বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচন নিয়ে একের পর এক নাটক চলছেই। নির্বাচনের আর মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও নতুন করে নির্বাচনের পুনঃসূচি ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সেই তালিকা প্রকাশের আগে বুধবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তামিম ইকবালসহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো রফিকুল ইসলাম বাবু গতকালও বিসিবিতে এসেছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা আরেক প্রার্থী আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের মির্জা ইয়াসির আব্বাস এবং ঢাকা বিভাগ থেকে পরিচালক পদের প্রার্থী আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ফুয়াদ রেদুয়ানও। এ সময় নির্বাচনের পুনঃসূচি ঘোষণার আহবান জানান তিনি। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রফিকুল ইসলাম বাবু বলেন,‘এখন যে ভোটের তারিখ আছে সেটাকে নিয়ম-নীতির মধ্য দিয়ে পিছিয়ে বিষয়টার সমাধান করা যেতে পারে। রিশিডিউল (পুনঃসূচি) করলে যারা যোগ্য আছেন কিন্তু বিভিন্ন কারণে বাদ পড়েছেন বা কাউন্সিলরশিপ বাতিল হয়েছে, তারা এখানে আসতে পারবেন। তারা কাউন্সিলরশিপ বা মনোনয়ন দাখিলের একটা সুযোগ পাবেন।’ এ ছাড়া নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে তার আগপর্যন্ত অ্যাডহক কমিটি গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম বাবু। তিনি বলেন, ‘আমি জানি না এটা সম্ভব কি না, তবে অ্যাডহক কমিটি করেও কিছুদিন চালানো যেতে পারে। ক্রিকেটের স্বার্থে সাম্প্রতিক সংকট উত্তরণের জন্য সেটা আমরা করতে পারি। এই দাবিগুলোই আমরা আমাদের অভিভাবক ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে জানাতে চাই। তিনি একটি যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন, যার মাধ্যমে ক্রিকেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। ক্রিকেট ক্রিকেটের জায়গায় থাকবে।’ এর আগে বিসিবি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল প্রার্থিতা বাতিলের শেষ সময়। সকালেই বিসিবিতে হাজির হয়ে তামিম ইকবাল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। এরপর একে একে আরও ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনই পরিচালক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন বেশ এগিয়ে। আগের দিন ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও এ ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি থাকলে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা ই–মেইলে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর সুযোগ ছিল। কেউ তা করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে রফিকুল বলেন, ‘সময়টা যদি বাড়ানো হয়, পুনর্নির্ধারণ করা যায়Ñসে ক্ষেত্রে সবারই সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।’ বিসিবি নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে রফিকুল বলেন, ‘আমি তা বলছি না। এটা একটা প্রতিবাদস্বরূপ করেছি। কিন্তু এটা থেকে উত্তরণের পথ আছে। আমরা চাই, সময় বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ (নির্বাচনের তারিখ) করা হোক। কয়েকটা প্রস্তাবনার মধ্যে এটাও আছে। নির্বাচনটা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন যারা
তামিম ইকবাল (ওল্ড ডিওএইচএস), রফিকুল ইসলাম বাবু (ইন্দিরা ক্রীড়াচক্র), মাসুদুজ্জামান (মোহামেডান), সাঈদ ইব্রাহীম আহমেদ (ফেয়ার ফাইটার্স), মির হেলাল (চট্টগ্রাম জেলা), সৈয়দ বুরহান হোসেন পাপ্পু (তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি), ইসরাফিল খসরু (এক্সিউম ক্রিকেটার্স), সাব্বির আহমেদ রুবেল (প্রগতি সেবা সংঘ), তৌহিদ তারেক (পাবনা), অসিফ রাব্বানী (শাইনপুকুর), সিরাজ উদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর (ক্যাটাগরি-৩), ইয়াসির আব্বাস (আজাদ স্পোর্টিং), ফাহিম সিনহা (সূর্যতরুণ), সাইফুল ইসলাম সপু (গুপিবাগ ফ্রেন্ডস), ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান (বাংলাদেশ বয়েজ)।