সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাকসুদা সাকি লিখেছেন, আমার শশুড় জামায়াতে ইসলামী কে পছন্দ করতেন না, নিজের পুত্রকে ছোট বেলা থেকে নানাভাবে সতর্ক করে ও শিবির থেকে সরাতে পারেন নাই। আমাদের বিয়ের আগে উনি জানতেন না যে ছাত্রীসংস্থা বলে কিছু আছে,বিয়ের পরে জানলেও উনি তেমন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ভাবেন নাই। প্রচুর ধরপাকড় চলার সময় আমার কাছে প্রস্তাব দিলেন বাসার বইগুলো যাতে ফেলে দেই, নষ্ট করি বইয়ের কারণে যাতে উনার ছেলে গ্রেফতার না হন।
সেই শশুড় মশাই ৫ আগষ্টের পর আমিরে জামায়াত কে চিনলেন, এতো ভক্ত হলেন যে যেদিন শুনলেন যে আমিরে জামায়াত নির্বাচনে ভোট দিতে যাচ্ছি সেদিন তিনি আমাকে অনুরোধ করে বললেন মা ডা. শফিক সাহেবকেই ভোট দিবা।
উনি আমার কাছে ৫ আগষ্টের পর থেকে দেখা প্রায় প্রতিটি ঘটনার চুম্বক অংশ বলছিলেন সেই ফেনীর বন্যায় আমিরে জামায়াতের ভুমিকা, মাইলস্টোন কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আহত নিহতের সাহায্য।
মিরপুর ক্যামিকেল ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে ২০/২২ জন মারা যায় মাঝরাতে গিয়ে ১ লাখ করে টাকা দিয়ে আসলেন ক্ষতিগ্রস্তদের।
আরও অনেক উদাহরণ দিলেন, বললেন তোমরা একজন ক্যারেশমেটিক নেতা পেয়েছো, উনাকে হারালে হেরে যাবে তোমরা। আমি তখন ফোনের এপাশে চোখ মুছছিলাম, বিশ বছর চেষ্টা করে উনার ছেলে উনাকে জামায়াত কি বুঝাতে পারেনাই, ২৪ এর অভ্যুত্থান উনাকে জামায়াত চিনিয়েছে।
কড়াইল বস্তিতে আগুন, গভীর রাতে উপস্থিত আমার নেতা।
কড়াইল বস্তিবাসী না খেয়ে আছে, সব আগুন ছাই। তিনি এলেন খাবারের প্যাকেট নিয়ে। কম্বল পাঠালেন, পরদিন আবার খাবার পাঠালেন, নিয়মিত খোজ নিচ্ছেন।
আমীরে জামায়াত দেশ কে নিয়ে যে উচ্চাশা পোষণ করেন, আল্লাহ যেন তা বাস্তবায়নের সুযোগ দান করেন। আমীরে জামায়াত কে নেক হায়াত দান করেন। আমীন।