সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মূল কৃতিত্ব দলের ওপেনিং জুটি মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলামের। দুজন মিলে ১৬৮ রানের যৌথ সংগ্রহ করে দলের ব্যাটিং ভিত্তি শক্ত করেন। অপরদিকে, টেস্ট অভিষেকে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার হাসান মুরাদও নিজের প্রতিভা দেখান। দুই ইনিংসে তিনি মোট ৬ উইকেট নেন। যার মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৪ উইকেট দলের জয়ের পথ সুগম করে। মুরাদের দারুণ বোলিং নিয়ে ম্যাচ শেষে আনন্দ প্রকাশ করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের পর শান্ত বলেছেন, ‘মুরাদকে নিয়ে কী বলবো, ও ছিল অসাধারণ। বেশ কয়েক সিরিজ দল থেকে বাইরে ছিল, কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রতি বছরই খেলে এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে। তার পরিসংখ্যানও দারুণ। বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য ধৈর্য ধরে বোলিং করাটা কঠিন; কিন্তু সে যেভাবে বল করেছে, সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি সে ধীরে ধীরে আরও উন্নতি করবে এবং দলে আরও বড় অবদান রাখবে।’ প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ২৮৬ রানের পর বাংলাদেশ মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৭১ রানের অসাধারণ ইনিংসে ভর করেই থামে ৫৮৭ রানে। তাতে ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়। ম্যাচের পর জয়ের ১৭১ রানের ইনিংসকেও তুলে ধরেন শান্ত, ‘জয় দলে ছিল না। বাদ পড়ে ফিরে এসে প্রথম ম্যাচেই এমন বড় ইনিংস খেলা এটা সত্যিই কঠিন। কিন্তু ও যেভাবে ব্যাট করেছে, মনে হয়নি সে ফেরত এসেছে। এটা খুবই ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি ও মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এনেছে, আর ভবিষ্যতে সব দলের বিপক্ষেই এমন ভাবনা ধরে রাখতে পারবে বলে আশা করি।’ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দারুণ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। যা ছিল তার ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি। শান্ত জানিয়েছেন, ক্রিজে থাকলে অধিনায়কত্বের কথা ভুলে যান তিনি। তখন শুধু ব্যাটসম্যানের দায়িত্বের কথা মনে রাখেন। শান্তু বলেন,‘ব্যাটিংয়ের সময় আমি শুধু নিজেকে ব্যাটসম্যান হিসেবেই দেখি। তখন অধিনায়কত্বের কথা মাথায় রাখি না। আমার লক্ষ্য থাকে ব্যাট হাতে অবদান রাখা। মাঠের বাইরে বা ফিল্ডিংয়ের সময়ই আমি অধিনায়কের দায়িত্বগুলো সামলাই।’অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট নিয়ে শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই অনেক বড় একটা অর্জন। মুশফিক ভাইয়ের শততম টেস্ট, খুবই রোমাঞ্চিত। আমি প্রথম দিনের প্রেস কনফারেন্সে বলেছিলাম আমরা উদযাপন করতে চাই। খেলোয়াড়রা চাই ওই দিনটা বা ওই পুরো পাঁচটা দিন আমরা উপভোগ করব।’ আর কয়েকদিন পর মিরপুরেই এই সিরিজের শেষ টেস্ট। তবে সে ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন তিনি। শান্ত বলেন, ‘মিরপুরে যে কোনো প্রতিপক্ষ, যে কোনো বোলিংয়ের বিপক্ষে সবসময় চ্যালেঞ্জ থাকে। বাড়তি আলাদা কিছু চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই। চ্যালেঞ্জ থাকবে কিন্তু আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা কিভাবে।