নারী ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস রচনা করল ভারত। রবিবার (২ নভেম্বর) নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।
এই ঐতিহাসিক জয়ে ভারত পেয়েছে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি— ৪৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। এটি ২০২২ সালের নারী বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নের পুরস্কারের তুলনায় প্রায় ২৩৯ শতাংশ বেশি, এমনকি ২০২৩ সালের পুরুষ বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্ত অর্থের চেয়েও বড় অঙ্ক।
আইসিসি এবারের নারী বিশ্বকাপের মোট পুরস্কার তহবিল নির্ধারণ করেছে ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫৩ কোটি), যা পুরুষদের ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারের চেয়ে অনেক বেশি।
ফাইনালে হারলেও রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা)। সেমিফাইনালে বিদায় নেওয়া দুই দল পেয়েছে ১.১২ মিলিয়ন ডলার করে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা দলগুলোর পুরস্কার নির্ধারিত হয়েছে ৭ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ নারী দল লিগ পর্বে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে থেকে পেয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ডলার, পাশাপাশি পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচ থেকে অতিরিক্ত ৩৪ হাজার ৩১৪ ডলার অর্জন করেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্ত অর্থ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩১৪ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৯০ লাখ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী বিশ্বকাপের ক্রমবর্ধমান আর্থিক পরিসর ক্রিকেটে নারীদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছে। এই পুরস্কারের পরিমাণই প্রমাণ করে— বিশ্ব ক্রিকেট এখন লিঙ্গ সমতার নতুন দিগন্তে প্রবেশ করছে।