বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে শীর্ষ মার্কিন ব্যবাসায়ী ইলন মাস্কের স্টারলিংক। যার হাত ধরে স্টারলিংক বাংলাদেশে এসেছে তিনি ড. ইউনূসের পর ড. ইমাদুর রহমান (Imadur Rahman)। তিনি ইন্টেরিম সরকারের বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন লিমিটেড (BSCL) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন, এরিকসনের মতো বড় কোম্পানি ছেড়ে এসেছেন।

ড. ইমাদুর রহমান, যিনি ড. ইউনুসের নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্নে সহযাত্রী হিসেবে দেশে ফিরেছেন, উনার পেশাগত ক্যারিয়ার এক চমৎকার দৃষ্টান্ত। তার সিভি তো প্রায় ৩০-৪০ পৃষ্ঠার! তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরতে চাই:
১. তিনি এরিকসনের হেড অফ রিসার্চ ছিলেন এবং ৬০০+ প্যাটেন্ট সাবমিট করেছেন। তার ৩০০+ ইউএস প্যাটেন্ট গ্রান্টেড হয়েছে, যা প্রযুক্তি ইনোভেশনের চূড়ান্ত উদাহরণ। উনার গবেষণার বিশেষজ্ঞ ক্ষেত্র হলো ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এবং ১৭ বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে উনার প্যাটেন্ট সংখ্যা সম্ভবত হাজারের কাছাকাছি!
২. উনার গবেষণা বিষয়ক আর্টিকেল ও জার্নালের সংখ্যা প্রচুর এবং গুগল সাইটেশন ২০০০+!
৩. শুধু প্রযুক্তি নয়, তিনি সামাজিক কাজেও অসামান্য। তিনি মুসলিম এইড সুইডেন চ্যাপ্টারের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে রমজানে দাতব্য ওয়েলফেয়ার কাজ পরিচালনা করেছে।
৪. সুইডেনের স্টকহোমে উনার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে জনকল্যাণমূলক ও ইসলামিক কাজের জন্য।
এইসব গুণী ব্যক্তি, একাডেমিক, রিসার্চার, উদ্ভাবক, সমাজসেবী এবং নেতৃত্ব গুণসম্পন্ন মানুষ ড. ইউনুসের সঙ্গে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে এসেছেন, এবং ইতিমধ্যে সফলভাবে কাজ করে চলেছেন।

ড. ইমাদুর রহমানের টিমের মাধ্যমে দেশে আনা হয়েছে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট।
এমন রত্নদের চিনতে হবে এবং তাদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে হবে, আর তাদের নেতৃত্বের প্রতি যে বিশ্বাস আছে, সেটা ড. ইউনুসের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ ধন্যবাদ জানানো প্রয়োজন।
সূত্র: ফেজবুক পোস্ট, মাহফুজ আজিম