আ. শ. ম. বাবর আলী
তোমাদের আমলে নতুন বছরের উৎসব তোমরা কেমনভাবে পালন কোত্তে, বলো না দাদি। দাদির কাছে আবদার ধরে নাতি সাহাবউদ্দিন। প্রশ্নটা শুনে হঠাৎ করে যেন গম্ভীর হয়ে যান বৃদ্ধা দাদি। হয়তো বা হঠাৎ করে ফিরে যান পুরানো সেই দিনে। তারপর একটা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে মুখের মধ্যে একটা হাল্কা হাসি টেনে এনে বলেন ঃ আরে নাতি, কী আর কবো সে সব দিনির কোতা!
সাহাবউদ্দিন অনুরোধের মত করে বলে ঃ বলো না দাদি, শুনতে আমার খুব ইচ্ছে হচ্ছে।
দাদি বলেন ঃ তোরা সব টাওন শওরের মানুষ। তোগা কি এসপ ভালো নাগবে?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ লাগবে বলেই তো শুনতে চাচ্ছি দাদি।
দাদি বলেন ঃ তোর দাদা দোকানদারি কইত্তো সাতক্ষীরের টাওনি। ওকানে সে থেক্তো। কিন্তুক কোনোবার চত্তির মাসের শেষে কেউ তারে সেকানে বেন্দে নাক্তি পেত্তো না।
: কেন? ঔৎসুক্য প্রশ্ন সাহাবউদ্দিনের।
ঃ সেইডাই তো কোতিচি। চত্তির মাসের দু’একদিন থাক্তি তোর দাদা ফিরে এস্তো বাড়িতি, বইশেক মাসের নতুন বচর পালন কত্তি। ঃ তারপর?
ঃ চত্তির মাসের দু’একদিন থাক্তি তোর দাদার মনের মদ্যি খুশি আর ধইত্যো না। বিকেলেত্তে অনেক নাত্তির পয্যন্ত গেরামের সগোল মাইন্ষির সাতে মিশে হৈচে কইরে বেড়াতো।
ঃ কেন? সাহাবউদ্দিন জানতে চায়।
ঃ করবে না? আর একদিন দু’দিন পরই তো নতুন বচর। তার জন্যি আগে থাকতিই আনন্দ কোত্তি হবে না?
ঃ তাইতো।
ঃ তারপর চত্তির মাসের শেষ সন্দ্যে। সে যে কী আনন্দ আর হৈচৈ তোর দাদা আর তার বন্দুগা! নতুন বচরডারে কাচে পাবার আনন্দ। আনন্দে যেন সগোল কিচু হারাইয়ে যেতো তাগা।
ঃ তোমাকেও কি দাদা হারায়ে ফেলতো সেদিন দাদি?
চুটকি হেসে প্রশ্ন করে নাতি সাহাবউদ্দিন।
দাদিও মজা করে জবাব দেন ঃ ধুৎ! কী যে কস্। তোর দাদার সাতে আমিও কোম মোজা কত্তাম নাই?
ঃ তুমি কি করত দাদি?
সাহাবউদ্দিনের আগ্রহ বেড়ে যায়।
এক সোপ্তা আগেত্তে পাড়ার সগোল মেইয়ে মান্ষির সাতে মিশে কত কী যে কত্তাম! কদিন ধইরে কত চিড়ে কোটতাম ঢেকিতে। সারা দিনরাত্তির চাদ্দিকে শুদু ঢেকির ঢপ্ ঢপ্ শব্দ শোনা যেতা।
ঃ পয়লা বৈশাখে কী করতে?
সাহাবউদ্দিন জানতে চায়।
ঃ সেডাই তো কোতিচি। ভোর হবার সাতে সাতে চাদ্দিক শোনা যেতো শুদু আনন্দ আর আনন্দ! আনন্দের মেলা। কত কী সব, কইয়ে তা শেষ কত্তি পারা যাবে না। ভোরেত্তে গেরামে গেরামে মেলা বসতো। সে মেলায় কতো কিচিমের জিনিস বিক্কিরি হতো। মাটির জিনিস। কাচের চুরি। নাকের নোলক। কানের দুল।...
হঠাৎ করে দাদিকে থামিয়ে দিয়ে সাহাবউদ্দিন বলে ঃ এসব জিনিস দাদা তোমারে কিনে দিতে না?
দাদি পরম উৎসাহের সাথে বললেন ঃ শুদু কি এসব? আল্তা, কাকুই, চুলির রেশমি ফিতে কত কী যে! সে কি সব এ্যাকোন মনে আচে? আর মেলত্তে কেনার মদ্যি তার আনন্দডাইরে আলাদা সাবদ্দি!
