টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে ৭ উইকেটে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের দুটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ 'এ' দল। সেমিফাইনালের টিকিট পেতে তাই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি মেলাতে হতো নেট রানরেটের কঠিন সমীকরণও। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসবের কিছুই করতে পারেনি টাইগাররা। গতকাল ডারউইনে ডু অর ডাই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ 'এ' দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন ওপেনার জিসান আলম। এছাড়া মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৪৯ রান। জবাবে খেলতে নেমে ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অ্যাডিলেড। এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ 'এ' দল। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আরো একবার বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন জিশান আলম। তবে আরেক প্রান্তে রান তুলতে বেশ ভুগেছেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। সপ্তম ওভারে দলীয় ৪৮ রানের মাথায় বিদায় নেন নাঈম। এই বাঁহাতি ব্যাটার ১৭ বলে ১৫ রান করে ওয়াদিয়ার বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর সাইফ হাসানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন জিশান। তবে এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়া সাইফ উইকেটে থিতু হয়েও গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি। এই ডানহাতি ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে করেছেন ১৫ রান। নাঈম-সাইফের এসবের মাঝেও দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন জিশান। তরুণ এই ওপেনার সবমিলিয়ে ৩৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫০ রান। মিডল অর্ডারে আবারও ব্যর্থ হন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৮ বল খেলে ৬ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। তবে আফিফ হোসেন-ইয়াসির আলির ব্যাটে গিয়ার পরিবর্তন করে বাংলাদেশ। দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান তুলে দল। আফিফ ২৩ বলে ৪৯ রান করেছেন অপরাজিত থেকেছেন। আর ইয়াসিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ বলে অপরাজিত ২৫ রান। বড় পুঁজি নিয়েও কোনোরকম প্রতিরোধই গড়তে পারেননি বোলাররা। অ্যাডিলেডের দুই ওপেনার ম্যাককেঞ্জি হার্ভে ও জ্যাক উইন্টারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায়। বিশেষ করে হার্ভি দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও। সবমিলিয়ে ৫৩ বলে অপরাজিত ১০২ রান করেছেন এই ওপেনার। আরেক ওপেনার উইন্টার করেছেন ৩৫ বলে ৩৫ রান। এ ছাড়া ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেছেন হ্যারি মেন্নাতি। বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন সাইফ।