মুফতি মুহাম্মাদ আমির হামযাহ্ সিরাজ
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। যার প্রতিটি বিধান মানুষের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণের জন্য নির্ধারিত। কুরবানি ইসলামী শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মহান লক্ষ্যে স¤পাদিত হয়। কুরবানি শুধুমাত্র পশু জবাই নয়, বরং এর মাধ্যমে আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য, তাকওয়া, ত্যাগ ও আত্মনিবেদনের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। হযরত ইবরাহিম (আঃ) ও তাঁর পুত্র ইসমাইল (আঃ) কুরবানির মাধ্যমে আল্লাহ্র আদেশ পালনের যে পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিলেন তা মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরন্তন আদর্শ। এই কুরবানির মাধ্যমে কিভাবে স্বার্থ, ভালবাসা ও স¤পদের মোহ ত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহ্র আদেশের প্রতি স¤পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হয় তা শেখা যায়।
ফার্সি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় ‘কুরবানি’ শব্দটি আরবি ‘কুরবান’ শব্দের স্থলে ব্যবহৃত হয়। যার অর্থ হচ্ছে, নৈকট্য। তাই আল্লাহ্ তা‘য়ালার নৈকট্য অর্জনের মাধ্যমে বান্দা যে আমল করে তাকে আভিধানিক দিক থেকে ‘কুরবািন’ বলা হয়।
ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় ‘কুরবানি’ এমন একটি ইবাদত, যার দ্বারা নির্দিষ্ট সময় ও শর্তসাপেক্ষে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু যবাই করা হয়। প্রচলিত অর্থে, ঈদুল আযহার দিন আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারয়ি বিধান অনুযায়ী যে পশু যবেহ করা হয় তাকে ‘কুরবানি’ বলা হয়।
পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কুরবানি ছিল মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের কুরবানি। সেখান থেকেই কুরবানির প্রচলন শুরু হয়। আল-কুরআনে বিশদভাবে সে ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, আর আদমের দুই ছেলের কাহিনী আপনি তাদেরকে যথাযথভাবে শোনান। যখন তারা কুরবানি করেছিল, তাদের একজনের কুরবানি কবুল করা হলো এবং অন্যজনেরটা প্রত্যাখ্যান করা হলো। সে বলল, অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করবো। অন্যজন বলল, আল্লাহ্ তো কেবল মুত্তাকিদের পক্ষ থেকেই কবুল করেন। [সূরা মায়িদা : ২৭]।
তাফসিরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ আছে যে, হযরত আদম ও হাওয়া (আ.)-এর মাধ্যমেই পৃথিবীতে বংশ বিস্তার আরম্ভ হয়। হাওয়া (আ.) প্রতি গর্ভ থেকে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান এরূপ যমজ সন্তান জন্মগ্রহণ করত। তখন শরিয়তের বিধান ছিল, একই গর্ভ থেকে যে যমজ পুত্র ও কন্যা জন্মগ্রহণ করবে, তারা পর¯পর সহোদর ভাই বোন। তাদের মধ্যে বৈবাহিক স¤পর্ক হারাম। কিন্তু পরবর্তী গর্ভের পুত্রের জন্য প্রথম গর্ভে জন্মগ্রহণকারিণী কন্যা সহোদরা বোন নয়। তাদের মধ্যে পর¯পর বিবাহবন্ধন বৈধ।
