স্পোর্টস রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল বনাম চিটাগং কিংস। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। টিভিতে বিপিএল ফাইনাল দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে। ফাইনাল দেখতে অনলাইন, মধুমতি ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা ও অল্প কিছু সংখ্যক টিকিট পাওয়া যাবে মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বুথে। প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগং কিংসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে বরিশাল। ফলে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের সুযোগ এসেছে তামিম ইকবালের দলের সামনে। অপর দিকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে না জিতেও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনার বিপক্ষে জিতে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে চিটাগং কিংস। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে উঠলো চিটাগং। এর আগে ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠলেও, রানার্স-আপ হয়েছিলো দলটি। এদিকে টানা দুই জয়ে এলিমিনেটরে আসে খুলনা। সেখানেও জয় পায় দলটি। তবে কোয়ালিফায়ারে ইনিংসের শেষ বলে ৪ মেরে খুলনাকে হারিয়ে জয় তুলে নেয় চিটাগং। বিপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে চিটাগংকে হারিয়ে ফরচুর বরিশাল আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে। তবে চিটাগংকে ফাইনালে উঠেতে প্রথম আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলতে হয়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শেষ ওভারে ১৫ এবং শেষ বলে ৪ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফাইনালে উঠে চিটাগং কিংস। দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে দলটি ২ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। এবার দলটির সামনে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করার টার্গেট। মিরপুর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানে ২ উইকেট হারায় খুলনা। তৃতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ২ রান করে চিটাগং এর লংকান পেসার বিনুরা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন খুলনার অধিনায়ক ও ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স রসকে খালি হাতে বিদায় দেন স্পিনার আলিস আল ইসলাম। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও আফিফ হোসেন। তৃতীয় উইকেটে ২৩ বলে ২৩ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে নাইমকে (১৯)বিদায় দেন পেসার খালেদ আহমেদ। ২২ বল খেলে ৪টি চার মারেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাইম। নবম ওভারে সাজঘরে ফিরেন আফিফও। ১৪ বলে ৮ রান করে স্পিনার আরাফাত সানির শিকার হন আফিফ। এতে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। ১৭তম ওভারে ২৩ রান নিয়ে দলের স্কোর ১শতে পৌঁছে দেন মাহিদুল-হেটমায়ার। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে মাহিদুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন পেসার শরিফুল ইসলাম। ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩২ বলে ৪১ রান করেন মাহিদুল। পঞ্চম উইকেটে ৫০ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মাহিদুল-হেটমায়ার। সতীর্থকে হারালেও, দ্রুত তোলার কাজ দায়িত্ব নিয়েই সেরেছেন হেটমায়ার। ৮ বলের ব্যবধানে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৯ রান তুলেন তিনি। এরমধ্যে ১৯তম ওভারের প্রথম চার বলে ২০ রান নেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। ২৯ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৬৩ রানে আউট হন হেটমায়ার। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারি ছিলো। দলীয় ১৪৬ রানে হেটমায়ার ফেরার পর শেষ ৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৭ রানের জুটি গড়ে খুলনাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন জেসন হোল্ডার ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৩ রান করে খুলনা। ১টি করে চার-ছক্কায় ৫ বলে অপরাজিত ১২ রান করেন হোল্ডার। ১টি বাউন্ডারিতে ২ বলে ৫ রান করেন নওয়াজ। চট্টগ্রামের ফার্নান্দো ২টি, শরিফুল-আলিস-খালেদ ও সানি ১টি করে উইকেট নেন। ১৬৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৫ রানে ২ উইকেট হারায় চিটাগং। ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্ক। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৭০ রান যোগ করে চট্টগ্রামকে লড়াইয়ে রাখেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার খাজা নাফি ও হুসেইন তালাত। নাফি ৪৬ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রানে আউট হন। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে ৪০ রানে থামেন তালাত। ১১৭ রানের মধ্যে তাদের বিদায়ের পর হারের শঙ্কায় পড়ে চট্টগ্রামের। তবে সপ্তম ও অষ্টম উইকেট জুটি থেকে ২৪ বলে ৩৯ রান এলে, লড়াইয়ে টিকে থাকে চট্টগ্রাম। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার পড়ে তাদের। খুলনার পেসার মুশফিক হাসানের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে ২টি চারে ১১ রান পায় চট্টগ্রাম। পঞ্চম বলে শরিফুল আউট হলে, শেষ বলে ৪ রান দরকার পড়ে তাদের। শেষ বলে চার মেরে চট্টগ্রামকে স্মরনীয় জয় এনে দেন আলিস। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২টি বাউন্ডারিতে ১৩ বলে ১৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সানি। খুলনার হাসান ও মুুশফিক ৩টি করে উইকেট নেন।
ক্রিকেট
বিপিএলের ফাইনালে আজ মুখোমুখি বরিশাল-চিটাগং
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল বনাম চিটাগং কিংস। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। টিভিতে বিপিএল ফাইনাল দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে।