ড. মোহাম্মদ ওমর ফয়সল

হজ্ব ও কুরবানি আল্লাহর প্রেমে আত্মসমর্পণের এক মহাযাত্রার পাশাপাশি বিনিয়োগ, উৎপাদন, বণ্টন ও পুনর্বিনিয়োগের এক চক্রাকার ধারা। এ দুটি ইবাদত আত্মশুদ্ধির সাথে সাথে সমাজ, রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও গভীর প্রভাব ফেলে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মুসলমান হজ¦ পালন করতে গিয়ে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করেন, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অন্যদিকে, কুরবানিকে ঘিরে পশু ক্রয়, পরিবহন, খাদ্য, কসাইখানা ও বিতরণ প্রক্রিয়ায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়, যা স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙা করে তোলে। এই দুই ইবাদতের মাধ্যমে সম্পদ পুনর্বণ্টন, দারিদ্র‍্য হ্রাস এবং সামাজিক সংহতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। আধুনিক ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার সমন্বয়ে হজ¦ ও কুরবানির অর্থনৈতিক কার্যকারিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইসলামের মৌল দর্শন হলোÑসমাজের প্রতিটি মানুষ যেন মর্যাদা, নিরাপত্তা ও কল্যাণের অংশীদার হতে পারে। এই দর্শনের বাস্তব রূপ পাওয়া যায় হজ¦ ও কুরবানি ইবাদতে, যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাধনার পরিধিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এক সুচিন্তিত ব্যবস্থাও বটে।

হজে¦র ফরজ হওয়ার শর্তই হলো ‘সামর্থ্য’, যা এটিকে উচ্চ আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে রূপান্তরিত করে। হজে¦র প্রাক্-প্রস্তুতি, সফর এবং আবাসনের প্রতিটি ধাপে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়, যা বহুমাত্রিক অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করে।

অন্যদিকে, কুরবানির মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে খাদ্য বিতরণের একটি বড় আয়োজন হয়। সাধারণত গোশতের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য গরিব মানুষের নাগালের বাইরে থাকলেও, এই ইবাদতের কল্যাণে তা তাদের ঘরে পৌঁছে যায়Ñকখনো তা সংরক্ষিত হয়, খাদ্যনিরাপত্তার প্রতীক হয়ে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনÑ‘তাদের গোশতের একাংশ খাও এবং গরিব-অভাবগ্রস্তদের খাওয়াও।’ (সুরা হজ¦, আয়াত ৩৬) এই আয়াতে কুরবানির একটি দ্বৈত উদ্দেশ্য স্পষ্ট: একদিকে নিজের জন্য ব্যবহার, অন্যদিকে সামাজিক দায়িত্ব পালন। এখানে একরকম ‘সমতা নীতির’ বাস্তবায়ন ঘটে, যা সমকালীন অর্থনীতির ভাষায় একধরনের “জবফরংঃৎরনঁঃরাব ঔঁংঃরপব” বা সম্পদের পুনর্বণ্টন।

ইসলামী জীবন দর্শনে হজ¦ ও কুরবানি কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এগুলো একাধারে নৈতিক বিনিয়োগ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং অর্থনৈতিক প্রবাহের শক্তিশালী নিয়ামক। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. ইউসুফ আল-কারযাভি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ফিকহুয যাকাহ-তে বলেছেন: ‘ইসলামী ইবাদতসমূহের মধ্যে কুরবানি এমন একটি নিদর্শন, যার মাধ্যমে গরিব মানুষ শুধুমাত্র দান গ্রহণকারী নয় বরং একটি উৎসবের পূর্ণাঙ্গ অংশগ্রহণকারী হয়ে ওঠে। এটি আত্মিক প্রশান্তির সঙ্গে সঙ্গে তার সামাজিক মর্যাদাকেও নিশ্চিত করে।’

এই ব্যাখ্যায় বোঝা যায়Ñকুরবানি দান নয়, সম্মানজনক অংশগ্রহণের একটি উদ্ভাবনী রূপ। এটি দয়া বা সহানুভূতির চেয়ে এগিয়েÑএকটি কাঠামোগত ব্যবস্থার মাধ্যমে দারিদ্র‍্য বিমোচনের শক্তিশালী কৌশল।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কুরবানির সময় যে মানবিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছেÑযেখানে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী, মাদ্রাসা ছাত্র, এতিমখানা ও দরিদ্র পরিবারে গোশত পৌঁছে দেয়Ñতা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সম্মিলিত কল্যাণচেতনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বহু দরিদ্র পরিবার এই সময় ঈদের আনন্দে শরিক হয়, খাদ্যের অভাব দূর হয় এবং আত্মমর্যাদার অনুভব বৃদ্ধি পায়।

