শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস তৃতীয় ম্যাচটি পরিত্যাক্ত হয়েছে। ফলে ২-০তে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইনিংসের সময় দুই দফায় বৃষ্টি হয়েছে। তাতে পুরো ২০ ওভার খেলা হয়নি প্রথম ইনিংসে। ডিএল মেথডে ম্যাচের ফলাফলের জন্য নেদারল্যান্ডসকে অন্তত ৫ ওভার খেলতে হতো। সেই সময়টুকুও দেয়নি বৃষ্টি! বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে ১৮ ওভার ২ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লিটন দাস। আগের দুই ম্যাচেই টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করেছিল বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচেই দেড়শ রানও করতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। তাতে ছোট লক্ষ্য সহজেই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ব্যাটারদের তেমন একটা পরীক্ষা দিয়ে হয়নি। তাই গতকাল আগে ব্যাটিং করায় নিজেদের শক্তিমত্তা যাচাইয়ের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। নিয়মিত দুই ওপেনার বিশ্রামে থাকায় আজ ইনিংস ওপেন করেন লিটন দাস ও সাইফ হাসান। সাইফ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ৮ বলে ১২ রানে ফিরেছেন তিনি। তবে আরেক প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তুলেন লিটন।

অধিনায়কের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ভালো শুরু থামিয়েছে বৃষ্টি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের খেলার সময় হানা দেয় বৃষ্টি। বৃষ্টির পর উইকেট কিছুটা স্লো হয়। তাতে রান তুলতে বেশ বেগ পেতে হয় ব্যাটারদের। তারপরও এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাটিং করেছেন লিটন। বৃষ্টির পরপরই ব্যাক্তিগত ফিফটির দেখা পান তিনি। ২৭ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন অধিনায়ক। লিটন এক প্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে বেশ ভুগেছেন তাওহিদ হৃদয়-শামিম হোসেনরা। ১৪ বলে ৯ রান করেছেন হৃদয়। আর শামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২১ রান। ফিফটির পর কিছুটা ক্লান্ত ছিলেন লিটন। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৭৩ রান এসেছে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছেন নুরুল হাসান সোহান ও জাকের আলি। সোহান ১১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থেকেছেন, আর জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই রান তাড়া করে জিতেছে টাইগাররা।

সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমবারের মতো আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ১৮.২ ওভারে বাংলাদেশ ১৬৪ রান তোলার পর দ্বিতীয়বারের মতো বৃষ্টি আবার হানা দেয়। এরপর আর মাঠে নামতে পারেনি বাংলাদেশ।