ঘটনাক্রমে কাবিলের সহোদরা বোন ছিল পরমাসুন্দরী এবং হাবিলের সহজাত ছিল অপেক্ষাকৃত কম সুন্দরী। বিয়ের সময় হলে নিয়মানুযায়ী হাবিলের সহজাত বোন কাবিলের ভাগে পড়ে। এতে কাবিল অসন্তুষ্ট হয়ে হাবিলের শত্রু হয়ে যায়। সে জিদ ধরে বলল, আমার সহজাত বোনকে আমার সঙ্গে বিবাহ দিতে হবে। আদম (আ.) তার শরিয়তের আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কাবিলের আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন। কাবিল তার সিদ্ধান্তে আটল। সে তার বক্তব্য থেকে সরে আসতে নারাজ।
এতে উভয়ের মাঝে মতভেদ দেখা দেয়। এ মতভেদ নিরসন করার উদ্দেশ্যে হযরত আদম (আ.) বললেন, তোমরা উভয়েই আল্লাহ্র নামে কুরবানি পেশ করবো। যার কুরবানি গৃহীত হবে, সে ওই কন্যাকে বিবাহ করতে পারবে। আদম (আ.) নিশ্চিত ছিলেন, যে সৎ পথে আছে, তার কুরবানিই গৃহীত হবে। তখন কুরবানি গৃহীত হওয়ার একটি সু¯পষ্ট নিদর্শন ছিল, আকাশ থেকে একটি অগ্নিশিখা এসে কুরবানিকে ভস্মীভূত করে ফেলত। যার কুরবানি ভস্ম করত না, তা প্রত্যাখ্যাত হিসাবে গণ্য হতো।
হাবিল ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি লালন-পালন করত। তাই সে একটা উৎকৃষ্ট দুম্বা কুরবানি হিসাবে পেশ করল। আর কাবিল কৃষিকাজ করত। সে কিছু শস্য, গম ইত্যাদি কুরবানির জন্য পেশ করল। নিয়মানুযায়ী আকাশ থেকে আগুন এসে হাবিলের কুরবানিটি জ্বালিয়ে দিল এবং কাবিলের কুরবানি যেমন ছিল, তেমনই পড়ে রইল। অকৃতকার্য হলো কাবিল। তার কুরবানি গৃহীত হয়নি কিন্তু হাবিলেরটা গৃহীত হয়েছে। কবুল হয়েছে।
নিয়মমাফিক কাবিল তার সহোদরা বোনকে বিবাহ করতে পারবে না। ফলে তার দুঃখ ও ক্ষোভ আরও বেড়ে গেল। আত্মসংবরণ করতে না পেরে প্রকাশ্যে হাবিলকে হত্যার হুমকি দিল। বলল, অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করে ফেলবো। হাবিল মার্জিত ও নীতিবাক্য উচ্চারণ করে সহানুভূতি প্রকাশ করে বলল, আল্লাহ্র নিয়ম তো এই, তিনি আল্লাহভীরু মুত্তাকিদের কর্মই গ্রহণ করেন। তুমি আল্লাহভীতি অবলম্বন করলে তোমার কুরবানিও গৃহীত হতো। এটাই ছিল মানব ইতিহাসের প্রথম কুরবানি। [সূরা মায়িদাহ, আয়াত-২৭]।
আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় আমি আপনাকে হাউজে কাউসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে নামায ও কুরবানি আদায় করুন। আল্লাহ তা‘য়ালা অন্য আয়াতে বলেন, অবশ্যই আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ, সব কিছুই মহান প্রতিপালকের জন্য। [সূরা আনআম- ১৬২]
আল্লাহ তা‘য়ালা আরো বলেন- তারা কতক নির্দিষ্ট দিনে গৃহপালিত চতু®পদ জন্তুর মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করে। [সুরা হজ্ব: আয়াত- ২৮] অপর আয়াতে বলেন আল্লাহর কাছে কুরবানির পশুর গোশত ও রক্ত পৌঁছে না বরং তোমাদের অন্তরের তাক্ওয়া পৌঁছে থাকে। [সূরা হজ্ব, আয়াত- ৩৭]
হযরত আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, কুরবানির দিন পশু কুরবানির চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় আর কোন আমল নেই। কেয়ামতের দিন যবেহ করা পশুকে তার শিং ও খুরসহ হাজির করা হবে।
কুরবানির জন্তুর রক্ত জমিনে পড়ার আগেই তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা খোলা মনে এবং সন্তুষ্টি চিত্তে কুরবানি কর। [তিরমিযি শরিফ, হাদিস-১৪৯৩]
