ক্রিকেট
মুশফিককে বিদায় সংবর্ধনা দেবে বিসিবি---ফারুক আহমেদ
মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। তবে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘুচাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মুশফিককে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
Printed Edition
মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। তবে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও ঘুচাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মুশফিককে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর পরিকল্পনা করছে বিসিবি। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। গত ৫ মার্চ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। মুশফিককে সংবর্ধনা দেওয়া নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ গতকাল মিরপুরে বলেন, ‘এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। দীর্ঘ ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড সফর থেকে শুরু করে তিনি দেশের ক্রিকেটকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। বিসিবি তার অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে এবং আমরা পরিকল্পনা করছি তাকে যথাযথভাবে সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখার।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ের পর দেশে ফিরে ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছিলেন আরও আগে। অর্থাৎ এই ওয়ানডের অবসরে সাদা বলের ফরম্যাটে যাত্রা শেষ হয়েছে তার। সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের একজন মুশফিক। এই দুই ফরম্যাটে অসংখ্য ঐতিহাসিক জয়ের সঙ্গী তিনি। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকার সেই ক্যারিয়ারকে স্মরণীয় করে রাখতে তার জন্য বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করবে বিসিবি। তবে ঠিক কবে আয়োজিত হবে এই সংবর্ধনা, সে সম্পর্কে জানা যায়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা দেখতে গিয়ে অন্যান্য দেশের বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে আলচনা হয়েছে ফারুকের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আইসিসি ইভেন্টে সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকেন। ৫০ ওভারের ম্যাচ প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা দীর্ঘ হয়, যা বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করে। আমি ফাইনাল ম্যাচ না দেখেই দেশে ফিরেছি, তবে এর আগে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বৈঠকগুলোতে অংশ নিয়েছি। এসব আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার সম্পর্ক ভালো থাকবে, তখন যেকোনো কিছু সহজে পাওয়া যাবে।’ আসন্ন পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘পাকিস্তান এরই মধ্যে আমাদের জানিয়েছে, তারা এফটিপির বাইরে একটি সফর করবে এবং বাংলাদেশে খেলতে আসবে। এটি বেশ ব্যস্ত সূচির মধ্যেই আয়োজন করা হতে পারে, সম্ভবত জুলাই মাসে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছি, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে সংবাদমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আমরা শুধু ত্রিদেশীয় সিরিজ নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে ফাঁকা সময় থাকলে যেন যেকোনো টুর্নামেন্ট বা সিরিজে অংশ নিতে পারি, সে বিষয়েও আলোচনা করেছি।’