দাদি এবার একটুখানি মুচকি হাসেন। তারপর আবার বলেন ঃ কতো রওম খাবার পাবা যেতো। কত রওম খেলনা। কত রওমের খেলা হতো মেলায়। চরকি খেলা, নাগরদোলা, টকি, বাইস্কোপÑ আরও কত কী। এসব তো সারা দিনগার বেপার। বিকেলে হতো নাটিখেলা, নৌকো বাইচ, ষাঁড়ের নোড়াই-আরও কত কী। সব কি এ্যাকোন মনে আচে? মেলায় কিন্তুক আরও এট্টা সোন্দর জিনিস ছেলো।
সাহাবউদ্দিন আগ্রহী হয়ে জানতে চায় ঃ কী দাদি?
দাদি বলেন ঃ জারিগান আর কবিগান। এদুটো না হোলি যেন মেলাই জমতো না। মেলার একদিকি জুড়ে সারাডা দিন এই গান চলতো। হাজার হাজার নোক সারাডাদিন বইসে এই গান শুন্তি থেক্তো। হামিজদ্দি গাইয়েন, বাবুরালি দোপাদার বোয়াতিÑ এগা কোতা ককোনো কি ভুল্তি পারা যায়? বাগ নোলতা আর তোকের মেলায় এগা গান ছাড়া মেলাই জইম্তো না। দেবিশওরের বাবুগা মেলার কবিগানের সে দিশ্য মনে হলি...
ঃ দাদার সাথে তুমি কি মেলায় যেতে দাদি?
রসালভাবে প্রশ্ন করে সাহাবউদ্দিন।
দাদি মুখ ঝামটা দিয়ে বলেন ঃ তুই বড় প্যাচোল পাড়তি জানিস। মেলায় যে কত ভিড় হতো, তুই কি ভাবতি পারিস? কত মানুষ যে এস্তো মেলায়।
সাহাবউদ্দিন এবার একটু দুষ্টুমি করার মত করে প্রশ্ন করলো ঃ একটা কথা সত্যি করে বলবা দাদি?
দাদি মুখ তুলে জানতে চাইলেন ঃ কী?
সাহাবউদ্দিন বললো ঃ শুনেছি, এ রকম একটা পয়লা বৈশাখের মেলাতে যেয়ে দাদা নাকি তোমারে দেখে পছন্দ করেছিল। সত্যি নাকি দাদি?
বুড়ো বয়সেও একটু লজ্জিত হলেন দাদি। নাতির পিঠে ধুম্সো একটা কিল দিয়ে বললেন ঃ তুই তো ভারী ফাজিল হইচিস সাবু। এসব কোতা তোরে কেডা কোয়েচে?
সাহাবউদ্দিন দুষ্টুমি করে বলে ঃ আমি শুনিচি দাদি। ছোটকালে তুমি নাকি খুব সুন্দর ছিলে। দাদা তাই...
সাহাবউদ্দিনকে কথাটা শেষ করতে না দিয়ে দাদি প্রশ্ন করেন ঃ হ্যারে সাবু, তুই তো টাওনে থাকিস। ঢাকায়। ওকানে বৈশেকের মেলা হয় না?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ হ্যা দাদি, হয়। খুব বড় বৈশাখি মেলা হয়।
দাদি আগ্রহের সাথে জানতে চান ঃ কিরাম মেলা হয়রে সাবু?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ দাদি, এটা তো ফাল্গুন মাস। আর এক মাস পরেই আসবে নতুন বছর। এবার তোমাকে আমি নিয়ে যাব ঢাকাতে বৈশাখি মেলা দেখার জন্য। যাবে তুমি দাদি?
দাদি কোনো জবাব দেন না। মনে মনে তারও সখ হয়, ঢাকার বৈশাখি মেলা দেখার জন্য। তাঁর ছোটবেলার বৈশাখি মেলার সে সব এখন আর নেই। তবু কিছু আছে গ্রামে। সব হারিয়ে যায়নি সম্পূর্ণভাবে। কিন্তু শহরের বৈশাখি মেলা কেমন, দেখতে মনে মনে ইচ্ছে হচ্ছে দাদির। কিন্তু বুড়ো বয়সে এ সখের কথা নাতিকে বলতে যেন কেমন শরম হয় তার। তবু নাতি যখন বলছে, দাদি না করেন না।
নাতির সাথে ঢাকায় বেড়াতে এসেছেন দাদি। পয়লা বৈশাখে নাতির সাথে বের হয়েছেন নববর্ষের মেলা দেখতে।
কাকরাইল গেট দিয়ে ঢুকলেন রমনা পার্কে। লোকে লোকারণ্য। এত লোক দেখে খুব ভাল লাগলো দাদির। ঢাকাতে যে এত বড় নববর্ষের মেলা জমে, দাদির জানা ছিল না। ফেলে আসা দিনগুলির কথা মনে করতে করতে নাতির হাত ধরে হাঁটছেন দাদি। সব রকমের মানুষ এসেছে মেলায়। নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর-কিশোরীÑসবাই। কত রকম রঙিন সাজে। রঙিন আনন্দ আর খুশিত।
সবার হাতে কিছু না কিছু আছে।
বড়দের হাতে খাবার। ছোটদের হাতে রঙিন বেলুন। কত রকম খেলনা। এসব দৃশ্য খুব ভাল লাগছে দাদির।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালেন দাদি। বললেন ঃ এইডা কী নাতি?
