আলোর প্রপাত

মোশাররফ হোসেন খান

ক্রমশ অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী!

হে রাসূল!

দু’হাতে আঁধারে সরিয়ে এনেছিলে আলো।

যে আলোতে আলোকিত হয়েছিল পৃথিবীর সীমা, পরিসীমা।

আজ দেখো,

তোমার সেই আলোকিত পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষ!

কিভাবে গ্রাস করছে দেখো ঘোরতর অমাবস্যা!

হে রাসূল আমার!

তোমার অধিকাংশ উম্মত এখন হিম্মত হারা।

দিকভ্রান্ত, দিশেহারা।

হে প্রিয়তম রাসূল আমার!

তুমি কি শুনতে পাও

পৃথিবী পতনের নৈঃশব্দিক ভাঙন?

বড় অসহনীয় এই আঁধার!

হে রাসূল, প্রিয়তম রাসূল আমার!

তোমার একটি পবিত্র প্রশ্বাসেই আসতে পারে আলো।

ওমরের মতো সাহসী হতে পারে তোমার অনুগত উম্মত।

তবেই তো হতে পারে

আলো-আঁধারির সংঘাত।

হোক না সংঘাত,

আঁধারকে পরাজিত করে

ঘটুক পৃথিবীতে আলোর প্রপাত !

মরুভাষ্কর

শওকত আলম

বাতায়নে গুণগুণ হাওয়ার তান,

আজানের মিহিসুর পানসির ঘোর,

বাঁকা চাঁদ খুলে দেয় পৃথিবীর গোর;

চিলিকোটা ভোরপাখি মিতালির থান।

আসমান খিলখান নূরের পয়ার,

ফুলজান রূপবান তাঁরার শহর,

নীল ফুঁড়ে আটখান ভাবের নহর ;

যুগযুগ পার হয় কোকাফ ছোঁয়ার।

ঘোরকাটে স্বপ্ন ধাঁধা মেঘের পালক

বালুঝড় নিভে যায় জ্বলে স্বর্গ জ্যোতি,

ঝিলিক ছড়ায় বহর বুলবুল দ্যুতি;

মুখোমুখি বরাবর সফর ঝলোক।

আলোছাঁয়া দাঁড়িকমা ঘাট পারাপার,

মাপকাঠি জগতের পূর্ণের সাকার।

মহম্মদ নাম

সায়ীদ আবুবকর

আমিনার ঘরে এলো সেই পুণ্য নূর,

কেঁপে কেঁপে উঠলো যে বাতিলের ভিত;

মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে গেল দূর,

যেন কেউ অন্ধকারে জ্বালালো তড়িৎ;

মহম্মদÑএই নাম ছুটলো বাতাসে,

পড়লো আছড়ে দূর পারস্য ও রোমে;

জগতের বীর যত, কাঁপে ভয়ে-ত্রাসে,

ইবলিশ বরফের মতো যায় জমে;

আল্লাহর একত্ববাদ, আল্লাহর হুকুম

আল্লাহর জমিনে ফের হলো প্রতিষ্ঠিত;

হলো যে হারাম সব জালিমের ঘুম,

সত্য আজ বিশ্বময়, মিথ্যা চির মৃত।

বাতাসের আগে ছোটে মহম্মদ নাম,

সে-নামে মোহিত হলো সমস্ত মোকাম।

সল্লে আলা

মান্নান নূর

তোমার আগমনের খবর ছড়িয়েছে দিগি¦দিক

নূরের আলোয় আলোকিত হলো সকল কালো

পাখির কুঞ্জবনে সুরের লহরী, রব ওঠে-

সল্লে আলা সল্লে আলা

এ নূরের তাজাল্লীতে বিধৌত আকাশ, তারকা, চাঁদ, সুরুজ

আনন্দের ফোয়ারায় সাঁতরিয়ে অবনত মস্তকে সুর তোলে-

সল্লে আলা সল্লে আলা

সবুজ বৃক্ষাদি কতটা হৃদয়গ্রাহী বিমোহিত তোমার সৌন্দর্যফুলে

এ ঘ্রাণে মাতোয়ারা সমগ্র জাহান, এ কী প্রেম!

বাতাসে দোল খাওয়া সবুজ পাতার আড়াল থেকে ভেসে আসে-

সল্লে আলা সল্লে আলা।