প্রথম দুই ম্যাচ হেরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের হারের দ্বারপ্রান্তে সফরকারী পাকিস্তান। সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে পাকিস্তান। জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে তৃতীয় ম্যাচেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চায় স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে- ৯ ও ৫ উইকেটে হারে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৯১ রানে অলআউট হবার পর দ্বিতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করে তারা। টপ-অর্ডারের সাথে মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন খুশদিল শাহ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে অধিনায়ক সালমান আগার ব্যাটে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন সালমান। ঐ ম্যাচে ছয় নম্বরে নামা শাদাব খানের ২৬ রানের সাথে পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির অপরাজিত ২২ রানে লড়াকু সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। সিরিজে টিকে থাকতে হলে ব্যাটারদের কাছ থেকে বড় ইনিংস চান পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ম্যাচ জিততে হলে ব্যাটারদের বড় ভূমিকা থাকতে হয়। প্রথম দুই ম্যাচে আমাদের ব্যাটাররা পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। পরের ম্যাচটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজে টিকে থাকতে জয় ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। আশা করছি, এ ম্যাচে ব্যাটাররা জ্বলে উঠবে এবং দলের জয়ে বড় অবদান রাখবে।’ প্রথম দুই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়ে বড় অবদান ছিল বোলারদের। পেসার জ্যাক ডাফি ৬টি, কাইল জেমিসন ৩টি, স্পিনার ইশ সোধি ৪টি এবং বেন সিয়ার্স ও জেমস নিশাম ২টি করে উইকেট নেন। তাদের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুণ্যে বড় স্কোর করতে পারেনি প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ড বোলাররা দলের জয়ে অবদান রাখবে বলে আশা করেন ওপেনার ফিন অ্যালেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলাররা দারুণ ছন্দে আছে। তাদের নৈপুণ্যেই প্রথম দুই ম্যাচ আমরা জিততে পেরেছি। পরের ম্যাচেও বোলাররা ভালো করবে, এমন প্রত্যাশা দলের। পাশাপাশি ব্যাটারদেরও ভালো করতে হবে। যেমনটা প্রথম দুই ম্যাচে করেছে তারা।’ এখন পর্যন্ত টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪৬বার মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। এরমধ্যে পাকিস্তানের ২৩ ম্যাচে জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ড জিতেছে ২১টিতে। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
পাকিস্তান দল : সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নেওয়াজ, ওমাইর ইউসুফ, মোহাম্মদ হারিস, আবদুল সামাদ, ইরফান নিয়াজি, খুশদিল শাহ, শাদাব খান, আব্বাস আফ্রিদি, জাহানদাদ খান, মোহাম্মদ আলি, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, সুফিয়ান মুকিম, আবরার আহমেদ ও উসমান খান।
নিউজিল্যান্ড দল : মাইকেল ব্রেসওয়েল (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, মার্ক চ্যাপম্যান, জ্যাকব ডাফি, মিচ হে, কাইল জেমিসন, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, উইল ও’রুর্ক, টিম রবিনসন, বেন সিয়ার্স, টিম সেইফার্ট ও ইশ সোধি।