সাহাবুদ্দিন বললো ঃ কোনটা?
দাদি সামনের দিকে দেখিয়ে বললেন ঃ বেশরম মেইয়েডা এতগুলান মরদরে মাটির সান্কিতে কী খাবায়?
সাহাবউদ্দিন হো হো করে হেসে উঠলো। বললো ঃ এই কথা দাদি? ওরা পান্তা ভাত খায়। ওরা সবাই এই শহরের বড়লোকের ছেলেমেয়ে।
দাদি অবাক হলেন। দু’চোখ কপালে তুলে প্রশ্ন করেন ঃ পান্তা ভাত খায়! বাঃ বাঃ। বেশ সোন্দর। তোগা টাওনের মাইন্ষে এ্যাকোনো তালি পান্তা ভাতরে ভুলিনি। আমার যে কী খুশি নেগ্দেচে! তা, পান্তা ভাত খাতি একানে এয়েচে কেন? বাড়ি বইসে খালি তো হয়।
আবার হো হো করে হেসে ওঠে সাহাবউদ্দিন। বলে ঃ তুমি কী যে কও দাদি। বাড়িতে ওরা কখনো পান্তা ভাত খায় নাকি?
দাদি অবাক হয়ে বলেন ঃ তালি!
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ প্রতি বছর এই দিনে এখানে এসে এরা এমনি করে পান্তা ভাত খায়।
দাদি বলেন ঃ কেন?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ ওরা যে বাঙালি, এইদিন সেটা ওরা দেখাতে চায়।
দাদি বলেন ঃ তালি সত্যিই কি ওরা বাঙালি?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ বাঙালি তো বটেই। ওরা সবাই তো এদেশের সন্তান।
দাদি বলেন ঃ তালি আবার পেরমান দিতি চায় কেন? আসলে তোর কোতা সত্যি না নাতি।
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ কী কথা?
দাদি বলেন ঃ ওরা এদশের মানুষ হোলি কী হবে? মনে-পেরাণে ওরা সব বিদেশি হইয়ে গেচে। দশজনের সম্মুকি ওরা সেই অপরাধডা ভোলার জন্যি ওরা...
সাহাবউদ্দিন বাধা দিয়ে বলে ঃ তুমি কী যে কও দাদি।
দাদি বলেন ঃ নালি কী? আর ওই মেইয়েডাবা কেন্দার? বে-শরমের মতন বইসে বাড়ির এতগুলান মরদরে মাঠে বইসে পান্তা ভাত খাবাচ্ছে। ছিঃ ছিঃ! কী বেহায়া! নাজ-শরম একটুও নি বউডার?
সাহাবউদ্দিন আবার হো হো করে হেসে ওঠে। বলে ঃ এটা তুমি কী কও দাদি? ও মেয়েটা তো ওদের বাড়ির বউ না।
দাদি অবাক হয়ে জানতে চান ঃ ত্যাবে কেডা?
ঃ ওই মেয়েটা পান্তা ভাতের দোকান দিয়েছে। প্রতি সান্কি পান্তাভাত বিক্রি করে দেড়শ’ টাকা-দু’শ’ টাকা।
দাদির কন্ঠে এবার সহানুভূতি ঝরে পড়ে। বলেন ঃ আহা! মেইয়েডা বোদয় খুব গরিব! তাই ওরা পান্তাভাত বিক্কিরি কোত্তেচে। তাই না সাবু?
সাহবুদ্দিনের খুব মজা লাগে দাদির কথা শুনে। বলে ঃ না দাদি, তোমারে নিয়ে আর পারা গেল না। মেয়েটা গরিব হবে কেন? ও আমাদের চেয়েও বড়লোকের মেয়ে।
দাদি অবাক হন ঃ তালি পান্তা বিক্কিরি কোত্তেচে কেন?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ সক।
দাদি জিজ্ঞাসা করেন ঃ কের সক?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ নববর্ষ। বৈশাখি মেলার সখ।
দাদি বিরক্ত হয়ে বলেন ঃ নাতি মারি তোগা এসব সকের মুকি। নতুন বচরে তোরা এমনি কইরে ভোন্ডামি করিস? এট্টুও নোজ্জা নি তোগা? ছিঃ! আর কই ওই বেহায়া মেইয়েডারে। ঘরে তোর বাপ-মা নি? মাটের মদ্যি বইসে হাজার হাজার বেগানা মরদরে হাতে কইরে পান্তা খাবাস। তাগা সাতে ঢঙ করিস। ছিঃ! ছিঃ! নাতি, একানে আর থাক্পো না। চল্, আরেকদিক যাই।
প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে নাতির হাত ধরে ধীরে ধীরে হাঁটতে হাঁটতে বাংলা একাডেমির কাছে এসে পৌঁছালেন দাদি। হঠাৎ থেমে সাহাবউদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ওরা কারারে নাতি?
