হারুন ইবনে শাহাদাত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বৈপ্লবিক ইতিহাসের সাক্ষী। ঈসায়ী বর্ষপঞ্জির মাসগুলো সর্বোচ্চ ৩১ দিনের। এ কথা সবার জানা। কিন্তু ২০২৪-এর এ ক্যালেন্ডারে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা জুলাই মাসকে দিয়েছে এক অন্যরকম উচ্চতা। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের বৈপ্লবিক পরিচয় ৩৬ জুলাই। এদেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের এ দিনটি ছিলো অপরিহার্য।

সাহসে বুক বেঁধে এ জনপদের মানুষ মুক্তির নেশায় স্বাধীনতার আশায় যতবার মৃত্যু মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে, তাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা হাতের মুঠোয় নিয়েছে। ততবারই তা ছিনতাই হয়েছে। স্বপ্ন দেখানো মহানায়করা মুহূর্তেই ভিলেন রূপে সামনে দাঁড়িয়ে তাদের স্বপ্নের সাথে প্রতারণা করেছেন। সেই ছিনতাই হওয়া স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার শেষ সংগ্রামে বিজয়ের দিন ২০২৪-এর ৩৬ জুলাই। মানুষ আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। কোনো মানুষই শৃঙ্খল পরে পৃথিবীতে আসে না। কথিত জননেতারা স্বাধীন মানুষদের গোলামে পরিণত করেন। প্রকৃত মানব সত্তা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ ছাড়া আর কারো গোলামী মেনে নিতে পারে না। মানুষকে মানুষের গোলামি থেকে মুুক্ত করার সংগ্রাম চলছে যুগ যুগ ধরে। সেই সংগ্রামের প্রথম সারির নেতা নবী ও রাসূল আ.গণ। সৃষ্টিকর্তার গোলামি করার পথে প্রধান বাধা মানুষরূপী কিছু ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসক নামের কথিত ‘খোদা’। পৃথিবীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ স্বৈরাচার ফেরাউনের কথা পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেই উল্লেখ করেছেন। ইতিহাসের পাতায় এমন আরো অনেক ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের নাম উল্লেখ আছে; যেমন: হিটলার, মুসোলিনী, কামাল পাশা, জামাল আবদেল নাসের, এদেশের শেখ মুজিব, এরশাদ প্রমুখ।

স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শাসকরা কতটা ভয়ংকর হয়ে জনগণের জীবন নিয়ে রক্তের হোলি এবং জুয়া খেলতে পারে, তার নিকৃষ্টতম উদাহরণ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই দিন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ঘাড়ে আরব্য রজনীর গল্পের সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসা ফ্যাসিস্ট হাসিনা, তার দল আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের দুঃশাসনের অবসান হয়। হাসিনা তার গোটা সরকার নিয়ে পালিয়ে যান। তাকে পালাতে বাধ্য করে গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার কাক্সিক্ষত বিপ্লব। এ কথা কারো অজানা নয় বিপ্লব শব্দের অর্থ পরিবর্তন। আর পরিবর্তন আসে গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের পথে। গণতান্ত্রিক দেশে গণভোটের মাধ্যমে সরকার বদল করার সুযোগ থাকায় জনগণকে গণআন্দোলন, অভ্যুত্থানের মতো বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মতো রক্তরাঙা পথে হাঁটতে হয় না। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শাসকদের শেষ পরিণতি সাধারণত ঘটে গণঅভ্যুত্থান, নয়তো সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার বদল বা পরিবর্তনের স্বাভাবিক পথ বন্ধ করে দেয়। যেমন: হাসিনার বাবা মুজিবের পতন হয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানে। এদেশের আরেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়েছে গণঅভ্যুত্থানে। এখন প্রশ্ন হলো- ২০২৪-এর আগস্ট বিপ্লব কেন অনিবার্য হয়ে পড়েছিলো?

২০২৪-এর আগস্ট বিপ্লব কেন অনিবার্য ছিলো?

সামাজিক পরিবর্তন বা বিপ্লব কেন ঘটে, একটি সমাজবিপ্লবের জন্য কী কী অনুষঙ্গ কাজ করে, সেই গবেষণা চলছে মানবসভ্যতার আদি থেকে। এখনো অব্যাহত আছে। হযরত ঈসা আ.-এর জন্মের প্রায় চারশত আগে রাষ্ট্রদার্শনিক অ্যারিস্টটলের বিপ্লবতত্ত্ব এখনো কার্যকর বলে মনে করেন আধুনিককালের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা।