হজে¦র ক্ষেত্রে ‘সামর্থ্য’ শব্দটি নিজেই নির্দেশ করেÑএটি ধনী শ্রেণির দায়িত্ব। হাজীদের দান-সাদাকা, সমাজসেবামূলক প্রকল্পে অংশগ্রহণ কিংবা হজ¦-পরবর্তী সময়ে নেতৃত্বে আসার প্রবণতাÑএসব দারিদ্র‍্য বিমোচনে পরোক্ষ হলেও শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। অনেকে হজ¦ থেকে ফিরে এসে দীনদারতার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়ন, দান-খয়রাত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে যুক্ত হন।

বিশ্বব্যাপী এই দুই ইবাদতের অর্থনৈতিক প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। হজে¦র সময়ে লক্ষ লক্ষ মুসল্লি সৌদি আরবে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করেন, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের সংযোগ স্থাপন করে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম হজ¦যাত্রী প্রেরণকারী দেশ হওয়ায় এই প্রবাহে সরাসরি যুক্ত।

অন্যদিকে, কুরবানির সময় বাংলাদেশের খামারি, কৃষক, পশু ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা বিপুল হারে আয় করেন। গো-খাদ্য, পরিবহন, কসাই, প্যাকেজিং, সংরক্ষণসহ অসংখ্য খাতে অর্থনৈতিক গতি সৃষ্টি হয়, যা দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ।

অতএব, হজ¦ ও কুরবানি ধর্মীয় ইবাদত; ইবাদাতের পাশাপাশি সমাজে সম্পদ বণ্টন, দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক ন্যায়ের এক সুচিন্তিত ব্যবস্থাপত্র। এই ইবাদতের মাধ্যমে আত্মিক শুদ্ধি যেমন অর্জিত হয়, তেমনি সমাজজুড়ে গড়ে ওঠে এক অর্থনৈতিক ও মানবিক ঐক্যের অপূর্ব মেলবন্ধন।

হজ¦ ও কুরবানির ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান মুসলিম সমাজে গভীরভাবে প্রোথিত, তবে এগুলোর অর্থনৈতিক প্রভাবও ব্যাপক ও বহুমাত্রিক। নিম্নে হজ¦ ও কুরবানির অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো:

  • হজ¦ ও কুরবানির মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবাহ : প্রতি বছর হজ¦ ও কুরবানির মৌসুমে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবাহ ঘটে। পরিবহন, আবাসন, খাদ্য, পোশাক ইত্যাদি খাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উদ্দীপিত করে।
  • কর্মসংস্থান সৃষ্টি : হজ¦ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রায় ৩,৫০,০০০ অস্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এছাড়া, কুরবানির মৌসুমে পশু পালন, পরিবহন, জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ খাতে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে।
  • হজ¦ ও কুরবানির জন্য সঞ্চয় সংস্কৃতি: হজ¦ ও কুরবানির জন্য মুসলিমরা দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় করে, যা ইসলামী ব্যাংকিং ও শরিয়াহ-সম্মত বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়। মালয়েশিয়ার তাবুং হাজি এই সঞ্চয় সংস্কৃতির সফল উদাহরণ।
  • খাদ্য নিরাপত্তা ও দান: কুরবানির মাংস দরিদ্র ও পুষ্টিহীন জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।
  • অবকাঠামো উন্নয়ন: হজ¦ মৌসুমে সৌদি আরবে অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ হয়, যেমন মসজিদ সম্প্রসারণ, রেলপথ, বিমানবন্দর উন্নয়ন ইত্যাদি, যা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।
  • আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পর্যটন: হজ¦ ও কুরবানির মৌসুমে আন্তর্জাতিক পর্যটন ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিমরা হজে¦ অংশগ্রহণ করে, যা বিমান সংস্থা, হোটেল, রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি খাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ায়।
  • পশুপালন খাতের উন্নয়ন: কুরবানির চাহিদা পশুপালন খাতে বিনিয়োগ ও উন্নয়নকে উৎসাহিত করে। এটি গ্রামীণ অঞ্চলে পশুপালনকে লাভজনক করে তোলে এবং কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করে।
  • অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও ইসলামী অর্থনীতি: হজ¦ ও কুরবানি ইসলামী অর্থনীতির ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব ও সংহতির মূলনীতিগুলোকে বাস্তবায়ন করে। এই আচারগুলো সম্পদের সুষম বণ্টন ও সামাজিক সমতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করে।
  • গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্পদ স্থানান্তর: কুরবানির মাধ্যমে শহরাঞ্চলের ধনী মুসলিমদের থেকে গ্রামীণ পশুপালকদের কাছে সম্পদ স্থানান্তর ঘটে। এই প্রক্রিয়া গ্রামীণ অর্থনীতিতে নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং দারিদ্র‍্য বিমোচনে সহায়তা করে।
  • চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের বিকাশ: কুরবানির সময় সংগৃহীত চামড়া বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের জন্য প্রধান কাঁচামাল। এটি দেশের মোট চামড়া রপ্তানির ৬০% সরবরাহ করে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই দুটি ইবাদতের অর্থনৈতিক গুরুত্ব সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হতে হলে কিছু প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে হবে। যেমন, হজ¦যাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সরলীকৃত ও অধিক সংখ্যক মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ব্যবস্থা গঠন, কুরবানি পশুর যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন। এর পাশাপাশি, ব্যবসায়িক খাতের উন্নয়ন, খামারিদের সহযোগিতা এবং শ্রমিকদের প্রতি ন্যায্য মূল্যায়নও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেনÑ “যাতে তারা তাদের জন্য সুবিধাজনক পন্থায় আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে, যেভাবে তিনি তাদের পশু দিয়ে জীবিকা দিয়েছেন।” (সুরা হজ¦, আয়াত ২৮)