সাহাবউদ্দিন বললো ঃ কাদের কথা বলছো দাদি?
দাদি বললেন ঃ ওইযে ডাঙর ডাঙর বেটা-বেটিরা কেন্দার কইরে পতের মদ্যি দাড়াইয়ে ভূত-পেত্নীর মতন নাচানাচি কোত্তেচে?
সাহাবউদ্দিন বললো ঃ পয়লা বৈশাখে ওরা আনন্দ করছে।
দাদি বললেন ঃ কিন্তুক সগ্গুলির গায় এসব চোক্রা-মোক্রা জামা-পেষাক কেন? আর মাতায়-মুকির মদ্যি ওগুনো সপ কী পইরেচে?
সাহাবউদ্দিন বললো ঃ ওগুলোরে কয় মুখোশ।
দাদি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন ঃ মুকোশ না কি যে তুই কলি? কিন্তুক ওইসব পইরে ওরা এমন শেল, কুকুর, হাতি, বান্দর, কচ্ছম, সাপ, বেজিÑএসপ সেজেচ ক্যানো?
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ ওরা নববর্ষে আনন্দ করছে।
দাদি বিরক্ত হয়ে বললেন ঃ তাই বইলে এইসব জীব-জন্তু-জানোয়ারের সাজ কইরে? এতে ওগা নোজ্জা-শরম আসে না?
সাহাবুদ্দিন বলে ঃ কিসের শরম?
দাদি আরও বিরক্ত হয়ে বললেন ঃ মাইন্ষের জাত হইয়ে জন্তু-জানোয়ার হোতি চায়? আসলে আমি বুচতিচি, ওরা জগতে মানুষ হইয়ে বেচে থাক্তি চায় না। চায় জন্তু-জানোয়ার হোতি। নতুন বচরে তাই চায় ওরা আল্লা মাবুদির কাচে। আর সে জন্যিই তো সোমজডা আইজ এমনি হইয়ে যেতেচ। সব যেন জন্তু-জানোয়ার।
ধাক্কা দিয়ে দাদিকে থামিয়ে দেয় সাহাবউদ্দিন। বলে ঃ থামো দাদি, ওরা শুনে ফেলবে।
দাদি বলেন ঃ শুনুক, শুনলি কী হবে?
সাহাবউদ্দিন হেসে বলে ঃ তোমারে পিটায়ে তক্তা বানিয়ে দেবে। ওদের তুমি চেনো না।
দাদি বলেন ঃ তা দিতি পারে। জীব-জন্তুরা কী-না পারে?
তারপর কিছুক্ষণ থেমে বলেন ঃ চল্ নাতি।
সাহাবউদ্দিন জিজ্ঞাসা করে ঃ কোথায় যাবে দাদি?
দাদি বলেন ঃ আমি গেরামে চইলে যাবো। তোগা শওর আমার আর ভাল নাগে না। শওরে আমারে নে আলি তোগা নতুন বইশেকের মেলা দেকাতি। যা দ্যাকলাম। মেলার নাম কইরে তোরা যা করিস। থুঃ! ঘেন্না!!
সাহাবউদ্দিন জিজ্ঞাসা করলো ঃ কিন্ত দাদি, গ্রামে কি আগের মত বৈশাখি মেলা হয়?
দাদি বললেন ঃ আগের মতন হয় না ঠিক। কিন্তুক তোগা শওরের মতন এমন বেহায়া-বেশরম সেকানে হয় না।
সাহাবউদ্দিন বলে ঃ ঠিক আছে, তুমি যেও। কিন্তু বৈশাখ মেলায় যখন এসেছো, চলো দাদি, আর একটু ঘুরে দেখি।
ক্ষেপে ওঠেন দাদি ঃ দেক্তি হয়, তুই দেক্। আমি আর এক দন্ড থাক্পো না তোগা এই নরকপুরীতি।
ঘুরে দাঁড়ান দাদি। খুব নিচু স্বরে একা একা বলেন, হায়রে! সেই আগের কালের দিনগুনো যদি আবার ফিরে পাতাম!