ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে চমক জাগানো জয় পেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠে প্রায় অবিশ্বাস্যভাবে গুলশান ক্লাবকে জয় উপহার দিয়েছেন দলটির তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নাইম ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও ফরহাদ রেজা। এক সময় জাতীয় দলে অপরিহার্য সদস্য ছিলেন তিনজনই। পুরোদস্তুর না হলেও দেশের ক্রিকেটে নাইম ইসলাম (মিডল অর্ডার কাম অফস্পিনার), ইলিয়াস সানি (বাঁহাতি স্পিনার ও ব্যাটার) এবং ফরহাদ রেজা (পেস বোলিং অলরাউন্ডার) অলরাউন্ডার হিসেবে সমাদৃত। তিনজনেরই বর্তমান বয়স ৩৫ পেরিয়ে গেছে। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট, বিপিএল, এনসিএল আর বিসিএলে ব্যাট ও বলে অনেক কীর্তি আছে তাদের। কিন্তু ক্যারিয়ার সায়াহ্নে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েছিলেন নাইম, ইলিয়াস সানি ও ফরহাদ রেজা। তবে গতকাল হোম অব ক্রিকেটে ব্রাদার্সের বিপক্ষে দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন এই তিন লড়াকু ক্রিকেট সেনা। নাইম ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে ৬০ বলে ৫০ রানের সাহসী ইনিংস। ইলিয়াস সানি উপহার দিয়েছেন ৬২ বলে ৫৩ রানের কাজের ইনিংস। আর নবম উইকেটে তরুণ পেসার মেহেদী হাসানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন ফরহাদ রেজা। ৩৬ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৪৯ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ব্রাদার্স পেসার শফিউল ইসলামকে পরপর দুই বলে চার হাঁকিয়ে গুলশানকে এক অবিস্মরনীয় জয় উপহার দিয়েছেন তরুণ মেহেদী হাসান (১৮ বলে ৩২*)। এর আগে জাওয়াদ আবরার ১৭ বলে ৩০ আর লিটন দাস ৩৩ রানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচে গুলশানের এটা চতুর্থ জয়। আর সমান খেলায় ব্রাদার্স হারলো পঞ্চমবারের মত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৫০ ওভারে ২৯০/৯ (বিশাল চৌধুরী ৮৩, মিজানুর ৫০, আইচ মোল্লা ৬৫, সোহাগ গাজী ১৭, অলক কাপালি ৩১; নিহাদউজ্জামান ৩/৪০, আসাদুজ্জামান পায়েল ৩/৬২)।
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৪৮.৩ ওভারে ২৯৪/৮ (জাওয়াদ আবরার ৩০, আজিজুল হাকিম তামিম ১১, লিটন দাস ৩৩, ইফতিখার ইফতি ১৬, হাবিবুর শেখ মুন্না ৬, নাইম ইসলাম ৫০, ইলিয়াস সানি ৫৩, ফরহাদ রেজা ৪৭*, মেহেদী হাসান ৩২*; সোহাগ গাজী ৪/৪৪, শফিউল ইসলাম ২/৬৬)।
ফল: গুলশান ক্লাব ২ উইকেটে জয়ী।