হযরত জায়েদ ইবনে আকরাম রা. বলেন, সাহাবায়ে কেরাম নবী করিম (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করেন, কুরবানি কী? নবী করিম (সা.) বলেন, ‘কুরবানি হলো তোমাদের পিতা হযরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। নবী করিম (সা.) আরো বলেন, কুরবানির পশুর প্রত্যেকটি পশমের বদলায় একটি করে সওয়াব রয়েছে। ভেড়া স¤পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, ভেড়ার প্রত্যেকটি পশমের বদলায়ও একটি করে সওয়াব রয়েছে। [মুসনাদে আহমাদ-১২৪৩]
কুরবানির মধ্যে আমাদের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে
কুকুরবানির গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা হল, আল্লাহর প্রতি তাওহিদের বিশ্বাসকে দৃঢ়, পরিপূর্ণ ও নিখুঁত করা। কুরবানি আমাদের এ শিক্ষা দেয় যে, ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ, আর কোনো কিছু ইবাদতের উপযুক্ত নয়। সুতরাং ইবাদত আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ছাড়া আর কারো, আর কোনো কিছুর ইবাদত করবো না। কোথাও উপাসনাধর্মী কোনো কাজ গায়রুল্লাহর জন্য হলে আমি তাতে শরিক হবো না।
আল্লাহ তা‘য়ালা নবীজিকে বলেন-আপনি বলে দিন, আমার প্রতিপালক আমাকে সরলপথ প্রদর্শন করেছেন, যা বিশুদ্ধ দ্বীন, ইবরাহিমের মিল্লাত, যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ এবং তিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না। আপনি বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। এরই আদেশ করা হয়েছে আমাকে এবং আমিই প্রথম আনুগত্যকারী। [সূরা আনআম:১৬১-৬৩]
এ আয়াতগুলোতে নবীজিকে নিখুঁত ও পরিপূর্ণ তাওহিদের ঘোষণা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানির পশু যবেহ করার সময় তাওহিদের এই ঘোষণা উচ্চারণ করতেন।
জাবির রা. থেকে বর্ণিত, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন দুটি দুম্বা জবাই করেছেন। তিনি যখন এগুলোকে কেবলামুখি করে শোয়ালেন তখন বললেন-আমি আমার মুখ তাঁর অভিমুখী করলাম, যিনি আসমান ও যমিন সৃষ্টি করেছেন, ইবরাহিমের মিল্লাতের ওপর, যিনি একনিষ্ঠ ছিলেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। আমার নামায, আমার কুরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ জন্য। তাঁর কোনো শরিক নেই। এরই আদেশ করা হয়েছে আমাকে এবং আমিই প্রথম আনুগত্যকারী। [সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ২৭৯৫]
২.কুরবানির আরেকটি বড় শিক্ষা হলো আল্লাহর সামনে আত্মসমর্পণ করা। তাঁর আদেশকে শিরোধার্য করা। তাঁর হুকুম-আহকাম পালনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। কুরবানির ইতিহাসে আমরা দেখেছি, ইবরাহিম আ. আল্লাহর নির্দেশে বৃদ্ধ বয়সে প্রাপ্ত একমাত্র সন্তান ইসমাঈল আ.-কে যবেহ করার জন্য খুশিমনে রাজি হয়েছিলেন।
৩. কুরবানির আরেকটি বড় শিক্ষা হলো যে কোনো নেক কাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা। কুরবানির এ শিক্ষা আয়াত ও হাদিস থেকেই আমরা পাই। অন্যত্র তা আরো পরিষ্কারভাবে এসেছে। আল্লাহ তা‘য়ালা ইরশাদ করেন- আল্লাহ্র কাছে সেগুলোর গোশত পৌঁছে না এবং সেগুলোর রক্তও না; বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। [সূরা হজ্ব : ৩৭]। হাঁ, কুরবানির পশুর কিছুই তো আল্লাহ্র কাছে পৌঁছে না। গোশত আমরা খেয়ে নিই।
