যে ক্লাবের হয়ে ক্যারিয়ারের শেষভাগে মধুর স্মৃতির বদলে শুনতে হয়েছিল দুয়োধ্বনি, সেই প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। অনেকেরই আশা ছিল, সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে হয়তো এবার নিজের জাত চেনাবেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গতকাল রাতে আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের বিপক্ষে সম্পূর্ণ নিস্প্রভ ছিলেন মেসি। পিএসজি একতরফাভাবে ম্যাচটি জিতে নেয় ৪-০ ব্যবধানে।

রোববার (২৯ জুন) অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথমার্ধেই সব কিছু নির্ধারিত হয়ে যায়। মাত্র ৬ মিনিটে পর্তুগিজ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। এরপর ৩৯ মিনিটে আবারও নেভেস ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৪৪ মিনিটে ইন্টার মায়ামির তমাস আভিলেস আত্মঘাতী গোল করলে স্কোরলাইন হয় ৩-০। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আশরাফ হাকিমি চতুর্থ গোলটি করে নিশ্চিত করেন পিএসজির বড় জয়।

পিএসজির প্রভাব ছিল পুরো ম্যাচজুড়েই। বল দখলে তারা ছিল ৬৭ শতাংশ, নিয়েছে ১৯টি শট যার মধ্যে ৯টি ছিল অন টার্গেট। বিপরীতে মায়ামি মাত্র ৩টি অন টার্গেট শট নিতে পেরেছে ৭টি প্রচেষ্টায়।

তবে ম্যাচ শেষে আবেগঘন কিছু মুহূর্তও দেখা গেছে মাঠে। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে করমর্দন, আলিঙ্গন এবং জার্সি বিনিময়ে দেখা গেছে মেসিকে। পিএসজি ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমির সঙ্গে জার্সি বদল করেছেন তিনি। ওসমান ডেম্বেলে, ডোনারুমা এবং পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে মুহূর্তগুলো ছিল অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী।

এদিকে এই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পিএসজি। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে জার্মান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। তারা একই রাতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে ৪-২ গোলে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করেছে।