চূড়ান্ত হয়েছে এশিয়া কাপের সূচি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে শুরু হচ্ছে ৮ দলের এই টুর্নামেন্ট। ফাইনাল মাঠে গড়াবে ২৮ সেপ্টেম্বর। 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা, আফগানিস্তান ও হংকং। এ ছাড়া 'এ' গ্রুপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। প্রত্যেক দল গ্রুপ পর্বে ৩টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। টাইগারদের পরের ম্যাচ শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৩ সেপ্টেম্বর। আর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তুলনামূলক কঠিন গ্রুপে পড়লেও বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার সুযোগ আছে বলে বিশ্বাস করেন টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ। গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে খালেদ বলেন, 'দেখেন আমি সব মিলিয়ে বলব যে আমার বিশ্বাস আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার মতো দল। আমরা যে গ্রুপে আছি অবশ্যই আমরা এখান থেকে দুইটা-তিনটা ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনাল খেলবো।' টেস্টে মোটামুটি নিয়মিত হলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেট খালেদকে দেখা পাওয়া কঠিন। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৩ সালে। টি-টোয়েন্টিতে একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সাদা বলের ক্রিকেটে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান,তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলামদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে খালেদকে। খালেদ মনে করেন দেশের জন্য এই প্রতিযোগিতা ইতিবাচক, ‘অবশ্যই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো- এটা যে কোনও দেশের জন্যই ইতিবাচক। দেখুন, আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়বে। আমি আমার নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি- আমি আমার ফিটনেস আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে আমি অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে অনেক পিছিয়ে পড়বো। তাই আমার চেষ্টা থাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার।’ কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অনিয়মিত হলেও এই ফরম্যাটে সম্প্রতি দারুণ ছন্দে আছেন খালেদ। গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে দারুণ বোলিং করেছেন। ৪ ইনিংসে ১১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক তিনি। রংপুরকে ফাইনালে তোলার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান খালেদের। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খালেদ বলেছেন, ‘অবশ্যই, ভালো হয়েছে বলবো না। তবে আলহামদুলিল্লাহ। আমি ভালো করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু দলকে জেতাতে পারলে আরও বেশি ভালো লাগতো। আমার চেষ্টা ছিল আমি যেন যতটা সম্ভব সহজ থাকি এবং দলকে ভালো কিছু দিতে পারি।’ গ্লোবাল লিগে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে খালেদ বলেছেন, ‘অভিজ্ঞতা বলতে, এটা ভালো একটা সুযোগ ছিল। যেহেতু এটা গ্লোবাল একটা টুর্নামেন্ট ছিল এবং বিভিন্ন দেশের দল খেলতে গিয়েছিল, পাঁচটি দেশের প্রতিনিধি ছিল। আমি বাংলাদেশ থেকে গিয়েছিলাম। আমরা সব দলের সঙ্গেই খেলেছি। আমার ভালো লেগেছে যে সবাই আমার খেলা দেখতে পেরেছে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো পারফর্ম করার।’ গ্লোবাল লিগে ভালো করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন খালেদ। এমনকি দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিবও তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, খেলার দিন মাঠে দেখা হয়েছিল (সাকিবের সঙ্গে)। আমরা কথা বলছিলাম এবং তিনি (সাকিব) আমার পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘ভালো হচ্ছে, এটা চালিয়ে যাও।’’ বাংলাদেশের বোলিং কোচ শন টেইটের সঙ্গে বোলিং নিয়ে নিয়মিত কথা হয় জানালেন এই পেসার, ‘শন টেইটের সঙ্গে কথা হয়। তিনি একটা কথাই বলেন, যা আমি বিপিএলের সময়েও বলেছি। তিনি আমাকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে ও বিভ্রান্ত না হতে বলেছেন। কারণ বিভ্রান্ত হলে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়।’ খালেদ আরও বলেছেন, ‘আমাদের স্থানীয় কোচ বিশেষ করে নাজমুল ভাই ও তালহা ভাইয়ের সঙ্গেও আমার কথা হয়। খেলার আগের দিনও নাজমুল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম যে কী করলে ভালো হয়। যেহেতু আমাদের কোনও বিশেষজ্ঞ পেস বোলিং কোচ ছিলেন না, তাই আমি শন টেইটকে পাইনি। তখন আমি নাজমুল ভাইকে ফোন করেছিলাম এবং তিনিও একই কথা বলেছিলেন- প্রতিটি ওভারে কীভাবে খেলায় ফেরা যায়, সেই চিন্তা করতে।’