কিলিয়ান এমবাপ্পের রিয়াল মাদ্রিদে যোগদানের পর থেকেই দলের মূল একাদশে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর গুরুত্ব কমতে থাকে। ধীরে ধীরে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জনও জোরদার হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি তার জন্য লোভনীয় প্রস্তাব দিলেও তখন রিয়াল রাজি হয়নি।
তবে কোচিং পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি বদলেছে। জাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কোয়াডে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদ। শিগগিরই পাঁচজন ফুটবলারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন রদ্রিগো ও এন্দ্রিক।
অন্যদিকে, নতুন মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটিতেও পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। স্যাভিনহোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, আর জ্যাক গ্রিলিশের এভারটনে যাওয়ার সম্ভাবনাও জোরালো। ইতিমধ্যে স্যাভিনহোর জন্য প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছে টটেনহ্যাম। ফলে বিকল্প খেলোয়াড় হিসেবে রদ্রিগোর নাম আবারও আলোচনায় এসেছে।
পেপ গার্দিওলা দীর্ঘদিন ধরেই রদ্রিগোর ভক্ত। গত মৌসুমেও তাকে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির অধীনে থাকা রিয়াল তাতে রাজি হয়নি। এবার নতুন কোচের অধীনে রদ্রিগোকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ক্লাবটি আরও উন্মুক্ত।
ইউরোপীয় গণমাধ্যমের খবর, রদ্রিগো যদি বিদায় নিতে চান, রিয়াল বাধা দেবে না। তবে তার জন্য ১০০ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফি চাইছে তারা। সিটি যদি স্যাভিনহোকে বিক্রি করে, তাহলে রদ্রিগোকে দলে ভেড়ানোর পথও পরিষ্কার হবে।
এর আগে আর্সেনাল ও লিভারপুলও রদ্রিগোকে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। যদিও লিভারপুল এখন লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, আর্সেনাল এখনও আগ্রহ ধরে রেখেছে। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলিয়ান তারকার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।