“অ্যারিস্টটল তাঁর সুপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ ‘পলিটিক্স’-এ বিপ্লব সম্পর্কিত মতবাদের ব্যাখ্যা এবং বিপ্লব প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যা আজকের বাস্তবতায়ও প্রাসঙ্গিক বলে স্বীকার করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। অ্যারিস্টটল বর্ণিত বিপ্লবের প্রধান কারণগুলো হলো- ক) অসমতা, খ) ক্ষমতার অপব্যবহার, গ) অবজ্ঞা, ঘ) ভিন্ন ভিন্ন ন্যায়বিচার, ঙ) উপাধি প্রদানে বৈষম্য, চ) মুনাফা লাভের বাসনা।” এ প্রসঙ্গ বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহফুজ পারভেজ বলেছেন, ‘আজকের বাস্তবতায়ও এসব বিষয় দৃশ্যমান এবং প্রাসঙ্গিক। বরং কখনো কখনো এসব বৃদ্ধি পেতে পেতে বিস্ফোরণমুখী হয়ে পড়ে। তথাপিও কারণগুলোকে দূর করা এবং প্রতিকার বিধান করার লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে ঘটতে তা বারুদের স্তূপে রূপান্তরিত হয়। কেউ কেউ তখন হয়তো দাবানল জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য দেশলাই কাঠির সন্ধান করে। তীব্রগতিতে চলতে থাকে নিপীড়ন, নৈরাজ্য, রক্তারক্তি। ফলে সমাজের ক্ষত ও মানুষের বিপদ বাড়তে থাকে।’

তাই বিপ্লবের কারণগুলো জানার পরও যদি কোনো শাসক আচরণ পরিবর্তন না করে অত্যাচার-নির্যাতন অব্যাহত রাখে, তাহলে বুঝতে হবে তিনি পরিবর্তন বা বিপ্লবকেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। পতিত স্বৈরাচার হাসিনাও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি দুঃশাসন টিকিয়ে রাখার নেশায় রক্তপিসাসু হয়ে উঠেছিলেন। আধুনিক যুগের রাষ্ট্রদার্শনিক সমাজ পরিবর্তনের ধারা এবং অতীত স্বৈরাচারদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নেননি। বরং বিপ্লবকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সংলাপ, আলোচনা, গণভোটের পথে না হেঁটে গুম-খুন জেল-জুলুম, জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে শুধু তার অনুগত আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের সরকার নয়, রাষ্ট্রযন্ত্রকেও অবৈধভাবে ব্যবহার করেছেন। সর্বশেষ প্রতিবাদী নিরস্ত্র ছাত্রজনতা মিছিলে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে নিজ বাড়ির ছাদ ও জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুদের হত্যা করে দেশকে নরকে পরিণত করেছিলেন। রাষ্ট্রচিন্তাবিদের দেখানো সমাধানের সন্ধান না করে তিনি, ‘শক্তি প্রয়োগের মধ্যেই মুক্তি তালাশ করেছেন।’

অ্যারিস্টটল তাঁর বিপ্লবতত্ত্বে শুধু কারণ নয়, প্রতিরোধের কৌশলগুলোও উল্লেখ করেছেন। যেমন- ক) শাসন ব্যবস্থায় যারা অংশগ্রহণ করে, তাদের নিজেদের মধ্যে আচরণের মধ্যে গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রদর্শন করতে হবে। খ) আইনহীনতার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গ) গণতন্ত্রে নাগরিকদের প্রতি সুবিবেচনা প্রদর্শন করতে হবে। ঘ) সমাজের নীতি ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ সম্পর্কে যারা সন্তুষ্ট নয়, তাদের মনোভাবের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। ঙ) গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করতে হবে এবং সেগুলোকে আইনানুগ পন্থায় পরিচালিত করতে হবে। চ) ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা যাতে গজিয়ে উঠতে না পারে এবং শ্রেণিগুলোর মধ্যে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী যাতে মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ লাভ করতে না পারে, সে ব্যাপারে কড়া দৃষ্টি রাখতে হবে।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, কোনো শাসক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা হারিয়ে ফেললে তিনি কারণগুলো জানার পরও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ফেরার পথও পান না। তখন তার পরিবর্তন বা বিপ্লবের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না। কারণ দিনে দিনে এত বেশি ঋণ জমে, জনগণ তা আদায় করতে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

বৈষম্যের শিকার, বঞ্চিত মানুষের মন থেকে মৃত্যু ভয় চলে যায়। তখন তারা বুলেটের সামনে বুক পেতে দিতে দ্বিধা করে না। জন্মসূত্রে সুইডিশ আমেরিকার অভিবাসী বেতনবৈষম্যের শিকার শ্রমিক ও গীতিকার জো হিলের গানের ভাষায়, I will die like a true-blue rebel. Do n’t waste any time in mourning_organize. (আমি সত্যিকারে অনুগত বিদ্রোহীর মতো মৃত্যুকেই করেছি আপন/শোকে সময় নষ্ট না করে করো সেই আয়োজন।) উল্লেখ্য, জো হিলের জীবনাবসান হয়েছে আজ থেকে ১১০ বছর আগে। তিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। জুলাই বিপ্লবী রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যলায়ের আবু সাঈদের স্লোগান, ‘বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’ এ যেন জো হিলের উল্লেখিত গানেরই প্রতিধ্বনি।

