তৃণমূলে বেসবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার বিস্তৃতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশন।১২টি দল নিয়ে ধানমন্ডির রিয়া গোপ মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ জাতীয় নারী বেসবল চ্যাম্পিয়নশিপ। তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় এবার নতুনত্ব এসেছে। আগের প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজন করা হতো শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রিক দল নিয়ে। এবার প্রথমবারের মতো ঢাকার বাইরে দল নিয়ে হচ্ছে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ। দুটি সার্ভিসেস দল (বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি এবং বাংলাদেশ পুলিশ), ঢাকা ও ঢাকার বাইরের চারটি ক্লাব (চট্টগ্রাম বেসবল ক্লাব, স্যান্ড এঞ্জেলস বেসবল ক্লাব, সাভার কমিউনিটি ক্লাব ও জয়পুরহাট বেসবল-সফটবল ক্লাব) ও ঢাকাসহ ছয়টি জেলা দল (ঢাকা, জয়পুরহাট, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, চাঁদপুর ও কুষ্টিয়া) প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। তৃণমূলে বেসবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার বিস্তৃতি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, এবার নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতি ম্যাচে খেলোয়াড়ের নগদ অর্থের পুরস্কারও দেওয়া হবে। বুধবার জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের। এ সময় সিনিয়র সহসভাপতি ডা. অনুপম হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহাগ।বাংলাদেশের বেসবলকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও প্রতিষ্ঠিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাউথ এশিয়ান বেসবল-সফটবল এসোসিয়েশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. অনুপম হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাউথ এশিয়ান গেমসে বেসবলকে আমরা অর্ন্তভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর দেশে তৃণমুল পর্যায়ে বেসবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।’ বেসবল অ্যাসোসিয়েশনের আগের কমিটি কোনো হিসাব দেয়নি বর্তমান কমিটিকে। এমন অভিযোগ করে নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন সোহাগ বলেন, ‘তারা (আগের কমিটি) শুধু আমাদের চাবিটাই দিয়ে গেছেন। ব্যাংক হিসাবটা পর্যন্ত দেয়নি আমাদের। আমরা নতুন শুরু করেছি।’ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে বেসবলের নব যাত্রায় সবার সহযোগিতায় চেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের।