চলতি মাসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক মিশনে ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ লক্ষ্যে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প শুরু হওয়ার কথা ছিল ১২ এপ্রিল থেকে। তবে ১২ এপ্রিল ক্যাম্প শুরু হচ্ছে না। একদিন পিছিয়ে ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সেই বিরতি কাটিয়ে এই সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে ফিরছে টাইগাররা। জাতীয় দলের অধিকাংশ ক্রিকেটার বর্তমানে অংশ নিচ্ছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। বিশেষ করে আবাহনী লিমিটেডে থাকা জাতীয় দলের বড় একটি অংশ ১২ এপ্রিল ঐতিহ্যবাহী আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে অংশ নেবেন। ম্যাচ শেষেই তারা সিলেটে গিয়ে যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। আবাহনীর প্রধান কোচ হান্নান সরকার নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। এদিকে গতকাল বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে টেস্ট সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। দলের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। তার ডেপুটি করা হয়েছে স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। এই পেসার বাংলাদেশের হয়ে ২৮টি সাদা বলের ম্যাচে খেলেছেন। এবার তিনি ডাক পেলেন প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের দীর্ঘ ফরম্যাটের দলে। ইনজুরির কারণে সিরিজে থাকছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। আর পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) অংশ নেয়ায় লিটন থাকছেন না পুরো সিরিজে। তাসকিনের চোট নিয়ে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘বাঁ একিলিস টেন্ডনে সমস্যার কারণে তাসকিন এখন পুনর্বাসনে আছে, সিরিজে তাকে পাওয়া যাবে না।’ উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তখন শুধুমাত্র পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার সেই স্থগিত থাকা টেস্ট সিরিজটি আয়োজন করছে বিসিবি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বড় একটি অংশ রয়েছেন ডিপিএলের দল আবাহনীতে। সেই দলটির প্রধান কোচ হান্নান সরকার জানিয়েছেন, তার দলে থাকা জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ১২ এপ্রিল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ খেলেই যোগ দেবেন জিম্বাবুয়ে সিরিজের ক্যাম্পে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। যেখানে সিরিজটি ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল। তার আগে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতের মাঠে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে তামিম-সাকিবকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ এবং উভয় সিরিজেই পরাজিত হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভালো। ২০২০ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল টাইগাররা। এমনকি সর্বশেষ ২০২১ সালে হারারেতে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচেও বাংলাদেশ ২২০ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল। দুই দলের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৮টি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ৮টি এবং জিম্বাবুয়ে ৭টিতে জয়লাভ করেছে। জিম্বাবুয়ের সর্বশেষ জয়টি ছিল ২০১৮ সালে।