রক্ত-ময়লা ফেলে দিই। তাহলে আল্লাহর কাছে কী পৌঁছে? তাঁর কাছে পৌঁছে অন্তরের নিয়ত। যদি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কুরবানি করা হয়, তাহলে এটাই তাঁর কাছে পৌঁছবে এবং তাঁর কাছে এর প্রতিদান পাওয়া যাবে। আর যদি নামদাম, লৌকিকতা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে করা হয় তাহলে তাঁর কাছে কোনো প্রতিদান পাওয়া যাবে না। মানব ইতিহাসের প্রথম কুরবানির ঘটনায়ও এ বিষয়টি উল্লেখিত হয়েছে। যখন আদম আ.-এর দুই পুত্র কুরবানি পেশ করলেন তখন একজনের কুরবানি কবুল হলো, অপরজনের কুরবানি কবুল হয়নি। এ অবস্থায় তার (যার কুরবানি কবুল হয়নি) উচিত ছিল সত্য মেনে নেওয়া, কিন্তু সে উল্টো ঈর্ষাকাতর হল এবং একপর্যায়ে অপর ভাইকে হত্যা করতে উদ্যত হলো। তখন ওই ভাই (যার কুরবানি কবুল হলো) বললেন আল্লাহ তো মুত্তাকিদের থেকেই কবুল করেন। [সূরা মায়েদা ৫ : ২
৪. কুরবানির আরেকটি শিক্ষা হলো, কোনো কাজেই এমনকি যদি অনেক বড় কোনো নেক কাজেরও তাওফিক হয়ে যায়, তবু অহংকার না করা, বরং বিনয়ী হওয়া এবং অন্তরে এই অনুভূতি থাকা চাই যে, এটা একমাত্র আল্লাহর দয়ায়ই আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। অন্যথায় আমার পক্ষে তা সম্ভব ছিল না। কুরবানির ইতিহাসে আমরা লক্ষ করেছি, ইবরাহিম আ. যখন ইসমাঈল আ.-এর কাছে নিজ স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করে তাঁর অভিমত জানতে চেয়েছিলেন তখন তিনি বলেছিলেন, “হে আমার পিতা! আপনাকে যে আদেশ করা হয়েছে তা করে ফেলুন। আপনি আমাকে আল্লাহ চাহেন তো অবশ্যই ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।” [সুরা আস-সাফফাত ৩৭: ১০২]
৫. কুরবানির আরেকটি শিক্ষা হল, সন্তানকে আল্লাহর অনুগত বানানোর চেষ্টা করা। কুরবানির ইতিহাসে আমরা দেখেছি, ইবরাহিম আ. মনে মনে এমন সন্তানের কথাই ভাবতেন এবং আল্লাহ্র কাছেও এমন সন্তানই প্রার্থনা করতেন, যে আল্লাহর পূর্ণ অনুগত হবে, আল্লাহর জন্য জীবন দিতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না। তিনি তা বাস্তবে প্রমাণ করেছেন।
কুরবানি এক মহান ইবাদত, যা আত্মত্যাগ, আনুগত্য ও তাকওয়ার অনন্য নিদর্শন।
এটি কেবল পশু যবাই নয়, বরং মনের পশুত্ব লোভ, হিংসা, অহংকার ও অবাধ্যতা যবাই করা। হযরত ইবরাহিম (আঃ) ও ইসমাঈল (আঃ)-এর সেই অবিস্মরণীয় ত্যাগের স্মরণে আমাদের জন্য শিক্ষা আল্লাহর পথে সবকিছু উৎসর্গ করার প্রস্তুতি ও সামর্থ্য অর্জনের। এই ইবাদতের মাধ্যমে আমরা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের পাশাপাশি দরিদ্র-অসহায়ের মুখে হাসি ফোটাতে পারি, সমাজে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তুলতে পারি। তাই আসুন, আমরা কুরবানির বাহ্যিক আনুষ্ঠানিকতার সাথে সাথে এর অন্তর্নিহিত শিক্ষাকেও হৃদয়ে ধারণ করি এবং নিজেদের জীবনকে যেন আল্লাহ্র নির্দেশিত পথে উৎসর্গ করতে পারি, আল্লাহ তা‘য়ালার কাছে সেই তাওফিক কামনা করি। আমাদের সকলকে কবুল করুন এবং তাঁর পথে পরিচালিত করুন।