বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে যেসব কারণে অপসারণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি, সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে চাকরিচুত্য করা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলের নির্বাচক ছিলেন ফারুক আহমেদ। তখন থেকে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসে ফারুককে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব দেয়। যোগ দিয়েই তিনি কোচিং প্যানেলে বদল আনেন। জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার গুরুতর অভিযোগ এনে শ্রীলংকা কোচকে বরখাস্ত করেন ফারুক। শুক্রবার ফারুক আহমেদকে অপসারণের পর লিংকড ইন-এ একটি পোস্ট করেছেন হাথুরুসিংহে। লিংকডইনে হাথুরু লিখেছেন, ‘আমি সাধারণত আমার কাজকেই আমার পক্ষে কথা বলতে দেই। তবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে আবারও আলোচনায় এসেছি।' তিনি বলেন, ‘ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিসিবি সভাপতির অপসারণের একটি কারণ ছিল আমাকে বরখাস্ত করার পদ্ধতি। বোর্ডের সঙ্গে যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। মাঠে এবং মাঠের বাইরে স্বচ্ছতা, প্রক্রিয়া ও সম্মান সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’ হাথুরুকে বাদ দেয়ার সময় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ছিল, তিনি ড্রেসিংরুমে এক ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন এই কোচ। এমনকি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্বে থাকা নিক পোথাসও এই ব্যাপারটি অস্বীকার করেন। আগেই ক্রিকবাজকে হাথুরু বলেছিলেন, 'বিসিবির সিইওর (নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন) শেষ কথা ছিল- ‘তোমার চলে যাওয়া উচিত। বোর্ডের কাউকে বলার দরকার নেই, তোমার কি টিকিট আছে?’ এটি আমার জন্য একটি সতর্কবার্তা ছিল। তখনই আমি একটু ভয় পেয়ে যাই। বিমানবন্দরে একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেন, ‘আমি দুঃখিত কোচ, যে আপনাকে যেতে হচ্ছে।’
ক্রিকেট
ফারুকের বিদায়ের পর হাথুরুসিংহের পোস্ট
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদকে যেসব কারণে অপসারণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি, সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহকে চাকরিচুত্য করা। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশ দলের
Printed Edition
