টানা চার ম্যাচে ব্যর্থতার পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল লিভারপুল। শনিবার রাতে অ্যানফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছে আর্নে স্লটের দল। তবে আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন দলের তারকা ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ, যিনি এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে একক ক্লাবের হয়ে সর্বাধিক গোল-অবদানের দিক থেকে ওয়েইন রুনির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন।

ইংলিশ লিগে টানা চার পরাজয় ও ইএফএল কাপে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে বিদায়ের পর প্রবল চাপ নিয়েই মাঠে নামে লিভারপুল। ম্যাচের শুরুতেই সেই চাপ আরও বেড়ে যায়, কারণ অ্যাস্টন ভিলার মরগান রজার্স দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন। তার একটি শট পোস্টে লাগে, আরেকটি দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জর্জি মামারদাশভিলি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে একিতিকের হেডে পাওয়া গোলটি ভিএআর বাতিল করে দিলে হতাশ হয় অ্যানফিল্ডের দর্শকরা। কিন্তু যোগ করা সময়ে ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের ভুলেই আসে ম্যাচের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। তার ভুল পাস প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে পেরিয়ে সরাসরি সালাহর পায়ে পৌঁছায়, আর মিশরীয় ফরোয়ার্ড ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়ান। এটাই ছিল তার লিভারপুল ক্যারিয়ারের ২৫০তম গোল।

বিরতির পর ৫৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। রায়ান গ্রাভেনবার্গের নেওয়া শট ভিলা ডিফেন্ডার পাও তোরেসের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায়। শেষ দিকে সালাহর আরও একটি শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ইয়ান মাস্তেন, তবে ভিলা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।

এই জয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে লিভারপুল। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে সাত পয়েন্টে পিছিয়ে স্লটের দল এখন ফের ফর্মে ফেরার আশায়। অন্যদিকে, গোল খরায় ভুগতে থাকা অ্যাস্টন ভিলা দশ ম্যাচে মাত্র নয় গোল করতে পেরেছে — যা উনাই এমেরির সময়কার সবচেয়ে খারাপ পরিসংখ্যান।

সালাহর গোল ও অ্যাসিস্ট মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২৭৬টি গোল-অবদান রয়েছে লিভারপুলের হয়ে — ১৮৮ গোল ও ৮৮টি অ্যাসিস্ট। এতদিন এই রেকর্ড এককভাবে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ওয়েইন রুনির। রেকর্ডের দিনটিতে দলকে জয় এনে দিয়ে অ্যানফিল্ডের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পান সালাহ।