে পিপিপি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
টিজেবি ব্রডকাস্টিং দ্বারা পরিচালিত একটি পৃথক জরিপে সম্ভাব্য ত্রিমুখী প্রতিযোগিতার পরিস্থিতি আঁচ করা গেছে। যেখানে লি, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হান ডাক-সু এবং একটি বিভক্ত বিরোধী দলের লি জুন-সিওকের চেয়ে এগিয়ে আছেন। লি জে-মিয়ং ধারাবাহিকভাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে জরিপে শীর্ষে রয়েছেন, যেখানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হান ২১.৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ইউনকে অভিশংসনের জন্য বিরোধী দলের সাথে ভোট দেওয়া প্রাক্তন পিপিপি নেতা হান ডং-হুন ১৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। হ্যানের দলত্যাগ রক্ষণশীল ভোটারদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যাদের অনেকেই তার কর্মকাণ্ডকে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখেন। রক্ষণশীলদের সমর্থন একত্রিত করতে এবং লিকে আরও ভালোভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে পিপিপির চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের প্রার্থীতার সাথে একীভূত করার জন্য রক্ষণশীল মহলের মধ্যে দাবি ক্রমশ বাড়ছে।
রাজনৈতিক সাসপেন্স হচ্ছে, হান ডাক সু তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অস্পষ্টতা রেখেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থীতা নিশ্চিত বা অস্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন, যারা তাকে আলোচনায় থাকার জন্য রাজনৈতিক স্থবিরতাকে কাজে লাগানোর অভিযোগ করেছেন। ডিপিকে-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান পার্ক চ্যান-ডে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়ে তার কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করার অভিযোগ করেছেন। রবিবার প্রকাশিত দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে, ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে দক্ষিণ কোরিয়া নতুন শুল্কের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে না তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে “উইন-উইন” সমাধান খুঁজে পাওয়ার আশা করছেন।
তিনি কোরিয়ান যুদ্ধ-পরবর্তী সহায়তা, প্রযুক্তি স্থানান্তর, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার “ঐতিহাসিক ঋণ”-এর উপর জোর দিয়েছেন। বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সত্ত্বেও, দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক হারে শুল্ক-এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা করেছিল। দেখা যাচ্ছে এসব বিষয়ও নির্বাচনী মাঠে গুরুত্ব পেতে চলেছে।