এখানে আল্লাহ তাআলা কুরবানির উদ্দেশ্য ও এর সাথে সম্পর্কিত শর্তাবলী তুলে ধরেছেন, যাতে মুসলিমরা পরিপূর্ণভাবে এটি পালন করতে পারে। একইভাবে, হজে¦র মাধ্যমে ধর্মীয় সচেতনতা অর্জনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে হজ¦ ও কুরবানির ব্যবস্থা, প্রতিটি মুসলিম দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির বৃদ্ধি ও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হজ¦ ও কুরবানির অর্থনৈতিক প্রবাহের বৈশ্বিক প্রভাব এবং এর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিকগুলো নিয়ে আরও বিশদভাবে আলোচনা করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে ইসলামী অর্থনীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায়। ফলে, হজ¦ ও কুরবানি মুসলিম বিশ্বের শুধু ধর্মীয় দায়িত্বই নয়, তা একটি অর্থনৈতিক কাঠামো এবং সামাজিক ন্যায়ের বাস্তব প্রতিফলন। এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এক টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব, যা সব স্তরের মানুষের উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে।

নিঃসন্দেহে হজ¦ ও কুরবানি ইসলামের এমন দুই মহান ইবাদত, যা আত্মিক পরিশুদ্ধির সীমা অতিক্রম করে এক অনন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের দ্বার উন্মোচন করে। এই দুটি বিধান কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির উপায় নয়Ñবরং তা দরিদ্র-ধনী বৈষম্য হ্রাস, সম্পদের ন্যায়সঙ্গত বণ্টন এবং সামাজিক সংহতির এক জীবন্ত কর্মধারা। কুরবানির মাধ্যমে যেখানে দরিদ্র শ্রেণি শুধু সাহায্যপ্রাপ্ত নয়, বরং সম্মানের সঙ্গে উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, হজ¦ সেখানে সৃষ্টি করে বৈশ্বিক অর্থনীতির এক শক্তিশালী প্রবাহ, যা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বহুমাত্রিক গতিশীলতা দেয়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ইবাদতদ্বয়ের সময়ে কৃষক, খামারি, শ্রমিক ও সেবাদানকারীদের জন্য যে মৌসুমি কর্মসংস্থান ও আয় সৃষ্টি হয়, তা নিঃসন্দেহে একটি অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ। সুতরাং, হজ¦ ও কুরবানিÑদুটি ইবাদতের সম্মিলন ইসলামী অর্থনৈতিক দর্শনের এক অনুপম প্রতীক, যেখানে আত্মা ও সমাজ, ইবাদত ও উন্নয়ন, দান ও ন্যায্যতা একই সুতায় গাঁথা থাকে এক অলঙ্ঘনীয় ঐক্যে।