বুকের ভেতর দারুণ ঝড়

সত্যি প্রতিবাদী জনতার বুকের এ ঝড় থামানোর সাধ্য কোনো ফ্যাসিস্টের থাকে না। কারণ বিপ্লবীরা সবাই পরিণত হন হিমালয়ের মতো শক্ত প্রাচীরে। হাসিনার পতন আন্দোলনের সময় বিপ্লবীদের কাছে আমিও একটি বার্তা পাঠিয়েছিলাম। ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই প্রকাশিত ‘পরিবর্তন আসন্ন’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বিবিসি প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে বিপ্লবীদের বার্তা দিয়েছিলাম, তাদের এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমাতে হাসিনা যত জুলুম-নির্যাতন চালাবে, বিপ্লব তত ত্বরান্বিত হবে। আমি যে প্রতিবেদনটি তুলে ধরেছিলাম, তার শিরোনাম ছিল, ‘একজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে সরাতে কত মানুষকে রাস্তায় নামতে হয়?’ বিবিসির ডেভিড এডমন্ডস তাঁর এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ‘একজন স্বৈরশাসকের পতন ঘটাতে কোন কৌশল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী? সহিংস প্রতিবাদ নাকি অহিংস আন্দোলন? আর ক্ষমতা থেকে কোনো রাজনীতিককে সরাতে এরকম বিক্ষোভ কত বড় হতে হবে? কত মানুষকে জড়ো করতে হবে? হার্ভার্ডের একজন গবেষক এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গবেষণা চালিয়েছেন বিগত কয়েক দশকে বিশ্বের দেশে দেশে যেসব গণআন্দোলন ও গণবিক্ষোভ হয়েছে, সেগুলোর ওপর।’ এ গবেষণার ভিত্তিতে তিনি বলছেন, কোনো জনগোষ্ঠীর মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ যদি গণবিক্ষোভে যোগ দেন, তাতেই তারা সফল হতে পারেন। কিন্তু এ আন্দোলনের সাফল্যের সম্ভাবনা কতটা? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকানো জরুরি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক এরিকা চেনোওয়েথ ঠিক সেই কাজটিই করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৈষম্য ও বঞ্চনা মানুষের মনে যে আগুন জ্বালে, তার অবসান ঘটাতে জীবনপণ করতে পিছপা হয় না। আধুনিককালের সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, অ্যারিস্টটলের বিপ্লবতত্ত্বে উল্লেখিত কারণগুলোর প্রতি অবহেলায় দিন দিন সামাজিক সংকট বাড়তে থাকে। একটি শ্রেণি সম্মান, অর্থবিত্ত, মান-মর্যাদা যুগের পর যুগ ভোগ করতে থাকে, তখন তারা বঞ্চিতদের দ্বিতীয়/তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে। ফলে সামাজিক মর্যাদা হারানো ঐ মানুষগুলো পদে পদে অবজ্ঞার শিকার হন, ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন। দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রে তারা অপরাধ না করেও শাস্তি পান; অন্যদিকে অপরাধীরা বুক উঁচু করে চলে। তারা অন্যায়ভাবে অন্যের অধিকার হরণ করে অথচ যার অধিকার হরণ করা হচ্ছে, তিনি প্রতিবাদ করলে উল্টো তাকেই শাস্তি দেওয়া হয়। কোনো আধুনিক সভ্য রাষ্ট্রে এমনটা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিস্ট, স্বৈরশাসকরা তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে সমাজে এমন বিভাজন সৃষ্টি করে। কিন্তু এ বিভাজনে বঞ্চিতদের মিছিল বড় হতে থাকে। অন্যদিকে কর্তৃত্ববাদী সরকারের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর মধ্যে বাড়ে কে কত বেশি ভাগাতে পারে, সেই প্রতিযোগিতা। ফলে কর্তৃত্ববাদীদের ভিত ভেতর থেকে দুর্বল হতে থাকে। বঞ্চিত গোষ্ঠীর সংখ্যা যত বাড়ে, পরিবর্তন তত এগিয়ে আসে। বিশেষ করে আধুনিক যুগে যখন যুদ্ধ নয়, জনসমর্থনই ক্ষমতা বদলের হাতিয়ার, তখন রাজপথে প্রতিবাদী জনতা একটি বড় ফ্যাক্টর। বিপ্লবী ছাত্র-জনতা বিপ্লবের এ সূত্র বিশ্লেষণ করে ধৈর্যের সাথে নিরস্ত্র আন্দোলন চালানোর সিদ্ধান্তে ছিলো অটল। তাদের বুকে যে ঝড় উঠেছিলো, হাসিনার পতন ছাড়া তা থামানোর সাধ্য কারো ছিলো না। এ অনিবার্য প্রয়োজনের অনিবার্য অনুষঙ্গ ২০২৪-এর ৩৬ জুলাই বিপ্লব।