বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। শারজায় প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৫ চার আর ৯ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমন। তার আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন কেবল একজন-তামিম ইকবাল। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০ চার আর ৫ ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। দীর্ঘ ৯ বছর ২ মাস পর তামিমের সঙ্গে বসলেন পারভেজ হোসেন ইমন।

তামিমের পর ইমন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান। সেঞ্চুরি করে বিসিবির এক ভিডিওবার্তায় বাঁহাতি এই ওপেনার জানালেন, তামিমের সেঞ্চুরি তার মনে আছে। তামিম ইকবালের সব খেলাই ফলো করেন তিনি। পারভেজ ইমন বলেন, ‘হ্যাঁ! তামিম ভাইয়ের একশটা মনে আছে। ওমানের সঙ্গে মারছিলো। উনার সব খেলা দেখি সবসময়। তাই মনে ছিল। ইমন যোগ করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে, সেঞ্চুরি হয়েছে আজকে।

ড্রেসিংরুমে আসার পর আমার মনে পড়েছে তামিম ভাইয়ের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। তাই আমার এটা দ্বিতীয়। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে। ছোটবেলা থেকে তামিম ভাইকে ফলো করতাম, উনার খেলা দেখতাম। অনেক ভালো লাগতো। উনার পরে নামটা আমার এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।’ ইমন একটা প্রান্ত ধরে তাণ্ডব চালিয়ে গেলেও বরাবরের মতো আরেক প্রান্তে উইকেট পড়ছিল বাংলাদেশের। তবে ইমন নিজের খেলা থেকে সরে আসেননি। মারকুটে ব্যাটিংয়েই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। খেলার ওই সময়ের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার বলেন, ‘উইকেট যখন পড়ছিল, নিজের ইন্টেন্ট পরিবর্তন না করার চেষ্টা করছিলাম। আমি নিজের শক্তির জায়গার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটাও মাথায় ছিল যে খেলাটা বড় করতে হবে। একপাশ থেকে উইকেট পড়ছে তাই আমাকে ক্যারি করতে হবে। ক্যারি করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছি।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ইমনের সেঞ্চুরিতে ২৭ রানের জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। অধিনায়ক হিসেবেও লিটনের শুরুটা হলো জয় দিয়ে। তবে মূল কৃতিত্ব সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন পারভেজ ইমন। ৫৪ বলে ১০০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই আগে ব্যাট করতে নেমে সফরকারী বাংলাদেশ ১৯১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের ইনিংস থামে ১৬৪ রানে। ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন ইমন।