জয় দিয়ে যুব এশিয়া কাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই বড় জয় পেয়েছে জুনিয়র টাইগাররা। আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নেপালের বিপক্ষেও জয়ের জন্য মরিয়া বাংলাদেশ। দুবাইয়ে আইসিসি একাডেমি মাঠে সকাল ১১টায় নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগের ব্যাটিং নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ফয়সাল সিনোজাদার সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান করে আফগানিস্তান। ১০৩ রান করেন ফয়সাল। জবাবে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন আবরার ও রিফাত। ১৬০ বলে ১৫১ রান যোগ করেন তারা। ৫ চার ও ২ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৬২ রানে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন রিফাত। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে নাভার্স নাইন্টির ঘরে থামেন আবরার। ৯টি বাউন্ডারি ও ৬টি ওভার বাউন্ডারিতে ১১২ বলে নিজের ৯৬ রানের ইনিংস সাজান আবরার। আবরার ফেরার পর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের সাথে রিজান হোসেন ও শেখ পারভেজ জীবনের দায়িত্বশীল ছোট- ইনিংসে ৬ বল বাকী থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ৪৭, কালাম সিদ্দিকী ২৯, রিজান অপরাজিত ১৭ ও জীবন ১৩ রান করেন। ম্যাচ সেরা হন বাংলাদেশের আবরার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ে পূর্ণ ২ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হবে ৪। সেক্ষেত্রে সেমির পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে তারা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে নেপালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপ শুরু করেছে লংকানরা। আগামী বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এশিয়া কাপ বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুতির মঞ্চ। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপই শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট যুবাদের। টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রুপে আছে- পাকিস্তান, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মালয়েশিয়া। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল আগামী ১৯ ডিসেম্বর সেমিফাইনালে খেলবে। ২১ ডিসেম্বর হবে ফাইনাল। ম্যাচ জয়ের পর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম বলেন, ‘আমরা আজকে একটা ভালো শুরু করেছি। যা (পরবর্তীতে ম্যাচে) আমাদের অনেক সহায়তা করছে। ২৮৪ একটা বড় চেজ। আমি বিশ্বাস করি যে ব্যাটিংয়ে আমরা অনেক শক্তিশালী, (ম্যাচে) এটাই বোঝা গেছে।’ উদ্বোধনী জুটিতে জাওয়াদ ও রিফাত বেগ ১৫১ রান করেন। তাদের প্রশংসা করে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন,‘জাওয়াদ আর রিফাত যেভাবে খেলছে আজকে, খুবই ভালো। বোলিংয়ে আরেকটু (ভালো করতে হবে)। আমার নিজের দিক থেকে কিংবা আরও যেসব বোলার ছিল, একটু উন্নতি করতে হবে। কারণ সামনের ম্যাচগুলো বড় দলের সঙ্গে, জিততে গেলে তাদের একটুও ছাড় দেওয়া যাবে না। এসব দিকে আমরা খেয়াল রাখতে পারি ইনশাআল্লাহ... (এখন পর্যন্ত) আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো করছি।’ সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরির ব্যক্তিগত মাইলফলকের চেয়ে দলের জন্য যেটা ভালো হবে সেদিকেই নজর দেন তামিম, ‘আমরা খেলি শুধুই বাংলাদেশ দলকে জেতানোর জন্য। হয়তো এখানে ১০০ মিস গেছে বা ৫০ মিস হয়েছে। ওটা কিন্তু চিন্তার ব্যাপার না, আমাদের ভাবনা ম্যাচ জেতানোর দিকে। ছোট একটা জুটি অলিনও দিছে, জীবন ও রিজান শেষে রান এনে দিয়েছে। দলকে একটা অনেক বড় সহায়তা করেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই জরুরি। তাই ব্যক্তিগত রানের দিকে না তাকিয়ে কেবল দল কিভাবে জেতে সেটাই চিন্তা করি সবসময়।’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল : আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ-অধিনায়ক), সামিউন বাসির রাতুল, শেখ পারভেজ জীবন, রিজান হোসেন, স্বাধীন ইসলাম, মো. আবদুল্লাহ, ফরিদ হাসান ফয়সাল, কালাম সিদ্দিকী আলেন, ইকবাল হোসেন ইমন, রিফাত বেগ, শাহরিয়ার আল আমিন, আহমেদ শাহরিয়ার, সাদ ইসলাম ও মো. সবুজ।

স্ট্যান্ডবাই : রাফি উজ্জামান রাফি, সানজিদ মজুমদার, ফারজান আহমেদ আলিফ, ফারহান শাহরিয়ার, আবদুর রহিম, দেবাশীষ সরকার দেবা।